Path To peace

Path To peace
Posted 1 week ago

সম্পর্কের কোন স্থিতি নেই ,
প্রতিটি সম্পর্কের অন্তরালে লুকিয়ে থাকে প্রয়োজন। প্রয়োজন থেকেই সৃষ্টি হয় ভয়। এবং ভয় থেকেই পূনরায় বাড়ে দূরত্ব। তবুও আমরা সম্পর্কে আবদ্ধ হই , হতে থাকি আর এই প্রপঞ্চই কষ্টের মূল কারণ।
নিজেকে মুক্ত হওয়ার শিক্ষা আমরা গ্রহণ করিনা , কারণ মানুষ স্বভাবতই ভালোবাসে কষ্ট , কষ্ট পেতেই মানুষ সুখানুভূতি অনুভব করে! যেদিন মানুষ সুখের থেকে মুক্ত হতে পারে , একই সঙ্গে মানুষ তখন কষ্টের ঊর্ধ্বে উঠার সিঁড়িও নির্মাণ করে। গভীরদৃষ্টিতে সুখ এবং দুঃখ মানুষের মনের বিভ্রোম।

✑ মানিক শিমুল

0 - 0

Path To peace
Posted 1 month ago

এটা বোঝা খুবই দরকার যে শরীর ঢাকার জন্য পোশাক , পোশাকের মধ্যে একটা শরীর রাখতে হবে তাই শরীরের সৃষ্টি - এটা হাস্যকর এবং অযৌক্তিক চিন্তা। মূলত স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখলে দেখা যায় , প্রতিটি যুগে যে সংঘর্ষের কারণ গুলো দাঁড়িয়েছে তা একজন ধার্মিক এবং আনুষ্ঠানিকতার। তার জন্য - কৃষ্ণ দাঁড়িয়ে গেলেন কথিত আনুষ্ঠানিক ধর্মের বিরুদ্ধে [ সরি বুঝানোর ক্ষেত্রে কৃষ্ণ দাঁড়ানোর কথা বলা, কিন্তু কৃষ্ণ কারো পক্ষে বা বিপক্ষে দাঁড়ান না। তিনি পক্ষপাতিত্ব করেন না। ]। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকতা একজন কৃষ্ণ বা মুহাম্মদ ( সাঃ) এর বিপক্ষে দাঁড়িয়ে যায় । কারণ ধার্মিক ধারণ করেন , ধারণা না। ধারণা বা ধ্যান সাংঘর্ষিক। সেক্ষেত্রে প্রচলতি ধারণার গন্ডি ভেঙে সাধক আবিষ্কার করার চেষ্টা করেন শ্বাশত সত্য।

1 - 2

Path To peace
Posted 1 month ago

সময় খুব দুর্দান্ত লেভেলের প্যারাডক্স , যা খুব সহজেই তার মধ্যে থাকা বৃহৎ শ্রেণীকে কৃতদাসে পরিণত করতে পারে। সময়ের ঊর্ধ্বে উঠার সংকল্প না থাকলে সময়ের এ প্যারাডক্সে চক্রকারে ঘুরতে থাকে জীবন। বুদ্ধিমত্তা এবং বিচক্ষণতা সময়ের এই প্যারাডক্স বুঝতে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।

[ ধ্যান গভীর অর্থে বুদ্ধিমত্তা এবং বিচক্ষণতার সিঁড়ি ]

- মানিক শিমুল

2 - 0

Path To peace
Posted 2 months ago

আমি এই জীবনে কিছুই পেলাম না, আর এখন মৃত্যু আমার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যুর পর কি কিছু পাবো?

জীবন থাকতে যদি কিছু না পাও, তাহলে মৃত্যুতে কি পাবে? মৃত্যু হলো জীবনের পরিণতি। মৃত্যু জীবনের শেষ নয়। মনে রাখবে। আমি আবারও বলছি, জীবন মৃত্যুতে শেষ হয় না, বরং পরিপূর্ণ হয়। তাই জীবনে যা অর্জিত হয়নি তা মৃত্যুতে পাওয়ার কোন উপায় নেই। জীবনে যা কিছু অর্জিত হয়েছে, তা পরিমার্জিত হয়ে মৃত্যুতে পাওয়া যায়। মৃত্যু জীবনের একটি সারমর্ম। যার জীবনে ফুল আর ফুল ছিল, তার মৃত্যুতে সেই সব ফুলের সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।

মৃত্যুতে অনেক কিছু পাওয়া যায়, কিন্তু সেটা তখনি, যখন তুমি জীবনে ফুলের চাষ করবে। তুমি যদি সারা জীবন কাঁটা বপন করো, তাহলে এই আশা কখনো করবে না যে, মৃত্যুর মধ্যে হঠাৎ ফুল ফুটবে। যদি তুমি সারা জীবন আবর্জনা সংগ্রহ করে থাকো, তাহলে মৃত্যুর কাছে এমন কোন জাদুবিদ্যা নেই যে, সেই আবর্জনাকে হীরা-রত্নে রূপান্তর করে দিবে। কিন্তু তোমাদের মোল্লা, পন্ডিত ও পুরোহিতরা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তোমাদের সাথে প্রতারণা করে আসছে। তারা ভালো করে জানে যে, তোমার জীবন শূন্য হয়ে যাচ্ছে, তাই তারা তোমাকে আশ্বাস দিতে থাকে: আতঙ্কিত হবে না, মরার সময় ঈশ্বরের নাম নিবে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। মক্কা মদিনায় বা গয়া কাশি বৃন্দাবনে ঘুরে আসো, তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। মৃত্যুর সময় যদি কেউ তোমার মুখে গঙ্গাজল বা জমজমের পানি ঢেলে দেয়, তাহলে তুমি স্বর্গে (জান্নাতে) চলে যাবে। মৃত্যুর সময় যদি কেউ তোমার কানে গায়ত্রী মন্ত্র পাঠ করে, অথবা কুরআনের আয়াত পুনরাবৃত্তি করে তাহলে তুমি স্বর্গে (জান্নাতে) চলে যাবে।

এমন সস্তা বাণিজ্যিক আলোচনায় ধোকায় পড়ে যেও না। এই ধরনের লোকেরাই ধর্মকে মূল্যহীন করেছে; তাদের কারণে ধর্মের গুরুত্ব ও মর্যাদা হারিয়ে গেছে।

আমি এটা বলতে পারবো না যে, তুমি জীবনে যা পাওনি সেটা মৃত্যুর পরে পাবে। আর তুমি এখনো বেঁচে আছো। এখন যদি প্রশ্ন করতে পারো, তাহলে এর উত্তরও খুঁজে পাবে। এখনো বেশি দেরি হয়নি। এখন কোন কিছু নিয়ে ভাবতে পারবে, চিন্তা করতে পারবে এবং চিন্তাহীনও হতে পারবে। ধরে নিলাম, মৃত্যু তোমার দরজায় কড়া নাড়ছে, কিন্তু কার দরজায় কড়া নাড়ছে না? তুমি কি মনে করো যে, মৃত্যু কেবল বৃদ্ধ বয়সেই দরজায় কড়া নাড়ে? মৃত্যু তো সেদিন থেকে কড়া নাড়তে শুরু করেছে, যেদিন তুমি জন্ম নিয়েছ। তুমি শুনো বা না শুনো, সেটা অন্য বিষয়। জন্মের দিন থেকেই মৃত্যুর যাত্রা শুরু হয়ে গেছে। একদিন বেঁচে থাকার অর্থ হলো, একদিন মরে যাওয়া; জীবনের আয়ুষ্কাল একদিন কমে গেল।

মৃত্যু প্রতিদিন আসে আর যায়। এমন নয় যে, একদিন হঠাৎ সত্তর বছর বয়সে দরজায় এসে উপস্থিত হয়। মৃত্যুর এই ধারণা ত্যাগ করো। মৃত্যু কোন আকস্মিক ঘটনা নয়। তোমার জীবনের সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও বিকশিত হয়। এক পা যদি জীবন হয়, তাহলে অন্য পা হয় মৃত্যু; দু'জনে একসঙ্গে হাঁটছে। যেমন তোমার ছায়া তোমার সঙ্গে হাঁটছে, ঠিক তেমনি মৃত্যুও তোমার সঙ্গে হাঁটছে।

কিন্তু তুমি জীবনে কিছুই পাওনি। কেন? কী কারণে পাওনি? এখনো সময় আছে একটু ভেবে দেখো। এখনো কিছু হারিয়ে যায়নি। আচ্ছা মেনে নিলাম, জীবনের সন্ধ্যা শুরু হয়ে গেছে, তারপরেও চিন্তা করো না। পাখিরা নীড়ে ফিরতে শুরু করেছে, তুমিও ফিরে এসো। এখনো খুব বেশি দেরি হয়নি। কিন্তু মৃত অবস্থা থেকে ফিরে আসতে পারবে না। সূর্য অস্ত যাচ্ছে, ফিরে এসো। কিন্তু তারপরেও তোমার ফেরার কোনো ইচ্ছা দেখা যাচ্ছে না। তারপরেও তুমি নতুন আশা তৈরি করতে চাও। এখনো চিন্তা করছো, মৃত্যুর পর যদি কিছু পাওয়া যায়।

কোন কিছু নিজ থেকে কখনো ঘটেনি, আর না কখনো ঘটতে পারে। যদি তুমি কিছু করো তাহলে কিছু হবে। আর তুমি জীবনে কি করেছ? কত মানুষ জীবনকে দোষ দেয়! কত মানুষ বলে জীবন অর্থহীন! কিন্তু তারা কখনোই এটিকে অর্থবহ করার চেষ্টা করেনি।

তুমি কি জীবনকে কখনো অর্থ দিতে চেয়েছিলে? কোন চেষ্টা করেছিলে? কোন সাধনা করেছিলে? অর্থ আসে সাধনার অনুশীলন থেকে। জীবন একটা খালি কিতাব। ঈশ্বর প্রত্যেক ব্যক্তিকে একটি খালি কিতাব ধরিয়ে দেয়, তারপরে সেই কিতাবে কেউ যদি চায় 'গালি বা গীত লিখতে পারে; অথবা কাঁটার ছবি আঁকতে পারে বা ফুল সাজাতে পারে।' ঈশ্বর সবকিছু তোমার হাতে ছেড়ে দিয়েছে। জীবনের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা তোমাকে দিয়েছে। তোমার জীবন তোমাকে দিয়েছে, ক্ষমতা দিয়েছে, শক্তি দিয়েছে, সুযোগ দিয়েছে, সময় দিয়েছে। এখন তুমি এই জীবন থেকে যা কিছু বানাতে চাও তাই বানাতে পারবে। এখানেই কোন ব্যক্তি “বুদ্ধ(আ:) মুহাম্মদ(আ:) কৃষ্ণ(আ:) মহাবীর(আ:) এবং যীশু(আ:) হয়ে ওঠে, এবং এখানেই কেউ চেঙ্গিস খান এবং অ্যাডলফ হিটলার হয়ে ওঠে। সুযোগ উভয়ের জন্য সমান ছিল, সামান্যতম পার্থক্য ছিল না। আর এখানে এরকম আরো অনেক মানুষ আছে, যারা কিছুই হতে পারে না; তারা খালি কিতাব নিয়ে ঘোরাঘুরি করে, আর বারবার কিতাব খুলে বলতে থাকে জীবনে কিছুই নেই, এটা অর্থহীন।

জীবনে কিছু রঙ যোগ করো। জীবনে কিছু গীত এবং মাধুর্য যোগ করো। জীবনের অর্থ এমনিতেই পাওয়া যায় না, অর্থ তৈরি করতে হয়। কিন্তু শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমরা এই ভ্রান্তির মধ্যে বাস করছি যে, জীবনের অর্থ আমাদের রেডিমেড পাওয়া উচিত। আর তুমি কতদিন বাচ্চা হয়ে থাকবে? সন্তান ভূমিষ্ঠ হলে সে মায়ের দুধ পায়। সেই দুধে সব ধরনের পুষ্টিগুণ রয়েছে। কিন্তু কতদিন দুধ পান করতে থাকবে? কখনো চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করো! কখনো নিজের হাতে বাঁচতে শুরু করো! কিন্তু আমরা শুধু মুখ গুঁজে বসে আছি, অপেক্ষা করছি যে, কখন কেউ এসে আমাদের মুখে চিবিয়ে খাওয়াবে। আমরা এতটুকু পরিশ্রমও করতে চাই না।

আমার কাছে সন্ন্যাসের একটাই অর্থ, ‘জীবনের অর্থ যোগ করার শিল্প।‘ গৃহস্থ হল সেই ব্যক্তি যে জীবনে কোন অর্থ যোগ করে না; যে খালি কিতাব নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর যদি কখনো সেই কিতাব ব্যবহার করে, তাহলে শুধু বাজারে গিয়ে কি কি পণ্য কিনবে, তার একটি তালিকা তৈরি করে এবং সে কত টাকা আয় করে তার হিসাব রাখে। এরকম কিছু ফালতু কথা তার কিতাবে লিখে রাখে। মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এমন কাজ করতে থাকে। আশ্চর্যজনক মানুষ! তারপরেও তুমি বলছো, কোন অর্থ নেই! মনে হচ্ছে অর্থ অন্য কেউ লিখবে! সবকিছু তোমার হাতে। জীবনে রঙ পূরণ করো। এতটুকু রঙ অস্তিত্বে আছে!

তুমি সাবধানে একবার নিজের জীবন পুনর্বিবেচনা করে দেখ! এক ঘন্টার জন্য নীরব হয়ে নিজের জীবনের দিকে তাকাও। তুমি কি করেছ জীবনকে নিয়ে? টাকার পিছনে দৌড়িয়েছ? পদ পদবীর পিছনে দৌড়িয়েছ? এগুলো শুধু কাগজের নৌকা। আর এখন তুমি বলছো, ‘আমি এই জীবনে কিছুই পেলাম না, আর এখন মৃত্যু আমার দরজার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। মৃত্যুর পর কি কিছু পাবো?’

আমাকে ক্ষমা করো। মৃত্যুতেও তুমি কিছুই পাবে না। তুমি জীবনে যা কিছু অর্জন করেছ বা যা কিছু অর্জন করোনি, সেটাই ঘনীভূত হয়ে মৃত্যুতে দেখতে পাবে। যদি তোমার জীবন দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে থাকে, তাহলে মৃত্যু হবে দুঃস্বপ্ন। যদি তোমার জীবনে সবকিছু বৃথা হয়, তবে মৃত্যু তোমাকে নিক্ষেপ করবে অর্থহীনতার মরুভূমিতে, যেখানে দূর-দূরান্তে কোনো সবুজ দেখা যায় না। কিন্তু এখনো বেশি দেরি হয়নি। এখনো তুমি বেঁচে আছো, আর কে জানে কতদিন বেঁচে থাকবে!

আর প্রশ্ন সময়ের নয়, এটি তীব্রতা, দ্রুততা, অন্তর্ভুক্তির প্রশ্ন। যদি কোন ব্যক্তি চায় তাহলে এই মুহূর্তের মধ্যে জীবনে বিপ্লব আনতে পারে। আর যদি কেউ চায় বহু জন্ম এভাবে ঘুরে বেড়াবে- পেষণকারী ষাঁড় হয়ে, তাও পারবে। তুমি শুধু এভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছ। তুমি কি মনে করো এটাই তোমার প্রথম জন্ম, না! তুমি পুরানো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। এভাবে তোমার অনেক জন্ম হারিয়ে গেছে। হেরে যাওয়াটা তোমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এই জীবনও হারিয়ে যাচ্ছে।

তারপরেও আমি নিশ্চিত নই যে, তুমি জীবনে কিছুই পাওনি এই কথা বলে তোমার উদ্দেশ্য কী। তোমার কি রাষ্ট্রপতি হওয়ার কথা ছিল? প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা ছিল? শিল্পপতি হওয়ার কথা ছিল? কারণ আমি তাদেরও কাঁদতে দেখেছি। তাদের অবস্থা তোমার চেয়েও খারাপ। তারা কি পেয়েছে?

"একটা গল্প মনে পড়ে গেল। মহাখালী বাসস্ট্যান্ডে একটি শিশুকে কাঁদতে দেখে কন্টাক্টর বাস থামিয়ে জিজ্ঞাসা করলো: এই ছেলে, কী হয়েছে?
আমার টাকা, যা দিয়ে আমি টিকিট কিনতাম, হারিয়ে গেছে।
কোন সমস্যা নেই, আমি তোমাকে বিনামূল্যে নিয়ে যাব।
বাসে বসে ছেলেটি আবার কাঁদতে লাগল এবং কন্টাক্টর জিজ্ঞেস করল: ভাই, এখন কি হয়েছে?
শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বললো: আমার সত্তর টাকা কোথায়, যা টিকিট কেনার পর অবশিষ্ট থাকতো?"

এই জগৎ বড়ই অদ্ভুত! এখানে যা কিছু পাওয়া যায়না কেন, তারপরেও কিছুই পাওয়া হয় না- সত্তর টাকা কোথায়? শিশুটি ঠিকই বলেছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং যাদের অনেক টাকা আছে তাদের জিজ্ঞাসা করো। “তাদের কাছে যা আছে তা নিয়ে কথা বলবে না; তাদের কাছে যা নেই তা নিয়ে কথা বলবে।“

“যাকিছু তোমার কাছে আছে, সেটা তুমি দেখতে পাও না।“

আমি জানি না তুমি জীবনে কি অর্জন করতে চেয়েছিলে? আমি ধরে নিচ্ছি যে, তুমি আত্মা, ঈশ্বর বা সমাধি উপলব্ধি করোনি। এটা আমার ভুল ধারণাও হতে পারে। ঈশ্বর এবং সমাধির সাথে তোমার কোনো সম্পর্ক নাও থাকতে পারে, তুমি হয়তবা সুন্দরী স্ত্রী চেয়ে ছিলে, সেটা পাওনি। অথবা তুমি ধনসম্পদ ও পদমর্যাদার জন্য অনেক দৌড়ঝাঁপ করেছ, হয়তবা সফল হওনি।

আমি জানি না তুমি জীবনে কোথায় পরাজিত হয়েছ, ধনসম্পদ বা পদমর্যাদার দৌড়ঝাঁপে হেরে গেছো? যদি তুমি এটাই ভেবে থাকো, তাহলে পাওয়ার পর কি পেতে? যারা পেয়েছে তারা কি পেয়েছে?
জীবনের একমাত্র প্রাপ্তি চিরন্তনকে জানা। আর যদি তুমি তাকে এখনো না জেনে থাকো, তবে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করো না। মৃত্যুর উপর কোন বিশ্বাস নেই কখন এসে পড়ে! যতটুকু সময় অবশিষ্ট আছে তাকে ব্যবহার করো। আর যদি তোমার ইচ্ছা প্রবল হয়, তাহলে এই সামান্য সময়ই যথেষ্ট। মৃত্যু তোমাকে কিছুই দিতে পারবে না, কিন্তু এই সামান্য সময়টাকে যদি তুমি সঠিকভাবে কাজে লাগাও ধ্যানের জন্য, সমাধির জন্য; উৎসর্গ করো ঈশ্বরের চরণে – তাহলে এই জীবনেই তা ঘটবে। আর জীবনে যা ঘটে, সেটা মৃত্যুর মধ্যেও ঘটে।

ঈশ্বর ব্যতীত কোন স্মরণ নেই, কে তোমাকে বুঝাবে তুমি ছাড়া; অন্য কোথাও থেকে বোধের সূর্য উঠে না। আর তোমাকে যা করতে হবে তা হল খুবই ছোট একটা জিনিস: শুধু মনের নিরর্থক শোরগোল থেকে নিজেকে খালি করতে হবে, যেন তুমি তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে পাও। তোমাকে এমন নীরব হতে হবে যে, তিনি যখন কথা বলবে তোমাকে যেন বধির না পায়। এতটুকু যথেষ্ট।

আমি প্রার্থনার অর্থ এটা করতে চাই না যে, তুমি ঈশ্বরকে কিছু বলবে। এটা প্রার্থনার (নামাজের) ভুল অর্থ। প্রার্থনার প্রকৃত অর্থ হল: তুমি এতটাই নীরব হয়ে যাও যে, ঈশ্বর কিছু বললে তুমি যেন তা শুনতে পাও। আর সেই মুহূর্ত থেকেই তোমার জীবন অর্থবহ হয়ে উঠবে! কারণ সেই মুহূর্ত থেকে মৃত্যু তোমার জীবন থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। সেই মুহূর্ত থেকে জন্ম এবং মৃত্যু বলে কিছু থাকবে না; শুধু জীবনই জীবন - অনন্ত জীবন! যার কোন শুরু নেই, শেষ নেই। আর তোমার মধ্য হতে এরূপ আনন্দের প্রস্রবণ বর্ষিত হতে পারে, তোমার নিকট হতে এরূপ গীত উৎপন্ন হতে পারে—যেমন গীত উপনিষদে আছে; যেমন গীত কুরআনে আছে; যেমন গীত গুরু গ্রন্থ সাহিবে আছে। এই সমস্ত গীত এভাবেই প্রকাশ হয়েছে। তারা সমাধির ফুল।

আমি মৃত্যু শেখাই
Osho

4 - 0

Path To peace
Posted 3 months ago

আপনাদের ভালোবাসা এবং স্নেহে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা পেলাম। একধাপ একদিন একহাজার ধাপে পরিণত হোক। সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। এভাবেই সঙ্গে থাকুন , আপনাদের অনুপ্রেরণা হোক আমার চলার পথের সারথি।

1 - 0

Path To peace
Posted 3 months ago

যে দূরে থাকে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। যে নিজের থেকে অভিন্ন , তাকে খোঁজা মূর্খতা। [ এটা জানাই প্রজ্ঞা ]

✑ মানিক শিমুল

1 - 0

Path To peace
Posted 3 months ago

তবু মন বাঁধে ঘরে শূন্য লোকালয় ,
ডেকে বলে ধূসর ছায়া , ফুরালে বেলা - আঁধারে মিশে রঙ সেও যে কালো হয়। এ জগৎ তবে কি জগৎ না , শুধু সুখের-ও বিমূর্ত ছায়া!

বিঃদ্রঃ এতো সুন্দর একটা মেয়ে, কিন্তু পৃথিবীতে কখনো তার পা পরেনি। একট Ai আর্ট -

- উদ্ভট চোখে তাঁকিয়ে দেখি , আমি কি আছি? না একটা মায়া , যে মনে করছে আমি আছি। তবে জগৎ কি প্রপঞ্চ মাত্র!

✑ মানিক শিমুল

1 - 0

Path To peace
Posted 3 months ago

https://youtu.be/nQvgzxxVVxQ

2 - 0

Path To peace
Posted 4 months ago

মানুষ জন্মেই মৃত্যকে জানার জন্য।
যে মৃত্যুকে জানতে পারে , সে জীবনের উচ্ছ্বাস খুঁজে পায়।
দ্বিতীয়ত্ব - জীবন হচ্ছে একটা জন্মের জন্য, যে জীবনে জন্মায় বুদ্ধরূপী অসংখ্য ফুল।

[ Manik Shimul ]

2 - 0

Path To peace
Posted 4 months ago

https://youtu.be/3FltRBvNHNg

1 - 0

Welcoem to posts!!

Path To peace Posted 1 week ago

Path To peace Posted 1 month ago

Path To peace Posted 1 month ago

Path To peace Posted 2 months ago

Path To peace Posted 3 months ago

Path To peace Posted 3 months ago

Path To peace Posted 3 months ago

Path To peace Posted 3 months ago

Path To peace Posted 4 months ago

Path To peace Posted 4 months ago

Path To peace
Posted 1 week ago

Path To peace
Posted 1 month ago

Path To peace
Posted 1 month ago

Path To peace
Posted 2 months ago

Path To peace
Posted 3 months ago

Path To peace
Posted 3 months ago

Path To peace
Posted 3 months ago

Path To peace
Posted 3 months ago

Path To peace
Posted 4 months ago

Path To peace
Posted 4 months ago