Sharmishtha Sammy Majumdar

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 days ago

Stage আমাকে সবসময়ই ভীষণ আকর্ষণ করে .....আগে Stage এ গান গাইতাম, এখন সঞ্চালকের ভুমিকায় 🥰......vivo v50 একটি ফোন নতুন launch করেছে তারই ছোট্ট একটা নিবেদন

28 - 4

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

সরস্বতী পূজো 2025

93 - 4

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

২৯ তারিখ দুর্ঘটনার দিন একজন কুম্ভযাত্রী হিসেবে আমার এক্সপিরিয়েন্স:
অমৃতস্নানের আগের দিন অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি আমরা গাড়ি নিয়ে পৌঁছে ছিলাম ঝুঁসি (সঙ্গম ঘাট থেকে ৯ কিমি)।এই ঝুঁসির দূরত্বই সব চেয়ে কম সঙ্গম ঘাট থেকে ।সেখানে মাত্র ১০০ টাকা/দিন গাড়ি রেখে আমরা চলে গিয়েছিলাম মেলা প্রাঙ্গণে। লোকাল ছেলেরাই বাইক সার্ভিসের মাধ্যমে আমাদের পৌঁছে দিয়েছিল সঙ্গম থেকে মাত্র ১ কিমি দূরে ২২ নাম্বার সেক্টরের সামনে, যাতে আমাদের লেগেছিল ১০০ টাকা মাথাপিছু তবে কিছু কিছু জায়গায় ৫০০-১০০০ টাকাও ডিমান্ড করতে পারে। পরে জানতে পেরেছিলাম যারা প্রয়াগরাজ থেকে আসছে তাদের ১৫ কিমি হাঁটতে হয়েছে + তারা স্নান করতে পারেনি + ফেরার সময় ভীষন আরও বেশি জ্যামের সম্মুখীন হয়েছে।

২৮ তারিখ বিকেল বেলায় বাইক থেকে নেমে আমরা মেলা প্রাঙ্গণে ২২ নাম্বার সেক্টরে গাটা ৮ দিয়ে প্রবেশ করেছিলাম। যারা জানেননা তাদের বলি পুরো সঙ্গম এলাকাটা ৪০ টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে, এক একটি সেক্টরের দূরত্ব পরস্পরের থেকে ২-৩ কিলোমিটার দূর। ২ দিকের ঘাটের মধ্যে পিপে দিয়ে বানানো হয়েছে অস্থায়ী “পিপা পুল” । মেলায় প্রবেশ করার পর যে দিকে তাকাবেন সেইদিকেই জনজোয়ার। কোটি কোটি মানুষ প্লাস্টিক চাটাই পেতে পড়ে আছে এখানে ওখানে। ঘাট সংলগ্ন এলাকাতেও এরকম দেখা যায়। টেন্টে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে কিন্তু সমস্ত টেন্টই অমিল ।

২৮ তারিখে আমাদের প্রথম কাজই ছিল কোথায় স্নান করবো সেই জায়গাটি খুঁজে বের করা। মেলায় কোন গেট বা সেক্টর কোন দিকে সেটা জিজ্ঞাসা করতে হলে করতে হবে পুলিশকে, মিলিটারীদের জিজ্ঞাসা করলে কোনো লাভ পাবেননা। সেইভাবেই জিজ্ঞাসা করতে করতে আমরা পৌঁছে গেলাম সঙ্গম ঘাটের কাছে বোটিং এ। বোটে উঠলে ৫০০-১০০০ টাকা মাথাপিছুর বিনিময় ওরা একদম সঙ্গম এর এলাকায় গিয়ে স্নান করিয়ে আনবে ,আমরা যদিও ওই দিন স্নান করিনি তবে ঘাটে সারি সারি পোল রয়েছে এবং প্রতিটা পোল ১ ২ ৩ ৪ করে নাম্বার করা রয়েছে। ২৩১ নাম্বার পোল সঙ্গমের সব চেয়ে কাছে বলে আমরা চিহ্নিত করে গিয়েছিলাম।

এখানে হেলিকপ্টার সার্ভিস ও রয়েছে যাতে গোটা এলাকাটা হেলিকপ্টারে করে ঘোরানো হয় মাত্র ১৭০০ টাকা মাথাপিছুতে। এই হেলিকপ্টার বুকিং এর জন্য যেতে হবে ২৫ নাম্বার সেক্টরে।*২২ নাম্বার সেক্টর* থেকে *২৭ নাম্বার পিপা পুল* দিয়ে আপনারা পৌঁছে যাবেন *২৪ নাম্বার সেক্টরে* সেখান থেকে যেতে হবে *২৫ নাম্বার সেক্টরে*। তাতে হাঁটতে হবে অনেক দূর।

২৮ তারিখ রাত্রি বেলায় মেলা প্রাঙ্গণের ঠিক বাইরে একটা হোমস্টে তে আমরা ছিলাম। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো আপনারা আসলে শীতবস্ত্র এবং কম্বল সঙ্গে করে আনবেন কারণ ঠান্ডা ভালো মতোই থাকে এবং যেখানেই থাকুন না কেন সামান্য ম্যাট্রেস ছারা এ কিছুই পাবেননা। আমরা যেখানে ছিলাম সেটা একজনের বাড়ি সেরকম আসে পাশের বাড়িতেও ঘর ভাড়া পাবেন।

২৯ তারিখ সকাল বেলা আমরা স্নানের জন্য বেড়িয়েছিলাম ৭-৭.৩০ টার মধ্যে। আগেই বলেছি আমরা যেখানে ছিলাম সেটা মেলা প্রাঙ্গণের একদম কাছে , সঙ্গম ঘাট থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে। সেক্টর ২২ এর গাটা ৩ দিয়ে আমরা প্রবেশ করেছিলাম এবং হেঁটে হেঁটে পৌঁছে গিয়েছিলাম আগের দিনের চিহ্নিত করা ২৩১ নাম্বার পোলের কাছে।

ঘাট সংলগ্ন এলাকায় নেমে প্রথমেই যেটা চোখে পড়ে সেটা হলো ভালো ভালো কম্বল জুতো জোরা সব কিছু কাদা মেখে এখানে ওখানে পড়ে আছে । ঘাটে এসে জানতে পারলাম মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই ঘরে গেছে দুর্ঘটনার বিষয় টা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল সেক্টর ৯ এ। আমাদের ধারণা যারা ঘাটে প্লাস্টিক পেটে শুয়ে ছিলো এটি তাদের সাথেই ঘটেছে এবং যে সমস্ত কম্বল জামা জুতো আমাদের চোখে পড়েছিল সেগুলো ও তাদেরই। যা জানতে পারলাম তা হলো রাত্রি ২ টোর সময় থেকে স্নান শুরু হয় এবং কোটি কোটি মানুষ চলে যায় স্নান করতে। জনজোয়ার টা এমনিই ছিলো যে ভেঙে যায় ব্যরিকেট, পুলিশ মিলিটারি কোনো ভাবেই এই কোটি কোটি মানুষের ভিড় ঠেকাতে পারেনি। রাট ২ টোর নাগাদ শুরু হয় হূরহুড়ি । আমাদের ধারণা মৃত ও আহতের সংখ্যা খবরে যা দেখানো হচ্ছে তার থেকে অনেক অনেক গুন বেশি।

৭.৩০ টায় ঘাটে পৌঁছে আমরা স্নান এ নামি। কোন বোট চলছে না কিন্তু বোট গুলো সারি বদ্ধ ভাবে ঘাটের সামনে ব্যারিকেটের মতোন করে দাঁড় করানো। ঘাটে যা ভিড় তাতে লাগেজ রাখা বা স্নান করে উঠে জামা চেঞ্জ করা কোনও টাই সম্ভব নয় । বোট গুলো চলছে না ঠিকই কিন্তু ৫০০ টাকা দিলে বোটের উপর জিনিসপত্র রেখে, স্নান করে আবার বোটে উঠেই চেঞ্জ করা যায় আমরাও তাই এই করলাম।

স্নান করে সিদ্ধান্ত নিলাম কোন দিকে না তাকিয়ে ঝুঁসি গিয়ে গাড়ি নিয়ে ফেরার পথ ধরাই ভালো। বাইক সার্ভিস নিয়ে আবার আমরা পৌঁছে গেলাম ঝুঁসিতে সেখান থেকে ফেরার পথে রওনা দিলাম।

বেনারস থেকে শুরু হলো এক ভয়ঙ্কর জ্যাম। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর গাড়ি হয়তো ৫ মিটার সামনে এগচ্ছে। আমরা যেটা ধরেছিলাম সেটা ছিল সার্ভিস রোড। মেইন রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখি লক্ষ লক্ষ গাড়ি প্রাণহীন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। মেইন জিটি রোডে কোনও গাড়ি এগচ্ছে না,যেটুকু এগচ্ছে সেটা সার্ভিস রোডে। ৮ ঘণ্টা ধরে আমরা একটু একটু করে এগোলাম মাত্র ৩ কিমি। আর পাশেই মেইন জিটি রোডে যেটা দেখলাম সেটা দেখে নিজেকে ভাগ্যবান বিজেতা বলে মনে হচ্ছিল।

দেখলাম ৬ লেনের রাস্তার এদিকেও ট্রাক ওদিকেও ট্রাক (>< খানিক তা এই এরকম)। ট্রাক গুলো মুখ মুখী দাঁড়িয়ে আছে ফলে রাস্তা ব্লক, পেছনে দাঁড়িয়ে আছে আরও বহু ট্রাক এবং একটা তেও ড্রাইভার নেই। শুধু তাই নয় ট্র্যাক্টর এ করে ইট ভর্তি করে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় পড়ে আছে শুধু ইট ভর্তি অংশ টুকু , ইঞ্জিন উধাও হয়ে গাছে । তারই মধ্যে মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ ভর্তি অজস্র বাস এবং ছোট গাড়ি। তারা সামনেও এগোতে পারছে না পেছতেও পারছেনা। কোথায় খাবে কোথায় টয়লেট যাবে কোথায় শুবে কোন
ঠিক ঠিকানা নেই।কম করে ৩০ কিমি মতো জ্যাম দেখে ছিলাম। কোন দিকের গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। বলাই বাহুল্য কোথাও কোনো পুলিশ নেই যারা জ্যাম ছাড়াবে।

৮ ঘণ্টা জ্যাম এ দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে গুগল ম্যাপস দেখে গ্রামের রাস্তা ধরে ঘুরতে ঘুরতে উত্তর প্রদেশ থেকে বাইরে বেরোলাম। ভেবেছিলাম বিহারে ঢুকে গেলে আর জ্যাম পাবনা কিন্তু হাসেন অন্তর্যামী । কিছুটা যাওয়ার পর দেখেলাম আবার একই অবস্থা, অন্য সাইড টায় তখনও গাড়ি উল্টো দিকে যাচ্ছে। আমাদের দিকের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে বহু ট্রাক তাতে কোন ড্রাইভার নেই।অনেক ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর , ৪ ইন্ডিকেটর জেলে উলটো দিকে রাস্তা তা তেই ঢুকে পড়লাম। এগোতে এগোতে একজায়গায় পুলিশ আমাদের ধরে জোর করে যেদিকে জ্যাম সেই রাস্তা টায় ঢুকিয়ে দিল।

কোন উপায় না দেখে আবারও গুগল ম্যাপস খুলে রাত ৩ টের সময় গ্রামের রাস্তায় নেমে প্রায় ৩০ কিমি এদিক ওদিকের অন্ধকার ঘুটঘুটে রাস্তা ধরে আবার মেনরোডে উঠলাম। এর পর থেকে ঝাড়খণ্ড এ ঢোকার পর আর কোনো জ্যাম পাইনি। গুগল ম্যাপস এক্ষেত্রে একটা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলায় যখন ঢুকলাম অবশেষে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। পরে শুনছি ৪ তারিখ পর্যন্তঃ জ্যাম এভাবেই বজায় থাকবে।
🖋️ sharmishtha Sammy Majumder

#mahakumbh2025

27 - 0

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

🚩🚩সুপ্রভাত …. কুম্ভ মেলা থেকে মাত্র আর ১০০কি.মি দূরে …. হর হর মহাদেব🙏🙏 Mahakumbho2025

35 - 1

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

ভোর ৪ টায় প্রয়াগের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছি দেখাযাক আজকে কতদূর পৌঁছাই! হর হর মহাদেব! 🚩🕉️ #mahakumbh2025

22 - 3

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

চলেছি “ মহা কুম্ভের” উদ্দেশ্যে , স্নান করবো (29January মৌনি অমাবশ্যার দিন)….. না! ট্রেনের টিকিট পাইনি , আজ থেকে শুরু হবে এক দুঃসাহসিক যাত্রা …. কি ভাবে গেলাম, কোথায় থাকলাম ,কেমন “অমৃত স্নানের” মুহূর্ত … সব কিছুই blog মাধ্যমে share করবে …. আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে

28 - 4

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago

মঙ্গলবার হলেই বেড়াতে মন চাওয়া আমার মন 🌸

53 - 6

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago

এটা আমার না হয়েও আমার থুরি বোনের 🌸🥰

79 - 2

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago

ছবি তুলতে আমি বরাবরই ভালোবাসি …. আজ মেয়ের কলেজে ….. পলাশী কলেজ

122 - 7

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago

কৃষ্ণনগরে জগদ্ধাত্রী ঠাকুর দেখতে গিয়ে কি সুন্দর পেঁচা কিনেছি দেখো 🥰

61 - 2

Welcoem to posts!!

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 3 days ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 3 months ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 3 months ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 3 months ago

Sharmishtha Sammy Majumdar Posted 3 months ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 days ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 4 weeks ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago

Sharmishtha Sammy Majumdar
Posted 3 months ago