AHB MEDIA | Poke

AHB MEDIA
Posted 15 hours ago

‪@ahbmedia24‬

ইসলামে পীর-মুরিদির ব্যাপারে কোরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ নিচে দেওয়া হলো:

🔹 পীর-মুরিদির সংজ্ঞা:
পীর হলো এমন একজন আধ্যাত্মিক গাইড বা শিক্ষক, যিনি ইসলামী জ্ঞান ও আত্মশুদ্ধির পথে অনুসারীদের (মুরিদ) দিকনির্দেশনা দেন। মুরিদ হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি পীরের অনুসরণ করে আত্মশুদ্ধি, ইবাদত-বন্দেগি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের চেষ্টা করেন।

🔹 কোরআন ও হাদিসের আলোকে পীর-মুরিদি:
✅ শরীয়তসম্মত পীর-মুরিদি:
আল্লাহ ও রাসুলের অনুসরণ:
কোরআনে আল্লাহ বলেন—
❝হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং সত্যবাদীদের সঙ্গী হও।❞
📖 (সুরা তাওবা 9:119)

ব্যাখ্যা: সত্যনিষ্ঠ আলেম, আধ্যাত্মিক গাইড বা পীরদের সঙ্গে থাকা শরীয়তসম্মত, যদি তারা কোরআন ও হাদিসের আলোকে দীক্ষা দেন।

উত্তম শিক্ষকের অনুসরণ:
রাসুল (ﷺ) বলেন—
❝যে ব্যক্তি আল্লাহর পথে চলতে চায়, আল্লাহ তাকে এমন একজন গাইড বা হাদী (পথপ্রদর্শক) দান করেন, যিনি তাকে সঠিক পথে পরিচালিত করেন।❞
📖 (তিরমিজি: 2645)

ব্যাখ্যা: একজন যোগ্য পীর বা শিক্ষক গ্রহণ করা বৈধ, যদি তিনি কোরআন-হাদিস অনুসরণ করেন এবং শিরক-বেদআত পরিহার করেন।

আত্মশুদ্ধির জন্য শিক্ষকের প্রয়োজন:
আল্লাহ বলেন—
❝যারা নিজেদের অন্তরকে পবিত্র করে, তারাই সফল।❞
📖 (সুরা আশ-শামস 91:9)

রাসুল (ﷺ) সাহাবাদের আত্মশুদ্ধি শেখাতেন, তাই একজন যোগ্য শিক্ষক বা পীরের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধির চর্চা শরীয়তসম্মত হতে পারে।

❌ শরীয়তবিরোধী পীর-মুরিদি (বর্জনীয় বিষয়সমূহ):
পীরকে সবজান্তা বা গায়েবের খবর জানে মনে করা ❌
📖 (সুরা আল-নামল 27:65)—
❝গায়েবের (অদৃশ্য) জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর।❞

পীরের দরবারে সেজদা বা ইবাদতমূলক সম্মান করা ❌
📖 (সাহিহ মুসলিম: 5326)—
❝রাসুল (ﷺ) বলেন, যদি মানুষ কাউকে সিজদা করত, তাহলে স্ত্রীকে তার স্বামীর প্রতি সিজদা করতে বলতাম, কিন্তু ইবাদত একমাত্র আল্লাহর জন্য।❞

পীরকে আল্লাহর সাথে শরিক করা বা তাকে আল্লাহর দোহাই দিয়ে কিছু চাওয়া ❌
📖 (সুরা ইউনুস 10:18)—
❝তারা আল্লাহ ছাড়া অন্যদের কাছে প্রার্থনা করে, যারা তাদের কোনো উপকার বা ক্ষতি করতে পারে না।❞

নজর-নেওয়াজ বা কবরপূজা করা ❌
📖 (সাহিহ বুখারি: 1330, মুসলিম: 969)—
❝রাসুল (ﷺ) কবরপূজা কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।❞

পীরের নামে মুরিদদের টাকা-পয়সা, জমি-জায়গা দান করানো বা ব্যবসা চালানো ❌
📖 (সুরা আল-বাকারা 2:188)—
❝অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না।❞

🔹 সারসংক্ষেপ:
✅ যদি পীর কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে মানুষকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করেন, তাহলে তা বৈধ।
❌ যদি পীর-মুরিদি শিরক, বিদআত ও ভ্রষ্টতায় পরিণত হয়, তাহলে তা হারাম।

📌 উপসংহার:
পীর-মুরিদির সম্পর্ক গুরু-শিষ্যের মতো হতে হবে, যেখানে মুরিদ আল্লাহর দিকে ফিরে যায় এবং পীর শুধুমাত্র কোরআন-হাদিস অনুযায়ী তাকে সঠিক পথ দেখান। কোনোরকম শিরক, বিদআত, কবরপূজা, টাকা নেওয়া বা মুরিদদের উপর কর্তৃত্ব ফলানো ইসলামে নিষিদ্ধ।

https://youtu.be/0C5PM8s65m0

0 - 0

AHB MEDIA
Posted 6 days ago

🔹 নবী করিম (সা.) কি নূর? ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা | কুরআন ও হাদিসের আলোকে বিশ্লেষণ | Brother Rahul

ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, নবী কারিম মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে "নূর" (আলো) বলা হয় কিছু নির্দিষ্ট অর্থে। এই ব্যাখ্যাগুলো প্রধানত কুরআন, হাদিস ও ইসলামি পণ্ডিতদের ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে গঠিত:

১. আধ্যাত্মিক নূর (রুহানী আলো)
নবী মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে মানবজাতির জন্য সত্য ও সঠিক পথের দিশারী ছিলেন। কুরআনে বলা হয়েছে:

اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
“আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর নূর।” (সুরা আন-নূর: ৩৫)

নবীজি (সা.) আল্লাহর পক্ষ থেকে পথপ্রদর্শক ছিলেন, যার মাধ্যমে মানুষ সত্য ও হেদায়েতের আলো পেয়েছে।
২. কুরআনের আলো হিসাবে নবী (সা.)
কুরআনে নবীজিকে স্পষ্টভাবে "নূর" বলে উল্লেখ করা হয়েছে:

وَدَعَٰٓ إِلَى ٱللَّهِ بِإِذْنِهِۦ وَسِرَاجًۭا مُّنِيرًۭا
“(হে নবী!) আপনি আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর দিকে আহ্বান করুন এবং আপনি একটি উজ্জ্বল প্রদীপস্বরূপ।” (সুরা আল-আহযাব: ৪৬)

এখানে "সিরাজা মুনীরা" (উজ্জ্বল প্রদীপ) দ্বারা নবী (সা.)-এর আলোকে বোঝানো হয়েছে, যা মানুষের জন্য দিকনির্দেশক।
৩. নূরের সৃষ্ট জীব (মাখলুক)
কিছু ব্যাখ্যায় বলা হয়, নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর অস্তিত্ব আল্লাহ সর্বপ্রথম নূর (আলো) থেকে সৃষ্টি করেছেন। কিছু হাদিসে উল্লেখ আছে যে,

أَوَّلُ مَا خَلَقَ اللَّهُ نُورِي
“আল্লাহ প্রথম যাকে সৃষ্টি করেছেন, তা হলো আমার নূর।”

যদিও এই হাদিসটি প্রামাণ্যতার দিক থেকে বিতর্কিত, তবে অনেক সুফি পণ্ডিত এবং ইসলামী চিন্তাবিদ বিশ্বাস করেন যে, নবীজি (সা.) ছিলেন আধ্যাত্মিকভাবে প্রথম সৃষ্ট সত্তা।
৪. নবী (সা.)-এর চরিত্র ও আখলাকের আলো
নবী মুহাম্মাদ (সা.)-এর আখলাক এত উচ্চমানের ছিল যে, তিনি মানবজাতির জন্য এক নূরের মতো ছিলেন। তার সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবিক গুণাবলি মানুষকে পথ দেখিয়েছে।

উপসংহার
নবী (সা.)-কে "নূর" বলা হয় আধ্যাত্মিক, কুরআনের নির্দেশনা, চরিত্রের মহত্ব ও দিকনির্দেশক আলো হিসেবে। তবে ইসলামী আকিদা অনুসারে, তিনি একজন মানুষ এবং আল্লাহর সৃষ্টি। তাই তাকে "নূরের সৃষ্ট জীব" বলা হলেও, সরাসরি "আল্লাহর অংশ" বা "স্রষ্টার নূর" বলা শরিয়তসম্মত নয়।

https://youtu.be/zWNmmkGqvRQ

2 - 0

AHB MEDIA
Posted 3 weeks ago

ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টন একটি অতুলনীয় ন্যায়বিচার এবং সাম্যের দৃষ্টান্ত, যা আল্লাহর নির্ধারিত বিধানের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এটি কেবল একটি আইনগত প্রক্রিয়া নয়, বরং একটি আধ্যাত্মিক দায়িত্ব যা পারিবারিক সম্প্রীতি এবং সামাজিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কুরআন ও হাদিসে পরিষ্কারভাবে নির্ধারিত হয়েছে, মৃত ব্যক্তির সম্পদ কীভাবে তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টিত হবে। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত সীমা (হুদুদ) এবং এর কোনো পরিবর্তন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সূরা নিসার আয়াতসমূহে উত্তরাধিকারীদের জন্য অংশ নির্ধারণ করা হয়েছে, যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করে।

ইসলামের অনন্য বৈশিষ্ট্য: সম্পদের ন্যায্য বণ্টন
ইসলাম নির্দিষ্ট নিয়মের মাধ্যমে সম্পদের বণ্টনকে স্বচ্ছ এবং ন্যায়সঙ্গত করেছে।

পুরুষ ও নারীর অধিকার:
কুরআন ঘোষণা করেছে, পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য উত্তরাধিকার রয়েছে। কন্যা, স্ত্রী, মা বা বোন—তাদের জন্য নির্ধারিত অংশ সুনির্দিষ্ট। উদাহরণস্বরূপ, পুত্র কন্যার তুলনায় দ্বিগুণ পায়, কারণ পুত্র পরিবারের আর্থিক দায় বহন করে।

প্রথম সারির উত্তরাধিকারী:
পিতা-মাতা, সন্তান এবং স্ত্রী বা স্বামী তাদের জন্য ফরজ অংশ নির্ধারিত।

স্বামী পায় স্ত্রীর সম্পত্তির ১/৪ (সন্তান থাকলে) বা ১/২ (সন্তান না থাকলে)।
স্ত্রী পায় স্বামীর সম্পত্তির ১/৮ (সন্তান থাকলে) বা ১/৪ (সন্তান না থাকলে)।
পুত্র কন্যার চেয়ে দ্বিগুণ অংশ পায়।
ইচ্ছাপত্র (ওয়াসিয়্যাহ):
একজন ব্যক্তি তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ পর্যন্ত ইচ্ছাপত্রে অন্য কাউকে দান করতে পারেন। তবে এটি উত্তরাধিকারীদের ফরজ অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে না।

সম্পদ বণ্টনের আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ
ইসলামে সম্পদ বণ্টনের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিশ্চিত করা হয়:

মৃত ব্যক্তির ঋণ পরিশোধ।
ইচ্ছাপত্র বাস্তবায়ন।
দাফন-কাফনের খরচ বহন।
নারীর অধিকারের প্রতি বিশেষ জোর
ইসলাম নারীর উত্তরাধিকার সুরক্ষিত করেছে, যা সেই যুগে বিপ্লবী উদ্যোগ ছিল। কন্যা, স্ত্রী এবং মায়েরা তাদের প্রাপ্য অংশ পায়, যা সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার একটি প্রধান স্তম্ভ।

কুরআনের শাশ্বত বাণী
আল্লাহ বলেন:
“পুরুষের জন্য আছে সেই সম্পদের অংশ যা তাদের পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয় রেখে গেছেন এবং নারীর জন্যও আছে সেই সম্পদের অংশ যা তাদের পিতা-মাতা ও নিকট আত্মীয় রেখে গেছেন। তা সামান্য হোক বা বেশি—এটি নির্ধারিত অংশ।”
— (সূরা নিসা: ৪:৭)

উপসংহার: জীবনের ন্যায়বিচার ও আল্লাহর সীমা
ইসলামী উত্তরাধিকার সম্পদ বণ্টন ব্যক্তিগত ইচ্ছার চেয়ে আল্লাহর নির্দেশকে অগ্রাধিকার দেয়। এটি একদিকে পারিবারিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে, অন্যদিকে ন্যায়বিচার এবং সামাজিক ভারসাম্য নিশ্চিত করে।

"আল্লাহর বিধান মেনে চললে জীবন হয় সুন্দর এবং আখিরাতে প্রতিফল অনন্য।"
https://youtu.be/z95dcut2ly8

0 - 0

AHB MEDIA
Posted 4 weeks ago

#ইমান_ভঙ্গের_কারণ
মুসলমানের ইমান ভঙ্গের কারণ হতে পারে এমন কিছু বিষয় রয়েছে, যা ইসলামী আকীদা ও শরীয়তের মূলনীতির বিপরীত। ইমান ভঙ্গকারী বিষয়গুলো সাধারণত কুফর, শিরক, নিফাক বা স্পষ্ট গুনাহের সাথে সম্পর্কিত। নিচে এ ধরনের কারণগুলোর কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো:

১. আল্লাহর উপর বিশ্বাসহীনতা বা কুফর
আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করা।
আল্লাহর একত্বে (তাওহিদে) বিশ্বাস না রাখা।
আল্লাহর কোনো গুণ (যেমন: সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান) অস্বীকার করা।
২. শিরক করা (আল্লাহর সাথে অংশীদার করা)
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করা।
কবর, মূর্তি, বা অন্য কোনো সৃষ্টির কাছে সিজদা করা।
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো প্রতি দোয়া বা সাহায্যের জন্য চূড়ান্তভাবে নির্ভর করা।
৩. পয়গম্বরদের অস্বীকার করা
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নবুয়ত বা তার আনীত ইসলামের অস্বীকৃতি।
রাসূলের (সা.) কোনো বিধানকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা।
৪. কুরআন বা ইসলামী শরীয়তকে অস্বীকার করা
কুরআনের কোনো আয়াত, হাদিস বা ইসলামী আইন অস্বীকার করা।
ইসলামি শরিয়তের বিধানগুলোকে হাস্যকর বা অপ্রয়োজনীয় মনে করা।
৫. মুরতাদ হওয়া বা ইসলাম ত্যাগ করা
স্পষ্টভাবে ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা করা।
অন্য কোনো ধর্ম বা মতবাদ গ্রহণ করা।
৬. তাচ্ছিল্য বা বিদ্রুপ করা
আল্লাহ, রাসূল, কুরআন বা ইসলামি বিধানের প্রতি বিদ্রুপ করা বা উপহাস করা।
৭. হারাম কাজ বা বিশ্বাসে লিপ্ত হওয়া
জাদু (ম্যাজিক) করা বা এর প্রতি বিশ্বাস রাখা।
এমন কাজ করা যা আল্লাহর ওপর অবিশ্বাস প্রকাশ করে, যেমন: রুকইয়া (ঝাড়ফুঁক) বা তাবিজে শিরকমূলক বিশ্বাস রাখা।
৮. আল্লাহর হুকুম অমান্য করা
যদি কেউ ইসলামের মূল ফরজ কাজ (যেমন: সালাত, রোজা) ইচ্ছাকৃতভাবে অস্বীকার করে।
হারাম কাজগুলোকে হালাল মনে করা।
৯. ইসলামের মূল নীতির বিরোধিতা করা
ইসলামের বিধানকে পরিবর্তন করার চেষ্টা করা বা তা অগ্রহণযোগ্য মনে করা।
আল্লাহর শরীয়তের স্থলে অন্য কোনো আইন-বিধিকে শ্রেষ্ঠ মনে করা।
১০. নিফাক বা মুনাফেকি
বাহ্যিকভাবে মুসলিম দাবি করা, কিন্তু অন্তরে কুফর লুকিয়ে রাখা।
সতর্কতা:
ইমান ভঙ্গের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সাথে পর্যালোচনা করা উচিত। কারও ইমান ভঙ্গ হয়েছে কিনা, তা নিশ্চিতভাবে বলা খুব সংবেদনশীল বিষয়। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তিকে সরাসরি কাফির বা মুরতাদ বলা উচিত নয়, যতক্ষণ না শরীয়তের বিশেষজ্ঞরা বিষয়টি যাচাই করেন।

ইসলামী ইমানের সুরক্ষা এবং সঠিক আকীদায় অবিচল থাকার জন্য নিয়মিত কুরআন-হাদিস অধ্যয়ন এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা উচিত।
https://youtu.be/HiGEpRocOdg

5 - 0

AHB MEDIA
Posted 1 month ago

___ইসলামে সামগ্রীক বিজয় কিভাবে সম্ভব__
১. তাওহীদের প্রতি প্রত্যাবর্তন
ইসলামের মূল ভিত্তি হল তাওহীদ (আল্লাহর একত্ববাদ) প্রতিষ্ঠা করা। এটি নিশ্চিত করা যে ব্যক্তি এবং সমাজ আল্লাহকে তাদের একমাত্র উপাস্য, বিধানদাতা এবং শাসক হিসেবে মেনে চলছে।
আল্লাহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার জন্য ইবাদাত, দোয়া এবং আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ বিশ্বাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. ইসলামী শিক্ষা ও চেতনার বিস্তার
কুরআন এবং সুন্নাহর আলোকে সমাজে ইসলামী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে।
ইসলামের সঠিক জ্ঞান সমাজে প্রচার করা এবং ভুল ধারণাগুলোর প্রতিবাদ করা।
শিশুদের এবং যুব সমাজকে ইসলামী আদর্শে শিক্ষিত করা।
৩. ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা
ইসলামে সামগ্রিক বিজয়ের অন্যতম শর্ত হল সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। অন্যায়, দুর্নীতি, শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।
নিজ পরিবার থেকে শুরু করে বৃহত্তর সমাজে ইসলামের ইনসাফপূর্ণ বিধান প্রয়োগ করা।
৪. ইসলামী ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব
মুসলিম উম্মাহর মধ্যে বিভক্তি দূর করে ঐক্য গঠন করা।
বিভিন্ন মাযহাব, মতবাদ এবং সংস্কৃতির মধ্যে পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে একটি শক্তিশালী মুসলিম উম্মাহ তৈরি করা।
উম্মাহর স্বার্থে পরস্পরের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।
৫. নৈতিক উন্নয়ন
বিজয় তখনই সম্ভব যখন ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং সামাজিক জীবনে উচ্চ নৈতিক মান বজায় থাকে।
প্রতিটি মুসলিমকে আল্লাহভীরু, সত্যবাদী, দায়িত্বশীল এবং সৎ হতে হবে।
৬. আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞান অর্জন
ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং অর্থনীতির জ্ঞান একত্রে ব্যবহার করে উম্মাহকে শক্তিশালী করা।
ইসলামিক ফাইন্যান্স এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করা।
৭. দাওয়াহ কার্যক্রম
ইসলামের বার্তা সবাইকে পৌঁছে দিতে দাওয়াহর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে ইসলামের সৌন্দর্য এবং মানবতার জন্য তার উপযোগিতা তুলে ধরা।
৮. আল্লাহর ওপর পূর্ণ তাওয়াক্কুল ও সংগ্রাম
ব্যক্তিগত এবং সামাজিক পর্যায়ে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল রাখা।
সামগ্রিক বিজয়ের জন্য চেষ্টা করা, ধৈর্যধারণ করা এবং প্রয়োজন হলে আল্লাহর পথে সংগ্রামে অংশগ্রহণ করা।
উপসংহার
ইসলামে সামগ্রিক বিজয় অর্জন এক দিনে সম্ভব নয়। এটি ধৈর্য, অধ্যবসায় এবং আল্লাহর সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল। ইসলামী আদর্শ অনুযায়ী ব্যক্তি থেকে সমাজ, এবং সমাজ থেকে বিশ্বকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আল্লাহ বলেন:

“তোমরা পরস্পর সহযোগিতা করো ন্যায় ও ধর্মপরায়ণতায় এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরকে সাহায্য করো না।” (সূরা মায়েদা: ২)
পুরো আলোচনাটি শুনতে...ক্লিক https://youtu.be/W8Hk7Bqvvuc

3 - 0

AHB MEDIA
Posted 1 month ago

ভণ্ড পীররা সমাজে ধর্মীয় আবরণের আড়ালে প্রতারণা চালিয়ে থাকে। এরা সাধারণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ও বিশ্বাসকে পুঁজি করে আর্থিক ও মানসিক শোষণ করে। অনেক ভণ্ড পীর জিন, তাবিজ, ওঝার নামে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সমস্যার সমাধান করার ভান করেন, যা বাস্তবিকভাবে ক্ষতিকর ও বিভ্রান্তিকর। তাদের কর্মকাণ্ড ধর্মের প্রকৃত মর্মবাণীর বিপরীত এবং সমাজে বিশৃঙ্খলা ও কুসংস্কার ছড়ায়। ভণ্ড পীরদের চিনে এদের বিরুদ্ধে সচেতন হওয়া প্রয়োজন, যাতে ধর্মের নামে প্রতারণা বন্ধ হয়।

https://youtu.be/zRFtuMPbHUo

1 - 0

AHB MEDIA
Posted 1 year ago

আলহামদুলিল্লাহ 🤲🤲

0 - 0

AHB MEDIA
Posted 1 year ago

Allah amader imani sokti biddi kore den..amin.😭😭

0 - 0

AHB MEDIA
Posted 1 year ago

ALLAH amader sobai diner sothik boj dan koren amin,.

3 - 0

AHB MEDIA
Posted 2 years ago

কেউ হয়তো বলবেন লাখ টাকা দিলেও
এমন বিছানায় ঘুমাবেন না,
কিন্তু এক মিনিটের জন্য ভাবুন কর্মের
ফলে আপনার আমার কবরের বিছানা যদি
এমন হয়??🙂
আল্লাহ আমাদের সবাই কে হেফাজত করুন,আল্লাহ এবং রাসূল (সাঃ) এর বলা মতো সঠিক দিনের ওপর চলতে পারি সেই তৌফিক দান করুক।
আমিন।।🤲

4 - 1

Welcoem to posts!!

AHB MEDIA Posted 15 hours ago

AHB MEDIA Posted 6 days ago

AHB MEDIA Posted 3 weeks ago

AHB MEDIA Posted 4 weeks ago

AHB MEDIA Posted 1 month ago

AHB MEDIA Posted 1 month ago

AHB MEDIA Posted 1 year ago

AHB MEDIA Posted 1 year ago

AHB MEDIA Posted 1 year ago

AHB MEDIA Posted 2 years ago

AHB MEDIA
Posted 15 hours ago

AHB MEDIA
Posted 6 days ago

AHB MEDIA
Posted 3 weeks ago

AHB MEDIA
Posted 4 weeks ago

AHB MEDIA
Posted 1 month ago

AHB MEDIA
Posted 1 month ago

AHB MEDIA
Posted 1 year ago

AHB MEDIA
Posted 1 year ago

AHB MEDIA
Posted 1 year ago

AHB MEDIA
Posted 2 years ago