Dawaah OFC | Poke

Dawaah OFC
Posted 4 weeks ago

Gen Z যেন Gen zionism এর ক্ষপ্পরে না পরে যায় এটাই কাম্য! দুয়া করি আল্লাহ হিফাযাত করুন। তবে কিছু লক্ষণ সত্যিই ভাবাচ্ছে!

🎙️ আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান

193 - 1

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

#Shame_on_Your_Trust

এটা স্পষ্ট যে চলমান মুভমেন্ট দ্বীন ইসলাম শারিয়া ইমারাহ বা খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার মুভমেন্ট নয়। যদিও বিশ্বনবী (স) এর মাদানী জীবনের প্রায় ১০০ টিরও বেশি যুদ্ধ ও সংগ্রাম ছিল এই একটি মাত্র নিয়্যাত ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। পক্ষান্তরে আমাদের সারাটা জীবনের মেহনতের নিয়্যাত ও উদ্দেশ্য পরিণত হয়েছে পশ্চিমা দর্শনের তন্ত্র মন্ত্রের গোলকধাঁধায় নিজেদের জান মাল উৎসর্গ করার মধ্যে। দিন শেষে এক বাক্যে মহান আল্লাহর কাছে যা ত্বাগুত বা শয়তানের শাসন!

এটা স্পষ্ট যে প্রতিটি সিদ্ধান্তের পেছনে আপনাদের থিংক ট্যাংক আছে। আর আমার মনে হয় না সেখানে দেশের বরেণ্য মুরব্বি ওলামায়ে কেরামের আদৌ কোন অস্তিত্ব আছে। তাছাড়া জ্ঞানের কাছে যেতে হয়, জ্ঞান নিজে কারো কাছে হেঁটে আসে না। এটা বোঝাই যাচ্ছে যে আপনারা প্রকৃত আহলুল ইলম দের কাছে যাচ্ছেন না। বরং আমরা আশংকা করছি আপনারা পশ্চিমা মদদ পুষ্ট একশ্রেণীর তথাকথিত বাম সুশীল বা কথিত প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদি বা কমিউনিস্টদের দাবার গুটি হতে চলেছেন। সাবধান!

কান খুলে শুনে রাখুন! সুদ মানে আল্লাহ ও তার রাসুল মুহাম্মাদ (স)'র বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ করা। সুদ মানে নিজের জন্মদাতা মায়ের সাথে "জিনা করা" আই রিপিট! মাকে বিয়ে করা। মাকে রেইপ করা! সুদ মানে পরকালে রক্তের নদীর সাঁতার। সুদ মানে পরকালের
সাপ ভর্তি বিশাল পেট। সুদ মানে মাথা চুর্ণ বিচুর্ণ করার ইলাহি শাস্তি। সুদ মানে পশ্চিমা পুঁজিবাদ। গরিবের রক্ত চুষে চুষে ধনিকশ্রেণীর অট্টালিকা। সুদ হল এক দিনারে ৩৬ বার জিনার অপরাধ। আর এক জিনা নামে ১০০ বেত্রাঘাত। এক বিবাহিত ব্যক্তির জিনা নামে মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপে রজম! সুদ মানে মহানবী (স) এর নিজের জবানে দেওয়া লা'নাত! প্রত্যেক সেই ব্যক্তি যে খাবে, যে দিবে, যে লিখবে আর যে স্বাক্ষী থাকবে! এই
প্যারার প্রতিটি কথাই প্রতিটি শব্দই পবিত্র কুরআন ও নবীর হাদিসের মর্মার্থ।

যদিও পুরো দুনিয়া ও দুনিয়ার পুজারীদের কাছে এগুলো শুধু "কিছু মৌলবাদী কন্সেপ্ট"! মাত্র। আর বলা বাহুল্য পুরো পশ্চিমা বিশ্বে এগুলো সাম্প্রদায়িক কন্সেপ্ট! এগুলো হল মাত্র একজন ব্যক্তির সুদের ভয়াবহতা! আর যদি কেউ পুরো একটা জাতীর কোটি কোটি মানুষকে সুদখোর বানানোর কোন মেশিন আবিষ্কার করে? এক একটা মানুষকে? তখন! হায় আফসোস কি দ্বীনের বুঝ আমাদের! কি আবেগি অজ্ঞতা! কি ধৃষ্টতা! এ যেন জুলুমের প্রতিযোগিতা!

সোজা কথায় আসি! আপনি এগুলো দিয়ে যাইওনিস্ট দের পোষা কুকুর হতে পারবেন। যে সভ্যতা শতাব্দীতে কোটি মানুষের রক্ত ঝড়িয়েছে তাদের সেবাদাস হতে পারবেন। নোবেলও পেতে পারেন। এই নোবেল যাবে জাহান্নামে! আর আন্তর্জাতিক পরিচিতি? এমন ভাব ধরছেন যেন পুরো বাংলায় আন্তর্জাতিক পরিচিতি প্রাপ্ত একটি মানুষও নেই! ঠিক যেন কোন অন্ধকে হাইকোর্ট দেখাচ্ছেন! একজন দিল্লির সেবাদাস যেমন একটি মুসলিম প্রধান দেশের জনগণের মাঝে আল্লাহর বিধান অনুযায়ী শাসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না ঠিক তেমনি কোন পশ্চিমের সেবাদাস যাইওনিস্ট পাপেটও এ দেশের ইসলামপন্থী মানুষের মাঝে কস্মিনকালেও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না।

কিছু তথাকথিত ইসলামি সেলিব্রিটি ও স্কলার কেও দেখলাম একজন জঘন্য সুদখোরের পক্ষে সাফাই গাইতে! লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেছে আমাদের। ভাগ্য ভাল আমরা এমন উস্তাদ পাইনি! আলহামদুলিল্লাহ!!!
আগ বাড়িয়ে কেউ বা বলছে দেশ আজ যুদ্ধবিধ্বস্ত!
কোটি কোটি ডলার ঋণ! ভাবখানা এমন যেন একজন সুদখোর তাদের জন্য ত্রানকর্তা হয়ে এসে নাবি মুসার ভুমিকায় অবতীর্ণ হবেন! আফসোস! শেইম অন ইউ!

আরে বেওয়াকুফ! পাশের ইমারাতে আফগানের দিকে একটু নজর দিলেও তো পারতে! প্রায় ১০ বছর রুশ আর ২০ বছর ইন্দো আমেরিকার যাইওনিস্টদের সাথে লড়াই করে আজকে কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে? তাদের কে ঋণ দিয়েছ? কে সাহায্য করেছে? কে পাশে ছিল?
তোমাদের সুদের মহাজনেরা? নাকি এক মহা শক্তির মালিক মহাম আল্লাহ আজ্জা ওয়া জাল্লা! আজ তাদের তুলনায় এই ১ মাসের আন্দোলনে কি দেশের অবস্থা ৩০ বছরের যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানকেও ছাড়িয়ে গেছে? এরপরেও আছে LGBT ইস্যুর প্রমোশান! এগুলো নিয়ে নাহয় নাই বা বললাম। উচ্চারণেও ঘৃণা আসে! রক্তের উপরে আজ যাদের মাথার তাজ বানাচ্ছো তারা যে সমকামীতার গডফাদার এই জ্ঞান কি তোমাদের আদৌ আছে? আফসোস! কে জানে হয়তো তোমরা আল্লাহর কাছে একজন গ্রহনযোগ্য ব্যক্তির আনুগত্য নয় বরং আমেরিকার কাছে গ্রহনযোগ্য কিছু সেবাদাসের ক্ষপ্পরে পড়তে যাচ্ছ!

কথাগুলো সম্পূর্ণ আমাদের দ্বীনের জিম্মাদারি থেকে ও জাতির চিরস্থায়ী কল্যাণের স্বার্থে উচ্চারণ করছি। আমরা এক তাগুতের বিপরীতে আরেক তাগুতের সরদারকে কস্মিনকালেও প্রত্যাশা করি না। যারা এখন স্পর্শকাতর সিদ্ধান্তগুলোর পেছনে আছেন তাদের উচিৎ ছিল বরেণ্য ওলামায়ে কেরামদের সাথে পরামর্শ করা। অন্তত যারা মাঠে ছিলেন তাদের সাথে। কিন্তু আফসোস আমরা হেফাযত ও চরমোনাইকেও পাত্তা দিচ্ছি না! সম্ভবত তাদের পাত্তা দিলে দেশ আবার সাম্প্রদায়িক শক্তির হাতে চলে যায় কি এই পশ্চিমা ভয়ে!

ভাল করে শুনুন! পশ্চিমারা লিবারেল আর মর্ডারেট ইসলাম চাইবে। খিলাফাহ ইমারাহ শারিয়া এগুলো তাদের কাছে ফান্ডামেন্টালিসম! তাই বলে ওদের সুরে সুর মিলিয়ে নবীর দ্বীনের সাথে গাদ্দারি করে কেউ কবরে না যাই! মনে রাখবেন যদি মুসলিম প্রধান এ দেশে কোন মুভমেন্ট বা বিজয়ের পরে তাওহীদ,শারিয়া আইন ইমারাহ বা খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা না হয়, উল্টো এক তাগুতের পরিবর্তে আরেক তাগুতের বাদশাহ ক্ষমতায় আসে তবে আল্লাহর কসম আমরা আবারও পরাজিত হব! আর যদি আপনারা গতানুগতিক ইসলাম বিবর্জিত কোন মডারেশনের দিকে হাঁটেন তাহলে জেনে রাখুন:

"কাল কিয়ামাতে হাজারো শহীদের সামনে নতুন প্রজন্মের গাদ্দার হয়ে হাশর করবেন"

আর আমি এটাই ভয় করেছিলাম, করছি, করেই যাব যতদিন না আমরা আল্লাহর জমিনে শুধুমাত্র এক আল্লাহর শাসন ইমারাহ ও খিলাফাহ কায়েম না করতে পারি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমিন। শেষ কথা Please Do not betray with the martyrs.

Abu Taw Haa Muhammad Adnan
১ সফর, ১৪৪৬ হিজরি।

419 - 14

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

স্বৈরাচারী পতনে মিষ্টি মুখ।

49 - 1

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

আল্লাহ ছাড় দেয় কিন্তু ছেড়ে দেয় না।

5 - 0

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

#বিজয়_বার্তা

এক মহাকাশ শুকরিয়া মহান আল্লাহর দরবারে যিনি একাই রাজত্বের মালিক। আজকের ঐতিহাসিক এই বিজয়ের একক মালিক। একটি সহজ সরল বার্তা প্রত্যেক মুহাজিদ ভাইয়ের উদ্দেশ্যে:

১.
এক তাগুত সদলবলে পালিয়ে গেছে এতে আমরা যেন তৃপ্তির ঢেকুর না তুলি! আমরা এক এক ফোঁটা রক্তের বদলা চাই আল্লাহর ভাষায় ক্বিসাস চাই। এক একটা জালিমের শারিয়া আঈনে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

২
সেনা শাসন, গণতন্ত্র কিংবা সেকুলারিজম নয়! আমরা চাইব পরিপূর্ণ ইসলামি খিলাফাত এবং শারিয়া আইন প্রতিষ্ঠিত হউক। দেশ চলবে মদিনা সনদ অনুযায়ী। শুরা ভিত্তিক দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম তথা মুরব্বিদের পরামর্শ ও প্রতিভাবান তরুণদের নেতৃত্বে।

৩.
কোন বাম, প্রগতিশীল কিংবা প্রাচীন জাতিয়তাবাদি তথাকথিত গণতান্ত্রিক সিস্টেম নয় আমরা চাইব এক আল্লাহর জমিনে শুধুমাত্র তার তাওহীদ ও বিধান জারি থাকবে।

অন্যথায় আমাদের আরেকটি বিজয়ের অপেক্ষা করতে হবে। হাজারো শহীদ ও লাখো আহত ভাই-বোনের রক্তের সাথে গাদ্দারি হয়ে যাবে।

এক কথায়:
যমিন আল্লাহর বিধান চলবে আল্লাহর!
এ বিজয় আল্লাহর, শাসন চলবে আল্লাহর!

এটাই এক দফার উপরের আসমানি দফা!

Abu Taw Haa Muhammad Adnan
২৯ মুহাররাম,১৪৪৬ হিজরি।
বিকেল ৫ টা৷

246 - 5

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা।🥰

121 - 4

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

আজ ১০ই মহররম প্রবিত্র আশুরা। যারা আশুরার প্রকৃত ইতিহাস জানেন না। তারা আলোচনাটি শুনলে আশুরার প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।🥰
https://youtu.be/xVtERMw6IGA?si=1tU4H...

28 - 1

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

#মুক্তির_জন্য_যুদ্ধ

১.
আমরা সবাই কোন না কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, কেউ হয়তো ছিলাম, আছি, থাকব। সেই ৫২'র থেকে
শুরু করে ৬৯, ৭১, ৭৫ কিংবা ৮৯ এমনকি ২০১৩'র শাপলা চত্ত্বর এক একটি মুভমেন্টের পেছনে সাধারণ ছাত্র সমাজের অনস্বীকার্য অবদান সুস্পষ্ট ও প্রমাণিত।

২.
আমরা লেখাপড়া করব। সততা,মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মক্ষেত্রে যাব, দেশের সেবা করব! পানির মতই সরল সমীকরণ। কোটা যদি থাকেও সেটা হতে হবে নিতান্তই বিশেষ বিবেচনায়। সুতরাং ছাত্র ভাইদের আন্দোলনটি খুবই যৌক্তিক ও বিবেচনাযোগ্য। প্রত্যেক
বিবেকবান মানুষই তাদের পেশকৃত দাবীদাওয়ার সাথে
একমত হবেন। তবে নরপশুদের কথা ভিন্ন!

৩.
আন্দোলন টি একেবারেই প্রাসঙ্গিক, অসাম্প্রদায়িক, অরাজনৈতিক, সেকুলার এবং গণতান্ত্রিক। দেশের সংবিধান অনুযায়ী শতভাগ বিবেচনাযোগ্য। এমনকি ২০১৩'র মে মাসের মত এটি কোন ধর্মীয় আন্দোলনও নয়! যে হাজারো নিরীহ ও নিরস্ত্র মানুষের উপর ঘর অন্ধকার করে, নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করে কয়েক রাউন্ড ফায়ারিং প্র‍্যাকটিস করে আগামীকাল গায়ে লাল রঙ মেখে শুয়ে থাকার মত ফেরাউনি মিথ্যাচার করতে হবে
তাহলে কেন আজকে নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রীদের উপর এহেন পাশবিকতা?

৪.
একটি স্বাধীন দেশের সাধারণ জনগণ শান্তিপূর্ণভাবে একটি খুবই যৌক্তিক দাবি নিয়ে নিরস্ত্র সহ অবস্থান নিয়েছেন। দেশে সরকার আছে। প্রশাসন আছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকবৃন্দ আছেন। সরকার জনগনের দাবি শুনবেন। মধ্যস্থতা করবেন। বুঝাবেন।
যতটুকু মানার মেনে নেবেন। জনসমর্থন বাড়বে। আর যা মানা একেবারেই সাধ্যে নেই সে ব্যপারে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। ব্যাস! প্রশ্ন হচ্ছে এখানে প্রশাসন কেন চড়াও হবে? তারচেয়ে বড় কথা এখানে ছাত্রলীগের কাজ কি?
কে তাকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে একটি গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মত ভুমিকা পালন করতে? সে রাষ্ট্রের কোন সেক্টরের বৈধ প্রশাসনিক বাহিনী! তাদের বেতন কত? রেশন কত? আম জনগণের উপরে সশস্ত্র হামলা করার অধিকার তাকে কে দিয়েছে? তবে কি আমরা উপর থেকে নিচ অবদি মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছি? উত্তর স্পষ্ট! তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়।

৫.
আচ্ছা বাদ দিন বিষয় টি যদি এমনই হয়, যে রাষ্ট্র আজ গুটিকয়েক রেমেসিসের হাতে জিম্মি, ক্ষমতা যার ইচ্ছাও তার। যখন যা ইচ্ছা করবে। সবাই শুধু দেখবে।
কেউ কিচ্ছু বলবে না। বললেই গায়েব অথবা আবরার হয়ে যাবে। অথবা লাল রঙ মাখিয়ে শুইয়ে দেয়া হবে।
বড় ফিরাউনের ছায়ায় থাকবে হাজার হাজার হামান কারুন, পেটপুরে ভুড়িভোজ আর সাত আসমান সম পাপের পাহাড় গড়ার পর যদি সামান্য কিছু বেচে যায় সেগুলো আম জনগণের ভাগ্যে জুটবে, তাহলে সবাই চুপ করে থাকাই শ্রেয়! কারণ জুলুমের চুড়ান্ত সমাজে আপনি বড়ই অসামাজিক। মুখ খুললেই বিপদ! তাই এখানে সবাই নিরব দর্শক কিংবা যাবতীয় জুলুমের এক একজন পাপি সমর্থক!

৬.
আর যদি সত্যি সত্যিই ঈমান ও ইনসাফের শক্তিতে বলিয়ান হয়ে কিছু মানুষ যাবতীয় জুলুমের শেকড় একেবারে গোঁড়া থেকে উপড়ে ফেলতেই চায় তবে সেক্ষেত্রে নাবি মুহাম্মাদ (সা) এর আদর্শ ব্যতিত আর
২য় কোন রাস্তা খোলা থাকে না। আপনি পূর্ণ সিরাতের বাস্তবায়ন ব্যাতিত হাজারো প্রচেষ্টা চালিয়ে নিজেকে আজমিয়ে নিন, দিন শেষে শুধু নিজের গায়ে লাল রঙ মেখেই যাবেন, ৭ দিনের ভাইপ আর ১৪ দিনের আবেগ এর বাহিরে সামগ্রিক ভাবে কিছুই অর্জিত হবে না।
ওয়াল্লাহি কস্মিনকালেও নয়। আল্লাহর কসম সমস্ত মুভমেন্ট ব্যর্থ হবে শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র নববী সুন্নাত, নববী পথ ও পদ্ধতি ব্যতিত! তাহলে কেন বারবার ব্যর্থ হওয়ার জন্যই মাঠে নামা?

৭.
কিছু মানুষ একেবারেই আম জনগণ, খালি হাতে, কোন রকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই, এমনকি হাতে একটা লাঠিও নেই! কোন একটি দাবি আদায়ে সমাবেশ করছে। অথবা শান্তিপূর্ণ সহ অবস্থান অথবা র‍্যালি বা কোন প্রতিবাদ সমাবেশ। এখন যুগ যুগের অভিজ্ঞতা হচ্ছে হয়তো কিছুই মেনে নেয়া হবে না, হলেও সামান্য আই ওয়াশ। ভেতর থেকে মাইন্ড ডাইভার্টিং কোন বিগ গেইমও খেলা হতে পারে! এক ইস্যুর আড়ালে শত শত বড় বড় রাঘোব বোয়াল ইস্যুও চলে যেতে পারে জাদুঘরে!

আবার সুযোগ সন্ধানিরাও নিজ নিজ স্বার্থে একটি ন্যায্য আন্দোলনকে করতে পারে বিতর্কিত! খালি হতে পারে শত মায়ের বুক! মেধাবী কোঠার ক্যান্ডিডেট কমে যেতে পারে কিছু উগ্র বৈধ সন্ত্রাসীর হাতে! এভাবেই কখনো শাপলা তো কখনো শাহাবাগ! চলছে। চলবেই।
৭ দিন লিখবে। ৭ দিন হায় হায়! তারও ৭ দিন পর আরও একটি ইস্যুর বায়বায়! তারপর নতুন আরেকটি
ইস্যুর অপেক্ষা! হে দেশের বিজ্ঞ আলেম সমাজ! বুকে হাত দিয়ে বলুন না! সত্যি কি আমরা মুখ দেখাতে পারব আমাদের রবকে কিংবা আমাদের নবি মুহাম্মাদ (স) কে?

৮.

একটা বিষয় সত্যিই বুঝিনা, আমরা একদল আধুনিক রেমেসিসকে পাক্কা মুসলমানের উসুলে ফেলি। কেউ তাদের মুনাফেক মনে করলেও তাকে খারেজি লকব লাগিয়ে দেই। ইবলিসের গড়ফাদারদের আনুগত্যের দলিল ইস্তেমবাত করি। তারপর সেই চুড়ান্ত তাগুতের কাছেই যাবতীয় দাবি দাওয়া পেশ করি। পক্ষান্তরে সে ফেরাউনি সুন্নাতের উপর আমল করে। আমরা মাথা নিচু করে জি হুজুর জি হুজুর করি। মাঝে মাঝে ২/১ টা আশ্বাসের বাণী শুনিয়ে দেয়, আমরা মিলাদের তবারক জেতার মত তৃপ্তির ঢেকুর তুলি! কখনো বেশি কথা বললে সে আমাদের মার দেয়। ক্লাসের ভদ্র পড়া না করা ছেলেটার মতই আহ উহ শব্দ করে নিরবে মার খাই। এভাবে হাজারটা লাশ পড়লেও আমি চুপ থাকি।
কারণ আমার উসুলে সে পাক্কা মুসলমান তাহাজ্জুদ গোজার একজন হাজ্জিসাপ! কখনো মারি না কিংবা মারার কথা চিন্তাও করি না, মাঠে খেলা হবে টাইপের লাফ দেই কিন্তু খেলার আগে যে সামান্য নেট প্র‍্যাকটিস করতে হয়, বা কিছুটা কসরত করা লাগে সেটাও কখনো করিনা।

এভাবে সে মারতেই থাকে আমি রুকসাতের উসুলে মরতেই থাকি! ধীরে ধীরে টিমের ১১ টা প্লেয়ারই মারা যায়, আমি টুয়েলভ ম্যানের মত গ্যালারির বাইরে পানির বোতল টানি আর পরের জেনারেশন আসলে আবার খেলা হবে এহেল ফাঁকা বুলি ছুঁড়ে আসি!

বিজ্ঞ মুরব্বিয়ে কেরাম একটু বুঝিয়ে বলবেন কি এহেন উসুলের পেছনে কোন মহান হিকমত লুকিয়ে আছে? সত্যি কি আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (স) এভাবেই বিশ্বজয় করেছিলেন? আমি শিখতে চাই। জানতে চাই।সাথে এই জাতিও জানতে চায়। অনেক দেরি হয়েছে! আল্লাহর ওয়াস্তে অন্তত এখন সত্যটুকু স্পষ্ট করুন।

৯.

আজ আর লিখার মত আগ্রহ পাচ্ছি না। খিজিরদের ভাষা নাবি মুসাও বুঝেন নি! কাল আশুরা! আবার হুসাইনে শাহাদাতও বটে! এটা হারাম মাস! কে মানে মহান আল্লাহর কথা? প্রত্যেক তালাবদ্ধ ক্বলবের আধুনিক ফিরাউনরা গওর করে শুনে রাখুন আজকের দিনেই মহান আল্লাহ সারা দুনিয়ার একচ্ছত্র সৈরাচারী
জালেম ফেরাউনকে তার বিশাল সেনাবাহিনী সমেত লোহিত সাগরে যেভাবে ডুবিয়ে মেরেছেন। সেই মহান আল্লাহ আজও জীবিত আছেন। তিনিই আল হাইয়ুন।আল কইয়্যুম। আজ ও আগামীতে তিনি একাই সমস্ত জালেমের চুড়ান্ত হিসেব নেয়ার জন্য যথেষ্ট হবেন।

সেদিনের মাজলুম সেই বানু ইসরাঈল যেভাবে নাবি মুসা (আ) এর হাত ধরে লোহিত সাগর পারি দিয়ে ফিরাউনি জুলুম থেকে চিরতরে নাজাত পেয়েছিল আজও সেই মহান আল্লাহ একাই দুনিয়ার সমস্ত মাজলুমের জন্য যথেষ্ট হবেন ইনশাআল্লাহ। মহাকবি ইক্ববাল সত্যিই বলেছেন।

"আজ তুমমে হুরোকো কই চাহনে ওয়ালাহি নেহি! জালওয়ায়ে তুর তো মওজুদ হে পার মুসাহি নেহি!"

এটা মুহাররাম। আল্লাহর হারাম মাস! কি ফিরাউনি স্পর্ধাই না দেখাচ্ছো হে অহংকারী সম্প্রদায়! তোমাদের জন্য শুধুই আফসোস!

১০.

সাবধান! এটা মুহাররাম! তোমরা ৬১ হিজরির হুসাইনি কারবালার আধুনিক ভার্সনের পথে হেঁটোনা! ভুলেও এমন ইতিহাস রচনা করোনা যে কিয়ামত অবদি এক একজন কাতেলে হুসাইন কে গালি দিতে থাকবে!
আজ অবদি জুলুম কম করোনি! কিভাবেই বা হিসেব দেবে কাল কিয়ামাতে রবের দরবারে? ভয়ে আঁতকে উঠি! হে আধুনিক ইয়াজিদ বাহিনী! কিভাবে জবাব দেবে এই অসীম জুলুমের? কে বাঁচাবে তোমায় সেই মহাপরাক্রমশালী শাদিদুল ইক্ববের হাত থেকে?

Abu Taw Haa Muhammad Adnan
৯ মুহাররাম, ১৪৪৬ হিজরি
ভোর চারটা।
https://youtu.be/spuTUlFFK0Q?si=wtOPh...

65 - 0

Dawaah OFC
Posted 2 months ago

আলহামদুলিল্লাহ।🥰
Dawaah OFC এখন ১ লক্ষ পরিবারের সদস্য। আপনাদের ভালোবাসায় আজ আমরা এ পর্যন্ত। Dawaah OFC চ্যানেলের সকল সদস্যদের জানাই প্রানঢালা শুভেচ্ছা। আশা করি এভাবেই সর্বদা পাশে থাকবেন। ইনশাআল্লাহ।

https://youtu.be/5jUTHkxtFQQ?si=Sjjht...

151 - 2

Dawaah OFC
Posted 3 months ago

যারাই তাদের বি/রু/দ্ধে দাড়িয়েছে
তাদেরকেই তারা শেষ করে দিয়েছে।

https://youtu.be/Ret6I778lxo?si=A55rs...

8 - 1

Welcoem to posts!!

Dawaah OFC Posted 4 weeks ago

Dawaah OFC Posted 1 month ago

Dawaah OFC Posted 1 month ago

Dawaah OFC Posted 1 month ago

Dawaah OFC Posted 1 month ago

Dawaah OFC Posted 1 month ago

Dawaah OFC Posted 1 month ago

Dawaah OFC Posted 1 month ago

Dawaah OFC Posted 2 months ago

Dawaah OFC Posted 3 months ago

Dawaah OFC
Posted 4 weeks ago

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

Dawaah OFC
Posted 1 month ago

Dawaah OFC
Posted 2 months ago

Dawaah OFC
Posted 3 months ago