জার্মানির পথে পথে।

জার্মানির পথে পথে।
Posted 1 year ago

I am proud to get an opportunity upholding Bangladeshi flag here in the USA.

1 - 0

জার্মানির পথে পথে।
Posted 2 years ago

ল্যাঙ্গুয়েজ বিভ্রাট!

একদিন প্রফেসর শ্রেণিকক্ষে জিজ্ঞাসিলেন তোমাদের কারো কোনো ভালো গুণ আছে এবং জনসম্মুখে কখনো কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছো?

এটা একটা ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাস ছিলো। প্রফেসরের মূল উদ্দেশ্য ছিলো কিভাবে আমাদেরকে দিয়ে মজার ছলে ইংরেজিতে কথা বলানো যায়।
আমার এক পাকিস্তানি সহপাঠী তার এক অভিজ্ঞতার কথা আমাদেরকে শুনালেন।

তার সবচেয়ে ভালো গুণ হলো সে রাস্তাঘাটে যেখানে যা দেখে তা মুখস্থ করতে চেষ্টা করে। বিশেষ করে জার্মান ভাষা।তবে প্রথমে সে নিজে নিজে এটার অর্থ কী হতে পারে সেটা আন্দাজ করতে চেষ্টা করে।

জার্মানিতে আসার কয়েকদিন পর; হঠাৎ জরুরি তলবে প্রক্ষালন কক্ষে(টয়লেট) যাওয়ার তীব্র বেগ পেয়েছিলো তার। ভার্সিটির শৌচাগারে প্রবেশ করেই দেখতে পেলেন দুই ধরনের লেখা। damenএবং Herren। যার সার্বিক অর্থ হচ্ছে ডামেন(Ladies) এবং Herren(Men/Gentlemen, অর্থাৎ একটা পুরুষদের জন্য আরেকটা মহিলাদের জন্য।

Damen কে The Men মনে করে আমার নিষ্পাপ সহপাঠী ভাইটি মহিলাদের টয়লেটে ঢুকে পড়ে। এ কি, সর্বনাশ! দ্যা ম্যানদের টয়লেটে মেয়েরা কী করে। এই ভাবনা ভাবার আগেই দেখে জার্মান মেয়েরা তার দিকে চোখ ছানাবড়া করে তাকিয়ে আছে। ভাই আমার কোনো মতে দৌঁড়িয়ে মান ইজ্জত বাঁচিয়েছে। মনে মনে ভাবছিলাম ভাগ্যিস বাংলাদেশি কোনো আপু ছিলো না ওয়াশরুমে। থাকলে তোরে কইতো- *ইচ্চা ব্যাডা! ঘরে তোর মা বোন নাই।
দেশি বন্ধুর সাথে এই ঘটনা শেয়ার করলাম। ও বললো আমাদের দেশের বিশেষ একদলের ভার্সিটি পড়ুয়া আপুদের হাতে পড়লে ওরে বলতো- তুই তো ব্যাডা কচি *ল। তোর থেকে ও বড় বড় মানুষদেরকে আমরা সামাল দেই। কচি শসার মতো এক কামড়ে চিবিয়ে খেয়ে ফেলবো। তোর জিনিস তোর হাতে ধরিয়ে দিয়ে ঝুনঝুনি বাজিয়ে দিব। এই দিকে শুনলাম এই আপুরা নাকি আজকাল সাধারণ ছাত্রীদের ও কাপড়চোপড় খুলে ফেলে। অবশ্য, বন্ধু আমার কোন দলের মহিলানেত্রীদের কথা বুঝিয়েছেন এটা আমার মনে নেই। এখন আর আগের মতো অনেক কিছুই মনে করতে পারছিনা না।

আমার সহপাঠীর দ্বিতীয় বর্ণনাটি শুনে আমি কিচ্ছুক্ষণ হেঁসেছিলাম। নিচে যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন সেখানে জার্মান ভাষায় যা লেখা(Bitte im Sitzen pinkeln ) , তার সার্বিক অর্থ হলো দয়া করে বসে প্রস্রাব করুন। আমার সহপাঠী এতসব চিন্তাভাবনা করেনি। পাশের ইংরেজি বাক্যটিকেই( Take a seat please) উপরোক্ত বাক্যের অর্থ মনে করে মুখস্থ করেছে। একদিন বাসে উঠে আরামে বসে আছে। হঠাৎ এক জার্মান বয়স্ক ভদ্রমহিলা বাসে উঠে তার সীটের সামনে এসে দাঁড়ালো। সে ভাবলো এই বয়স্ক মহিলাকে একটু ভদ্রতা দেখাই। আমার সীটখানা ছেড়ে দিয়ে তাকে বসতে বলি। যেই ভাবনা সেই কাজ।

আমার সহপাঠীর টয়লেট থেকে মুখস্থকৃত বাক্যটি (Bitte im Sizten pinkeln/ দয়া করে বসে প্রস্রাব করুন) মহিলাকে বললেন(ওর মতে take a seat please)। মহিলা এটা শোনার পর ওর দিকে এমনভাবে তাকিয়েছেন তার অর্থ বাংলা করলে দাঁড়ায়- ব্যাডা খাটাশ কোথাকার! আমাকে গাড়িতেই প্রস্রাব করতে বলে। আমার বয়স হয়েছে বলে যেখানে সেখানে প্রস্রাব করবো নাকি। পরবর্তীতে সে এই বাক্যের অর্থ গুগুল করে উদ্ধার করে।
ওর সাথে আবার দেখা হলে জিগ্যেস করার ইচ্ছে আছে এখনো রাস্তাঘাট থেকে জার্মান শিখে কি না😀।

বি.দ্র. এই পোস্টের মূল উদ্দেশ্য আমাদের দেশের আপুদেরকে ছোট করা অথবা জার্মান মেয়েদেরকে বড় করা নয়। দয়া করে কেউ বিষয়টিকে অন্যভাবে নিবেন না।

জার্মানিতে এসে আপনি কি কখনো এমন অপ্রীতিকর ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন?

2 - 0

জার্মানির পথে পথে।
Posted 2 years ago

কল্পনায় অতীত
সোনালি রোদ আমাদের বারান্দায় এসে পৌঁছে গেছে। আমরা তখনো শীতের ভেজা কাঁথা জড়াজড়ি করে ঘুমিয়ে আছি। মায়ের ডাকে আড়মোড়া দিয়ে উঠেই দেখতাম বাবা মসজিদ থেকে বাসায় ফিরে এসেছেন।দাঁত মেজেছি কি না এই উত্তর খোঁজার পূর্বেই মনে পড়ে গেল ভোরের আলো ফোঁটার আগেই পাড়ার ছেলে-মেয়েরা আমাদের ঘরের রাস্তার সামনে এসে হাজির।

কানামাছি, গোল্লাছুট, হা-ডু-ডু, মার্বেল, আরো কত খেলা ইতোপূর্বেই শুরু করে দিয়েছে। খালি গায়ে নগ্ন পায়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছি ওদের সাথে। ছেলেবেলা থেকেই আমি পড়াশুনায় প্রচুর অমনোযোগী ছিলাম।খেলাধুলা ছাড়া দ্বিতীয় অন্য কোনো কিছুতেই পারদর্শী ছিলাম না। মার্বেল খেলায় আমাকে পুরো গ্রামের কেউ'ই কখনো হারাতে পারেনি। আমার যে কতশত মার্বেল ছিলো সেটা কেবল আমি আর আমার মা জানতেন। অতিরিক্ত খেলা জানার অসুবিধে হলো কেউ আমাকে খেলতে নিতো না। সে যে কী যন্ত্রণা!

আমাদের এলাকায় অতিরিক্ত রাগী এক হুজুর ছিলেন যিনি সকালে মকতবখানায় পড়াতেন। পড়া না পারলে চিকন বাঁশের লাঠি প্রেমিকার লিপিস্টিকসহ চুম্বন করার দাগের মতো গায়ে লেপ্টে থাকতো। এই ভয়ে আমি কখনোই নিয়মিত মকতবগামী হইনি।

সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতো তখনো আমরা খেলা বন্ধ করতাম না। সারা গায়ে ধুলাবালি, কাদামাটির প্রলেপ ছিলো মোটা দেয়ালের গায়ে প্লাস্টারের মতো। এমতাবস্থায় এসে কোনো রকম দু'টো খেয়ে আবার খেলায় মনোনিবেশ করেছি। এভাবেই সকাল থেকে সন্ধ্যা কাটিয়েছি। পড়ালেখার চাপ ছিলনা।গ্রামের আলো বাতাস শরীরে মেখেছি। এমন দুরন্তপনার শৈশবে এখনো নিয়মিত ডুব দেই, ফিরে যাই কল্পনায়। আটাশ বছরের জীবনে শৈশবের মতো এত স্নিগ্ধ সুন্দর সময় আর কখনোই আসেনি। আমি এখনো আমার ছেলেবেলাকে হন্যে করে খুঁজে বেড়াই।

সময়টা ২০০২ সাল।

6 - 3

Welcoem to posts!!

জার্মানির পথে পথে। Posted 1 year ago

জার্মানির পথে পথে। Posted 2 years ago

জার্মানির পথে পথে। Posted 2 years ago

জার্মানির পথে পথে।
Posted 1 year ago

জার্মানির পথে পথে।
Posted 2 years ago

জার্মানির পথে পথে।
Posted 2 years ago