Yashmita Fans World @UCUwmOrDdtXF7mPMjnlPMeXw@youtube.com

12K subscribers - no pronouns :c

it's A Fan Page Of Yash Dasgupta & Modhumita sarcar.So Yashm

Videos Posts Playlists

Welcoem to posts!!

in the future - u will be able to do some more stuff here,,,!! like pat catgirl- i mean um yeah... for now u can only see others's posts :c

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

আজ বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টায় একটি মিউজিক ভিডিও আসছে,আশা করি তোমাদের সবার ভালো লাগবে❤️

115 - 5

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

অনেকদিন হলো কোনো ভিডিও দেয়া হয় না
আজ একটা ভিডিও বানাতে চাই.।।
Suggest Me A Song Guys💕

179 - 11

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

আগামী আগস্ট মাসে আমার এইচএসসি পরীক্ষা,তাই আমি এখন পড়ালেখা নিয়ে একটু ব্যস্ত থাকবো। সময় করে গল্প লেখা হবে না তাই আমি ঠিক করেছি পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত আমি "না বলা ভালোবাসা" ও "অরণ্য-পাখির ভালোবাসা" গল্প দেবো না,পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে আবার দেয়া শুরু করবো। "আজও ভুলিনি তোমায়" চলবে। আর মাঝে মাঝে তোমাদের খুশির জন্য ইয়াশমিতাকে নিয়ে মিউজিক ভিডিও আপলোড করবো...আশা করি তোমরা সবাই আমার দিক বিবেচনা করবে,আমার পাশে থাকবে💞তোমরা পাশে থাকলে আমি আরও অনেক অনেক গল্প নিয়ে আসবো ভিন্নধর্মী। সবাই আমার জন্য দোয়া করবে আমি যাতে সুস্থ ভাবে আর ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়ে আবার খুশি মনে তোমাদের জন্য লিখতে পারি😌💜

236 - 10

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

#আজও_ভুলিনি_তোমায়

~|| এপিসোড-১৩ ||~

❝ দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে কয়েকটা মাস,ইয়াশ মধুমিতা দিশা অভি ওরা এখন অনেক ভালো বন্ধু অরায় সময় একসাথেই বেশিরভাগ সময় কাটে ওদের,একে অপরের সাথে হাসি ঠাট্টা মজা করেই কলেজের সময় কেটে যায়,বাইরেও ঘোরাঘুরি হয় মাঝে,,,ইয়াশ আর মধুমিতার বন্ধুত্ব টাও এতদিনে অনেকটা গাঢ় হয়েছে,প্রায় কাজেই একসাথে থাকে,একে অপরের সাথে অনেকটাই মিশে গেছে ❞

~~~ || 🅈🄰🅂🄷'🅂 🄷🄾🅄🅂🄴 || ~~~

❝ রাত তখন ১২ টা,ইয়াশ একা রুমে বসে আছে,অনুষ্কা ইয়াশের রুমের দিকেই আসছিলো...ইয়াশের মনটা বেশ খারাপ,চোখে জল ছলছল করছে, মনে পরে যাচ্ছে ছোটবেলায় মায়ের সাথে কাটানো মূহুর্তের কথাগুলো,কারণ আজ যে ইয়াশের মায়ের মৃত্যুদিন,,এই দিনটায় ইয়াশ সবার থেকেই নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে রাখে,অনুষ্কা ইয়াশের রুমে আসে,ইয়াশকে দেখে খাটের এক সাইডে বসে আছে,চোখ বেয়ে জল পরছে, মায়ের কথা খুব মনে পরছে,,অনুষ্কা গিয়ে কাধে হাত রাখতেই পেছনে ফিরে অনুষ্কা কে জড়িয়ে ধরে কেদে ফেলে,অনুষ্কার চোখ বেয়েও গড়িয়ে পরছে জল ❞

অনুষ্কাঃ কাদিস না ভাই....কাদিস না...আমি আছি তো....তুই এভাবে কাদলে আমার কি ভালো লাগবে বল...?

ইয়াশঃ দি....আমার খুব মায়ের কথা মনে পরছে দি...ইচ্ছা করছে ছুটে মায়ের কাছে চলে যাই কিন্তু...কিন্তু যেতে পারছি না...দি এই পৃথিবীটা এত নিষ্ঠুর কেনো বল তো...? মানুষের কাছে থেকে মানুষের ভালোবাসার জিনিসগুলোকেই কেনো কেড়ে নেয়....?

অনুষ্কাঃ এভাবে বলিস না ভাই...এটা নিয়ম...আমাদের সবাইকেই তো একদিন যেতে হবে সেটা একদিন আগে হোক বা একদিন পরে,মা হয়তো আমাদেরকে ছেড়ে একটু আগে চলে গেছে....

ইয়াশঃ না দি...আমার মা আমাকে ছেড়ে, তোকে ছেড়ে কোনোদিন যেতো না,,, শুধু ওই লোকটার জন্য....ওই লোকটার জন্য আমি আমার লাইফ থেকে মা'কে হারিয়েছি....

অনুষ্কাঃ এভাবে বলিস না ভাই....আমি তোকে বারণ করছি তো...দেখ ভাই তোর বা আমার আমাদের যেমন মায়ের জন্য কষ্ট হয় তেমন বাবারও কিন্তু কষ্ট হয়,,,কিন্তু দেখ তুই কাদার জন্য আমাকে পেলেও বাবা কিন্তু কাউকে পায় না...তাই চাইলেও নিজের কষ্ট টাকে প্রকাশ করতে পারে না...ভাই তুই উনার ছেলে,নিজের ছেলে তুই যদি এরকম বলিস তাহলে উনার কষ্ট টা তো বেড়ে যায় তাইনা....

ইয়াশঃ দি...তুই আজ আমার কাছে থাকবি প্লিজ...আমার কিছু ভালো লাগছে না....দি ছোটবেলায় মা যেমন আমাদেরকে মাথায় হাত বুলিয়ে গান শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিতো তুই আমাকে দিবি দি....

❝ ইয়াশের কথা শুনে অনুষ্কার চোখ বেয়ে জল পরতে থাকে, কিন্তু ইয়াশকে সামলানোর জন্য ওকে যে শক্ত থাকতেই হবে,তাই চোখের জল মুছে নেয় ❞

অনুষ্কাঃ আমি আছি ভাই...তোর কাছেই আছি...তোর পাশেই আছি...তুই একটু শুয়ে পর...শান্ত হ ভাই....

❝ অনুষ্কা ইয়াশকে শুইয়ে দিয়ে ইয়াশের মাথার কাছে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকে,একসময় ইয়াশ ঘুমিয়ে পরে ❞

❝ সকাল বেলা,,ইয়াশ আর অনুষ্কার মায়ের বাতসরিক এর অনুষ্ঠানের যোগাড় করা হচ্ছে,অনুষ্কা সব টা গুছিয়ে নেয়,,আশে পাশে কিছু গরিব বাচ্চাদের দান করা হবে,আশ্রমে খাবার ও বস্ত্র পাঠানো হবে,এ দিক টায় অভিষেক সাহায্য করছে, ইয়াশ পুজোয় বসে,বাতসরিক এর কাজ শুরু হয় ❞

~~~~ || 🄲🄾🄻🄻🄴🄶🄴 🄲🄰🄼🄿🅄🅂 || ~~~~

❝ মধুমিতা আর দিশা কলেজ এসে পৌছেছে,,কলেজ আসার পর অনেকটা সময় কেটে যায় কিন্তু অভি বা ইয়াশ কাউকেই কলেজে না দেখে মধুমিতা একটু অবাক হয়,মধুমিতা জানতো না ইয়াশের মায়ের মৃত্যুদিন আজ,মধুমিতা দিশার কাছে যায় ❞

মধুমিতাঃ কি ব্যাপার বল তো...অভি ইয়াশ কেউ ই এখনো কলেজে এলো না...এত দেরি তো ওদের কখনো হয় না...আমাদের আগেই এসে যায়,, আজ কি হলো...আসবে না নাকি....?

দিশাঃ না রে...তোকে বলা হয়নি...আজ ইয়াশের মায়ের মৃত্যুদিন তাই ওদের বাড়িতে বাতসরিক এর কাজ হবে,, সাথে কয়েকটা আশ্রমে কিছু জিনিস দান করা হবে...ইয়াশ নাকি এই দিনে নিজেকে সবকিছুর থেকেই অনেকটা দূরে রাখে,,আর ওর বাবার সাথে ওর একটু সমস্যা আছে জানিস তো...তাই অভি আংকেলের সাথে আংকেল কে একটু সাহায্য করবে তাই আসেনি.....

মধুমিতাঃ আজ ওর মায়ের মৃত্যুদিন....আমাকে একবারও বললো না তো....জানিস ও ওর মা'কে খুব ভালোবাসে,,,এখনো খুব মিস করে,,,মায়ের চলে যাওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারে নি...তাই হয়তো এখনো নিজেকে গুটিয়ে রাখে একটু শান্তির জন্য....

দিশাঃ হ্যা রে...এমনিতে ছেলেটা কতটা হাসিখুশি,,,সবাইকে মাতিয়ে রাখে কিন্তু নিজের মনের মধ্যে অনেকটা কষ্ট জমিয়ে রেখেছে রে...

মধুমিতাঃ আসলে বাবা মা আমাদের জীবনের এমন একটা জিনিস যা না থাকলে..আমাদের জীবনটাই উলট পালট হয়ে যায়...আমি বুঝি রে মা বাবাকে ছাড়া জীবনে চলাটা কতটা কঠিন...এত কিছু থাকার পরেও কেমন যেনো মনে হয় মাথার উপরের ছাদ টাই হয়তো নেই....যাই হোক শোন না.।।কলেজ শেষ করে একবার যাবি....ওদের বাড়িতে...?

দিশাঃ হুম যাওয়া যেতেই পারে...তুই বউমনি কে বলে নিস বাড়ি ফিরতে দেরি হবে...আমার তো কোনো সমস্যা নেই...

মধুমিতাঃ ঠিকাছে আমি বউমনি কে বলে রাখবো....

❝ মধুমিতা আর দিশা ক্লাসে যায়....ক্লাস শেষ করে ওরা দুজনে মিলে ইয়াশের বাড়ির দিকে যায়৷,, ততক্ষনে বাতসরিকের কাজ শেষ হয়েছে,অভি আর ইয়াশের বাবা আশ্রমের দিকে গেছে,মধুমিতা আর দিশা বাড়িতে ঢুকে বাড়িতে ঢুকেই অনুষ্কার সাথে দেখা ❞

~~~ || 🅈🄰🅂🄷'🅂 🄷🄾🅄🅂🄴 || ~~~

অনুষ্কাঃ মধুমিতা....দিশা তোমরা...এসো ভেতরে এসো....

মধুমিতাঃ কেমন আছো অনুষ্কা দি...?

অনুষ্কাঃ এই তো চলে যাচ্ছে....আসলে আজ মায়ের....

মধুমিতাঃ হুম আমরা শুনেছি...অভি বলেছে আমাদের....ইয়াশ কোথায় অনুষ্কা'দি....?

অনুষ্কাঃ ভাই....নিজের ঘরেই আছে,,সব কাজ শেষ করে তারপর ঘরে গেছে,,এখন অনেকটা সময় একাই কাটাবে,, কারো সাথে কথা বলবে না...প্রতিবছর এটাই করে ভাই...এত করে বোঝাই কিন্তু শুনতেই চায় না....

মধুমিতাঃ কেদো না দিদি....কারো মৃত্যু তো আমাদের হাতে থাকে না...যে কোনো সময় যে কাউকে চলে যেতে হয়...

অনুষ্কাঃ কিন্তু ভাই তো এটা বোঝে না...এই দিন টায় ভাই পুরো বাচ্চা হয়ে যায় জানো...আসলে মা ভাইকে খুব ভালোবাসতো আর ভাই ও সবসময় মায়ের সাথেই থাকতো...ভাইয়ের সব আবদার মায়ের কাছেই ছিলো....মায়ের নেউটা ছিলো পুরো....তাই ভাই না এখনো মায়ের চলে যাওয়াটা মেনে নিতে পারে না....কে জানে এভাবে একা থেকে, কারো সাথে কথা না বলে নিজের কোন কষ্ট টাকে চেপে দেয়ার চেষ্টা করে....মা চলে যাওয়ার সময় আমার হাত দু'টো ধরে বলে গেছিলো আমার ছোট্ট ছেলেটাকে তোর দায়িত্বে রেখে যাচ্ছি.. ওর কোনো অযত্ন হতে দিস না...সেই থেকেই না আমি ভাইকে পুরো নিজের সন্তানের মতো করে বড় করছি...ও যতই অনিয়ম করুক যাই করুক ওকে আমি কিছু বলতে পারি না...ওকে কিছু বলতে গেলেই চলে যাওয়ার সময় মায়ের মুখটা....

❝ অনুষ্কার কথাগুলো শুনে মধুমিতার চোখ দিয়েও জল পড়তে থাকে ❞

মধুমিতাঃ আমি জানি বাবা মা না থাকলে কতটা একা লাগে,,,মনে হয় হাজার মানুষের ভিড়েও আমি একা কিন্তু আমাদেরকে বেচে থাকতে হলে এই কঠিন সত্যি টাকে মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হয়....যাই হোক..আমি একবার ইয়াশের ঘরে যাবো....?

অনুষ্কাঃ যাবে....যেতে পারো,, দেখো ওকে বোঝাতে পারো কিনা....

❝ মধুমিতা ইয়াশের রুমে যায়,ইয়াশকে রুমে না দেখতে পেয়ে হঠাৎ ইয়াশের রুমের পুল সাইডের দিকটায় চোখ পরে তারপর মধুমিতার মনে পড়ে ইয়াশ বলেছিলো ওর মন খারাপ হোক ভালো হোক ও সেখানে গিয়ে বসে থাকে,এটা মনে পরতেই পুল সাইডে যায় মধুমিতা,দেখতে পায় সেখানেই বসে আছে ইয়াশ,,,বিষন্ন মনে কোন ভাবনায় ডুবে আছে,চোখ ছলছল করছে জল....মধুমিতার চোখেও জল এসে যায়...মধুমিতা চোখের জল মুছে নিয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে ইয়াশের কাছে যায়,ইয়াশের পাশে বসে, ইয়াশ বুঝতে পারে মধুমিতা এসেছে কিন্তু কিছু বলে না...কেমন পাথরের মতো বসে থাকে ❞

মধুমিতাঃ কিছু বলবে না....?

ইয়াশঃ কি বলবো..?

মধুমিতাঃ তোমার যা খুশি তাই বলো...কিন্তু চুপ করে থেকো না,, তোমাকে এভাবে চুপ করে থাকতে দেখতে অভ্যস্ত নয় আমি....

ইয়াশঃ আমার ভালো লাগছে না মধুমিতা...তুমি নিচে যাও দু'র সাথে কথা বলো...কাল কলেজ এ দেখা হবে....

মধুমিতাঃ আমার দি'র সাথে দেখা হয়েছে..আমি এসেছি তোমার সাথে দেখা.... করতে...দেখি আমার দিকে তাকাও...

❝ ইয়াশ যখন তাকাতে চায় না তখন মধুমিতা নিজেই হাত দিয়ে ইয়াশের মুখ টা ধরে ইয়াশের মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে নেয়,,,❞

মধুমিতাঃ আমি জানি তুমি অনেক কষ্ট পাচ্ছো...এটা normal,, আমাদের জীবনে বাবা মায়ের জায়গাটা অনেকখানি...তাদের ছাড়া চলাটা সত্যি খুব কঠিন...আমি তোমার দিকটা বুঝি...কিন্তু কি বলো তো আমরা তো মানুষ,,,আর একটা কথা আছে...মানুষ মরণশীল,,, মানুষ কখনোই চিরকাল থাকে না...তাই আমাদের বাবা মায়েরাও চিরকাল আমাদের কাছে থাকবে না কিন্তু আমাদের তো বাচতে হবে....আমার বাবা মা ও আমাকে ছেড়ে অনেক ছোত বেলাতেই চলে গেছে..আমি তখন বুঝতামও না মরে যাওয়া টা কি...কিন্তু আমি আমার দিদি, দাদাভাই বউমনি ওদেরকে দেখেছি ওরা কিভাবে নিজের সবটা দিয়ে আমাকে মা বাবাক্ব হারানোর কষ্ট টা ভুলিয়ে রাখার চেষ্টা করেছে....ঠিক যেরকমটা তোমার দি করছে...কিন্তু এতকিছুর মধ্যে আমরা একটা কথা ভুলে যাই জানো যে তাদেরও কিন্তু কষ্ট হয়...কিন্তু তারা শুধুমাত্র আমাদেরকে ভালো রাখার জন্য,আমরা যাতে কষ্ট না পাই সেইজন্য নিজেদের কষ্টকে ভুলে আমাদের শান্তনা দেয়...ওরা যদি পারে ওদের কষ্ট ভুলে আমাদের জন্য মুখে হাসি নিয়ে থাকতে তাহলে আমরা কেনো পারবো না বলোতো....? তোমার বাবা তোমার দি ওরাও তো কষ্ট পায়.। শুধু নিজেদের কষ্ট টাকে প্রকাশ করতে পারে না,,, তাতে তুমি আরও ভেঙে পরবে....

ইয়াশঃ ওই লোকটার কোনো কষ্ট হয় না মধুমিতা...লোকটা শুধু নিজের দায়িত্ব টা পালন করছে আর কিছুই না...ওই লোকটার জন্যই তো....

মধুমিতাঃ কেউ কারোর জন্য কাউকে হারায় না ইয়াশ....প্রকৃতির নিয়মে সবাইকেই একদিন যেতে হবে আর যার চলে যাওয়ার সময় হয় যায় কোনো শক্তি তাকে আটকিয়ে রাখতে পারে না...আচ্ছা আমি আংকেল এর কথা বাদ দিচ্ছি তোমার দি...তোমার দি কে তো তুমি এত ভালোবাসো,,,তুমি যেমন তোমার মায়ের জন্য কষ্ট পাচ্ছো তোমার দি' কষ্ট পাচ্ছে না...? অবশ্যই পাচ্ছে....কিন্তু সে কিন্তু তোমার জন্য নিজের কষ্ট টাকে ভুলে আছে...এখন তোমাদের উচিত নিজেদের কষ্টটাকে ভাগ করে নেয়া কিন্তু তুমি এভাবে একা একা ঘরে বসে কষ্ট পাচ্ছো সেটা তোমার দি'কে আরও অনেকটা কষ্ট দিচ্ছে ইয়াশ...

❝ ইয়াশের মাথায় মধুমিতার বলা কথাগুলো ভালোভাবে নাড়া দেয়,,সত্যি তো দি যদি পারে তাহলে ও কেনো পারবে না,,, ইয়াশ মধুমিতার দিকে তাকায় ❞

মধুমিতাঃ যাও নিজের দি'র কাছে যাও...দুই ভাইবোন মিলে দুজন দুজনের কষ্ট টা ভাগ করে নাও দেখবে অনেকটা হালকা লাগছে....

ইয়াশঃ Thank You...তুমি সত্যি খুব ভালো...সব বিষয় ঠান্ডা মাথায় Handle, করতে পারো...Thank You So mUch....

মধুমিতাঃ আমাকে ধন্যবাদ বলতে হবে না...আমি আসছি...আর যেটা বলছি সেটা মাথায় রেখো...অনুষ্কা দি'র কাছে যাও....

ইয়াশঃ হুম যাবো....

❝ মধুমিতা নিচে নেমে আসে ❞

অনুষ্কাঃ কি গো কিছু হলো...?

মধুমিতাঃ (অনুষ্কার হাত দু'টো ধরে) জানি না দিদি...কিন্তু আমার মনে হচ্ছে আমার বলা কথাগুলো ও বুঝবে...যাই হোক আমরা এখন আসি বাড়িতে আবার টেনশন করবে....

❝ মধুমিতা দিশা বেরিয়ে যায় কিছুক্ষন পর ইয়াশ নিচে নেমে আসে,এসে অনুর গলা জড়িয়ে ধরে,,,❞

অনুষ্কাঃ ভাই....

❝ ইয়াশ মুখ টা তুলে অনুষ্কার চোখের জল মুছে দেয় আর ইশারায় অনুষ্কাকে কাদতে নিষেধ করে, অনুষ্কার মুখে একটা হাসি ফুটে উঠে ❞

অনুষ্কাঃ এতদিনে আমরা কেউ যেটা পারিনি মধুমিতা পেরেছে...ভাইকে বোঝাতে পেরেছে...আমার ভাই এই প্রথম একটা মেয়েকে পছন্দ করেছে সে খাটি সোনা না হয়ে যায় না...সত্যি মেয়েটার কোনো তুলনা হয় না....

❝ মধুমিতা আর দিশাকে অনুষ্কা নিজের বাড়ির গাড়ি দিয়েই বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ❞

219 - 11

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

অনেক অপেক্ষা করিয়েছি Guys কিন্তু আর না....অবশেষে আগামীকাল দপুর ১২ টা (বাংলাদেশ সময় ১২.৩০) আসছে তোমাদের সবার পছন্দের গল্প "না বলা ভালোবাসা-এপিসোড-০৫"...... লেখা চলছে....
Are You Excited Guys....?
Excited হলে এখনই চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করো আর শেয়ার করে ভালোবাসা দিয়ে দাও💕
আর বেশি বেশি করে শেয়ার করে দাও যাতে আরও ইয়াশমিরা ফ্যান যারা এখনো ইয়াশমিতা কে মিস করে তারাও গল্পটি উপভোগ করার সুযোগ পায়💞
আমার সামনে পরীক্ষা তবুও সময় বের করে তোমাদের জন্য লিখছি... তোমাদের ভালোবাসা কিন্তু বেশি বেশি চাই🔥
কে কে শেয়ার করেছো কমেন্ট এ জানাতে ভুলো না কিন্তু🥰

263 - 8

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

আজ রাত ৯ টা বাংলাদেশ সময় ৯.৩০.... এ একটা সারপ্রাইজ ভিডিও আসছে তোমাদের জন্য,আশা করছি তোনাদের ভালো লাগবে🥰সবাইকে ভিডিওটি দেখার আমন্ত্রন জানালাম🥰

323 - 14

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

#আজও_ভুলিনি_তোমায়
~|| এপিসোড-১২ ||~

~~~~~~~~~~|| 🅱🅴🅻🅲🅾🅽🆈 || ~~~~~~~~~~

❝ মধুমিতা নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে,মনের মধ্যে যেনো কিরকম একটা অনুভব হয়,এমন তো কখনো হয় নি আগে,তাহলে আজ হঠাৎ কেনো এরকম হচ্ছে, কখনোই এসব নিয়ে বেশি সময় দেয়নি মধুমিতা কিন্তু ইদানিং যেনো ইয়াশের কথা ভেবেই অনেকটা সময় কেটে যায় ওর,,ভাবতে ভালোও লাগে ওর,আর যে সময়টা ওর সাথে থাকে সে সময়টা ওর যেনো খুব ভালো কাটে, দিশা রুমের ভেতরেই কথা বলছিলো মধুকে দেখতে না পেয়ে বারান্দার দিকে আসে ❞

দিশাঃ কি রে এখানে একা একা বসে আছিস কেনো...?

মধুমিতাঃ একা কোথায়...আমি তো আমার বাবা মায়ের সাথে কথা বলছিলাম....

দিশাঃ বাবা মায়ের সাথে কথা বলছিলি মানে...?

মধুমিতাঃ অনেক ছোট বেলায় আমার বাবা মা আমাকে ছেড়ে চলে গেছিলো তুই তো জানিস...তার পর থেকে ওই আকাশের তারাগুলোর মাঝেই আমি বাবা মাকে খুজে বেড়াই আর আমার মনে হয় এই হাজার তারাদের ভিড়েই ওরা মিশে আছে,আমার মনে হয় তারাদের সাথে কথা বললেই সেই কথাগুলো আমার মা বাবার কাছে গিয়ে পৌছাবে..তাই আমার ওদের কথা মনে পরলেই আমি এখানে বসে কথা বলি....

❝ মধুমিতার কথাগুলো দিশার মনকে অনেকটা নাড়িয়ে দেয়,,দিশার চোখে জল চলে আসে,এক মুহূর্তের জন্য ওর মনে হয় মধুমিতার মনের ভেতরে এতটা কষ্ট থাকার পরেও ও কিভাবে হাসিমুখে সবসময় থাকে,দিশা বরাবরই একটু ইমোশোনাল,,, মধুমিতার কথাগুলো শুনে আর চোখের জল ধরে রাখতে পারে না,, ছুটে গিয়ে জড়িয়ে ধরে মধুমিতাকে আর কেদে ফেলে ❞

মধুমিতাঃ কি রে এভাবে বাচ্চাদের মতো কাদছিস কেনো..? কি হয়েছে...?

দিশাঃ মধু.....তুই ঠিকাছিস...? তুই কি করে পারিস রে এভাবে সবসময় হাসিমুখে সবার সাথে থাকতে..তোর মনের মধ্যে তুই কতটা কষ্ট জমিয়ে রেখেছিস সেটা তোর কথা শুনেই আমি বুঝেছি কিন্তু কখনো সেটা কাউকে বুঝতে দিস না....

মধুমিতাঃ আমি ঠিকাছি বাবু....(দিশার চোখ মুছে দিয়ে) আমি যখন বাবা মাকে হারিয়েছি না আমি না তখন বুঝতেও পারিনি যে বাবা মা আর কখনো আমার কাছে ফিরে আসবে না কিন্তু ধীরে ধীরে যখন বুঝেছি তখন আমি দেখেছি আমার দিদি,দাদাভাই,,বিয়ের পর বউমনি ওরা কিভাবে আমাকে আগলে রেখেছে,,,বাবা মাএর সাথেই আমার পুরো সময়টা কাটতো...তাই আস্তে আস্তে ওদের না থাকাটা আমাকেই হয়তো সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিতো কিন্তু, দিদি, দাদাভাই,বউমনি আমাকে কখনো কষ্ট টা বুঝতে দেয়নি জানিস...ওরা যদি নিজেদের কষ্ট ভুলে আমার জন্য নিজেদের মুখে হাসি নিয়ে থাকতে পারে তাহলে আমি কেনো পারবো না বল তো....

দিশাঃ সত্যি মধু আমার সত্যি কিছু বলার নেই,,তুই সত্যি একটা যোগ্য মেয়ে,যোগ্য বোন,যোগ্য ননদ...কিভাবে সবসময় সবার দিকটা খেয়াল রাখিস....

মধুমিতাঃ আমাদেরকে এভাবেই সব দিক খেয়াল রেখে চলতে হয় রে...যাই হোক...চল শুতে যাই সকালে কলেজ যেতে হবে....

❝ মধুমিতা আর দিশা রুমে চলে যায়,গিয়ে শুয়ে পরে,সকালে কলেজ যেতে হবে তাই ❞

~~~|| 🅲🅾🅻🅻🅴🅶🅴 🅲🅰🅼🅿🆄🆂 ||~~~

❝ ইয়াশ আর অভিষেক কলেজে এসে পৌছে গেছে,কিন্তু মধুমিতা আর দিশা এখনো এসে পৌছাইনি...ইয়াশ আর অভি ওদের জন্য অপেক্ষা করছে,ক্লাসের সময় প্রায় হয়ে এসেছে, মধুমিতা আর দিশা কলেজে প্রবেশ করে,ইয়াশ আর অভি ওদের দিকে যায় ❞

ইয়াশঃ কি হলো তোমাদের এত দেরি হলো....?

দিশাঃ কাল রাতে আমি মধু'দের বাড়িতেই ছিলাম....আর দুই বন্ধু এক হলে কতটা গল্প হয় সেটা তো জানো...তাই রাতে ঘুমাতেই লেট হয়ে গেছিলো....

মধুমিতাঃ কিন্তু তোমরা ক্লাসে গেলেই পারতে...তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো...?

অভিষেকঃ ইয়াশ বলছিলো তোমরা না আসলে ক্লাসে ঢুকবেই না....

দিশাঃ আমরা না আসলে নাকি মধুমিতা না আসলে....হুম...?

মধুমিতাঃ (দিশার মাথায় একটা গাট্টা মেরে) একদম বাজে কথা বলবি না...ক্লাসে চল দেরি হচ্ছে....

❝ ওরা সকলে মিলে ক্লাসে চলে যায়...ক্লাস চলে কিছুক্ষন ক্লাস ব্রেকে সবাই মিলে ক্যান্টিনে আসে,, ❞

ইয়াশঃ আমি খাবার ওডার করতে যাচ্ছি....কে কি খাবি...আমি তো স্যান্ডুইচ এন্ড কোল্ড কফি...অভির জন্যও তাই....দিশা আর মধুমিতা তোমরা কি খাবে...?

দিশাঃ আমার জন্যও কফি আর স্যান্ডুইচ বলে দাও...

ইয়াশঃ ঠিকাছে,,, আমি বলে আসছি...আর মধুমিতা তো বরাবর যেটা খায় সেটাই...তোমরা বসো আমি ওডার দিয়ে আসছি...

মধুমিতাঃ না আমিও সবাই যেটা খাচ্ছে সেটাই খাবো...তবে কফিটা ব্ল্যাক কফি....

ইয়াশঃ কি বলছো... তুমি তো কফি ছাড়া কিছুই খাওনা আজ হঠাৎ...?

দিশাঃ আসলে আজ সকালে আমরা দুজনের একজনও ব্রেকফাস্ট করে আসিনি তাই...

ইয়াশঃ ও আচ্ছা এই ব্যাপার....ঠিকাছে আমি বলে আসছি....

❝ ইয়াশ সবার জন্য খাবারের ওডার দিয়ে আসে,সবাই মিলে কিছুক্ষন গল্পগুজব করে,খাবার আসে,সবাই খাওয়া শেষ করে,ব্রেক এর সময়টা আজ বেশ ভালোই কেটেছে ওদের....এবার ক্লাসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছে সবাই ❞

মধুমিতাঃ আচ্ছা তাহলে এবার ক্লাসে যাওয়া যাক...ক্লাসের সময় হয়ে এসেছে...উঠি এবারে...?

অভিষেকঃ হ্যা হ্যা চলো ক্লাসের দিকেই তো যেতে হবে..তবে আজ সময়টা বেশ ভালো কাটলো কিন্তু...

ইয়াশঃ তুই যদি প্রতিদিন দিশাকে নিয়ে আলাদা কথা বলতে চলে না যাস তাহলে প্রতিদিনই এরকম ভালো কাটবে অভি...কিন্তু তোদের তো আবার Personal কথা থাকে যেটা তোরা আমাদের সামনে বলতে পারবি না....

মধুমিতাঃ আচ্ছা হয়েছে... ব্যক্তিগত কথা তো থাকবেই...যতই হোক ওরা তো একটা সম্পর্কের মধ্যে আছে তাইনা...? সেটাকে টিকিয়ে তো রাখতে হবে...আচ্ছা ক্লাসে যাই চলো সবাই...

❝ সবাই ক্লাসের দিকেই যাচ্ছিলো..সবাই একটু সামনের দিকে এগিয়ে যায়,মধুমিতা পেছনে পেছনেই আসছিলো..হঠাৎ মধুমিতার মাথাটা ঘুরে যায়,,মধুমিতা মুখ দিয়ে হালকা ভাবে দিশার নামটা নেয়,,দিশা পেছনে ফিরে তাকায়,তাকিয়ে দেখে মধুমিতা অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে,দিশা মধুমিতার নাম ধরে চিৎকার করে উঠে ❞

দিশাঃ মধু....(ছুটে যায় মধুমিতার দিকে)

❝ দিশার চিৎকার শুনে অভি আর ইয়াশও পেছনের দিকে তাকায়,,,ওরা দুজনেও মধুমিতাকে ওইভাবে পড়ে থাকতে দেখে দৌড়ে আসে...ইয়াশ এসে মধুমিতার পাশে বসে,মধুমিতার মাথাটা নিজের পায়ের উপর রাখে,,,আশে পাশে অনেক ছাত্র-ছাত্রীর ভিড় হয়ে যায় ❞

ইয়াশঃ দিশা তাড়াতাড়ি গিয়ে পানি নিয়ে এসো...আমার মনে হচ্ছে সেন্স হারিয়ে ফেলেছে...

দিশাঃ হুম আমি আনছি.....

❝ দিশা তাড়াহুড়ো করে দৌড়ে গিয়ে ক্যান্টিন থেকে পানি নিয়ে আসে,পানি নিয়ে এসে মধুমিতার পাশে বসে হাতে পানি নিয়ে মধুমিতার মুখে ছিটিয়ে দেয়,আস্তে আস্তে মধুমিতার জ্ঞান ফিরে আসে.... ❞

ইয়াশঃ Madhumita....Are You Okey...?

মধুমিতাঃ হ্যা....আমি ঠিকাছি....

অভিষেকঃ i Hope Everything Is Fine....You Guys May Go To Class...এখানে ভিড় করো না এতে ওর সমস্যা হতে পারে....আমরা সবটা সামলে নিতে পারবো....

❝ অভিষেক সবাইকে বলে সেখান থেকে সবাইকে ক্লাসে পাঠিয়ে দেয় ❞

দিশাঃ মধু আমি খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম...কি হলো তোর বল তো...এভাবে মাথা ঘুরে পরে গেলি কি করে.।?

মধুমিতাঃ জানি না রে...কি হলো হঠাৎ মাথাটা ঘুরে গেলো...

অভিষেকঃ হয়তো প্রেসার লো হয়ে গেছিলো....যাই হোক এখন আর তোমাকে ক্লাসে যেতে হবে না,, তুমি বাড়িতে ফিরে যাও রেস্ট করো....পরে একটা আপ্লিকেশন করে দিও...

দিশাঃ Exectly অভি ঠিক বলেছে তোর আর এখন এখানে থেকে কাজ নেই তুই বাড়িতে যা....

মধুমিতাঃ এখন বাড়িতে গেলে আবার বউমনি হাজারটা প্রশ্ন করবে রে...আর আমি চাই না বউমনি বা বাড়ির কেউ ব্যাপারটা জানুক...শুধু শুধু চিন্তা করবে.... এই সামান্য ব্যাপারে আমি ওদেরকে টেনশন দিতে চাই না....

দিশাঃ বউমনি কে বলবি না তাহলেই হয়ে যায়...কিন্তু এখন তুই ক্লাস করবি না আমি বলে দিয়েছি...তুই বাড়িতে গিয়ে রেস্ট কর...আর আমার কথা না শুনলে কিন্তু আমি নিজেই বউমনি কে বলে দেবো...

মধুমিতাঃ না আমি বাড়িতে যাচ্ছি...তুই কাউকে কিছু বলিস না..আমার মনে হয় অভি যেটা বলছে সেটাই ঠিক....প্রেসার লো হয়ে গেছে মনে হচ্ছে....

ইয়াশঃ আমি ওকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসছি....

দিশাঃ আমি যাবো...?

ইয়াশঃ না আমার সাথে গাড়ি আছে আমি যাবো ওকে নামিয়ে দিয়ে ফিরে আসবো...তোমাকে যেতে হবে না...

~~~~|| 🅸🅽 🆃🅷🅴 🅲🅰🆁 ||~~~~

❝ গাড়িতে উঠার পর থেকেই,,,মধুমিতার জ্ঞান আসার পর থেকেই ও লক্ষ করছে ইয়াশ তেমন একটা কথা বলছে না ব্যাপারটা মধুমিতার একটু অদ্ভুত লাগে ❞

মধুমিতাঃ কি হলো...? তুমি এরকম চুপ করে আছো...?

ইয়াশঃ কিছু হয়নি....এমনি....

মধুমিতাঃ না আমি খেয়াল করেছি সবাই এত কিছু বললো কিন্তু তুমি কিছুই বলছো না...কি হয়েছে...? আমাকেও কি বলা যায় না...?

ইয়াশঃ আসলে আমিও খুব ভয় পেয়ে গেছিলাম....কারণ আমি ছোট থেকেই যে জিনিসগুলোকে আপন করে নিয়েছি সবকিছুই আমার থেকে হারিয়ে গেছে...আর আমার আপন মানুষগুলোর সামান্যতম কিছু হলেও না আমি নিজেকে ঠিক সামলে রাখতে পারি না....

মধুমিতাঃ আমি তোমার আপন....?

ইয়াশঃ (গাড়িটা থামিয়ে, মধুর দিকে তাকিয়ে একটু হেসে) আমার দি, আমার পরিবার,আমার বন্ধুবান্ধব,আমি যাদের সাথে সময় কাটাই, যারা আমার Well Wisher সবাই আমার আপন...

মধুমিতাঃ হুম.....গাড়ি থামালে কেনো....?

ইয়াশঃ তোমার বাড়ি এসে গেছে....

মধুমিতাঃ ওহ হ্যা...আমি খেয়ালই করিনি...তুমি যাবে না ভেতরে...?

ইয়াশঃ না আজ থাক...তুমি যাও...আর কোনো দরকার হলে ফোন করো....

❝ মধুমিতার বের হওয়ার জন্য গাড়ির দরজা খুলে দেয় ইয়াশ..মধুমিতা গাড়ি থেকে নেমে বাড়ির দিকে যায়,মধুমিতা বাড়িতে ঢোকা অব্দি ইয়াশ সেখানেই গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,মধুমিতা বাড়িতে ঢুকে গেলে ইয়াশ গাড়ি নিয়ে কলেজের দিকে যায় ❞

~~~|| 🅼🅰🅳🅷🆄🅼🅸🆃🅰'🆂 🅷🅾🆄🆂🅴 ||~~~

❝ রাতে ডিনার শেষ করে, ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে মধুমিতা,কলেজের ব্যাপারটা নিয়ে বাড়িতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয়নি ওকে,কোনোভাবে কাটিয়ে দিয়েছে...রাতে খাবার খেয়ে ঘরে এসে কেবল শুয়েছে,হঠাৎ ইয়াশের বলা কথাগুলো মধুমিতার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে....❞

~~~|| 🆈🅰🆂🅷'🆂 🅷🅾🆄🆂🅴 ||~~~

❝ ইয়াশও রাতের খাবার শেষ করে কেবল শুয়েছে,,,কিন্তু ঘুম যেনো কিছুতেই আসছে না,,এপাশ ওপাশ করে কিছুক্ষন সময় কেটে যায় কিন্তু ঘুম আসে না...কেনো যেনো মধুমিতার জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে ওর ❞

ইয়াশঃ কেনো এমন হচ্ছে আমার...মধুমিতা ঠিকাছে তো...হঠাৎ ওভাবে মাথাটাই বা কেনো ঘুরে গেলো...এখন তো গরমকালও নয় যে মাথা ঘুরে যেতে পারে...তাহলে কি হলো...আর আমার এতটা চিন্তাই বা কেনো হচ্ছে...কেনো এক মুহূর্তের জন্য আমি ওকে হারিয়ে ফেলার ভয় পেয়েছিলাম....একবার ফোন করবো...খোজ নিয়ে দেখবো...(অনেকক্ষন ভেবে) এত ভেবে কাজ নেই...ফোন করেও ফেলি...বলবো ওর খোজ নেয়ার জন্য ফোন করেছিলাম..

❝ সব ভাবনার অবসান ঘটিয়ে মধুমিতাকে ফোন করেই ফেলে ইয়াশ..মধুমিতা তখনও জেগেই ছিলো,,পাশেই ফোনটা রাখা ছিলো...ফোন টা হাতে নিতেই দেখে ইয়াশের ফোন..মধুমিতার মধ্যে অজানা একটা খুশির অনুভুতি কাজ করে,মধুমিতা ফোন টা ধরে ❞

ইয়াশঃ ঘুমিয়ে পরেছিলে...?

মধুমিতাঃ না...কিন্তু তুমি এত রাতে.....?

ইয়াশঃ না মানে...তোমার খোজ নেয়ার জন্যই ফোন করেছিলাম...ঠিক আছো এখন...? আর কোনো সমস্যা হয়নি তো...?

মধুমিতাঃ না আমি একদম ঠিকাছি....

ইয়াশঃ আচ্ছা...ওষূধ খেয়ে নিও..কাল কলেজ আসছো...?

মধুমিতাঃ হ্যা কলেজ কেনো যাবো না...একটু ক্লান্ত লাগছে তবে ওষুধ খেয়ে নিয়েছি সকালের মধ্যে মনে হচ্ছে ঠিক হয়ে যাবে সব...

ইয়াশঃ তাহলে তুমি রেস্ট করো...কাল দেখা হচ্ছে...

মধুমিতাঃ ঠিকাছে...রাখছি....শুভ রাত্রি...

ইয়াশঃ Good Night...

❝ দুজন দুজনের সাথে কথা বলে যেনো অনেকটা সস্তি পায়,,কথা বলা শেষ করে দুজন দুজনের মতো ঘুমিয়ে পরে ❞

248 - 14

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

#আজও_ভুলিনি_তোমায়
~|| এপিসোড-১১ ||~

♥️~~~~~ 🄲🄾🄻🄻🄴🄶🄴 🄲🄰🄼🄿🅄🅂 ~~~~~♥️

❝ ইয়াশ আর মধুমিতা কলেজ ক্যান্টিনে বসে ছিলো...ব্রেক শেষ হলে ক্লাসে যাবে..হঠাৎ দিশা আসে ❞

দিশাঃ শোন না....কি সব ঝামেলা হয়েছে এদিকে...তাই আজ কলেজ এ বাকি ক্লাসগুলো সব ক্যান্সেল হয়ে গেছে...

মধুমিতাঃ কি বলছিস...কি হয়েছে...?

দিশাঃ আমি জানি না...আমাকে বললো কি ঝামেলা হয়েছে ক্লাস সব ক্যান্সেল তাই আমি তোকে বলতে এলাম...

ইয়াশঃ ভালোই হয়েছে আমারও আজ ইচ্ছে করচিলো না ক্লাস করতে...ভালো লাগে এসব...

অভিঃ তাহলে,,, ইয়াশ...চল বাড়ি ফিরে যাই....

ইয়াশঃ কেনো এত তাড়াতাড়ি কেনো ফিরবো....আর তাছাড়া এখন মিঃ কৌশিক দাসগুপ্তা বাড়িতে আছেন বাড়ি গেলেই হাজারটা প্রশ্ন করবেন...তাকে এত কিছু আমি Explain করতে পারবো না....

দিশাঃ কৌশিক দাসগুপ্তা.... মানে তোমার বাবা...? উনি থাকলে সমস্যা টা কোথায়...?

ইয়াশঃ তুমি বুঝবে না....

মধুমিতাঃ তুমি তো বলেছিলে তোমার দিদি আমাদেরকে দেখতে চায়...তাহলে আজ তো সময় আছে....আজই যাওয়া যাক...না মানে যদি তোমার কোনো সমস্যা না থাকে...

ইয়াশঃ না....কি সমস্যা থাকবে...Anytime যেতেই পারো....

দিশাঃ তাহলে আজ আমাদের মিশন,,, ইয়াশের বাড়ি তাইতো...?

অভিঃ হুম...আমি তাহলে অনুষ্কা দি কে ফোন করে দি..?

মধুমিতাঃ না আমরা গিয়েই বরং দিদিকে সারপ্রাইজ দেবো....

❝ যেমন ভাবা তেমন কাজ,ক্লাস সব ক্যান্সেল তাই সবাই মিলে বেরিয়ে পরে ইয়াশের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে....ইয়াশ যেহেতু গাড়ি নিয়ে এসেছিলো তাই বাড়ি পৌছে যেতে বেশি দেরি হয় না ❞

♥️~~~~~ 🅈🄰🅂🄷'🅂 🄷🄾🅄🅂🄴 ~~~~~♥️

❝ বাড়িতে ঢুকেই প্রথমেই দেখা হয় ইয়াশের বাবার সাথে,তিনি তখন বসার ঘরে বসেই পেপার পড়ছিলেন...ইয়াশ সেদিকে তেমন পাত্তা দেয় না,,মধুমিতা বুঝতে পেরে গিয়ে তাড়াতাড়ি ইয়াশের বাবা কে প্রণাম করে নেয়,,দিশাও গিয়ে প্রনাম করে ❞

কৌশিকঃ থাক থাক....কিন্তু তোমরা কারা মা.? তোমাদেরকে তো ঠিক চিনলাম না...?

অভিষেকঃ আংকেল (মধুমিতার দিকে) ও হচ্ছে মধুমিতা (দিশার দিকে) আর ও হচ্ছে দিশা.. আমাদের মানে আমার আর ইয়াশের কলেজ ফ্রেন্ড....

কৌশিকঃ ও আচ্ছা আচ্ছা...এসো বসো....কেমন আছো তোমরা.?

মধুমিতাঃ আমরা ভালো আছি আংকেল...আপনার অবস্থা বলুন...? শরীর ভালো আছে তো.???

কৌশিকঃ হ্যা এইতো আছি....অভি....অনুষ্কাকে ডাকো....

অভিষেকঃ হ্যা আংকেল ইয়াশ গেছে ডাকার জন্য....

❝ অনুষ্কা কে ডাকার কিছুক্ষন পর অনুষ্কা নিচে আসে ❞

অনুষ্কাঃ কি রে ভাই এভাবে ডাকছিস কেনো...?

অভিষেকঃ ও তোমাকে ডাকছিলো কারণ দেখো কারা এসেছে....

❝ মধুমিতাদের দিকে তাকায় অনুষ্কা কিন্তু চিনতে পারে না,,মধুমিতা আর দিশা হাত জোর করে নমস্কার জানায়,অনুষ্কাও নমস্কার জানায় ❞

অনুষ্কাঃ কিন্তু অভি....ওদেরকে তো ঠিক চিনলাম না..

অভিষেকঃ আরে অনুষ্কা দি....ওরা হচ্ছে তারা...যাদেরকে দেখার অপেক্ষা তুমি করছিলে...

❝ অভিষেক অনুষ্কা কে চোখের ইশারা দিয়ে কিছু একটা বুঝিয়ে দেয়...অনুষ্কা বুঝতে পারে ❞

অনুষ্কাঃ ওহ আচ্ছা হ্যা বুঝেছি....মধুমিতা....আর দিশা..

❝ অনুষ্কা সামনে গিয়ে দুজনকে Hug করে...তারপর সাথে নিয়ে গিয়ে সোফায় বসার জন্য বলে...ওরা দুজনে সোফায় বসে ❞

অনুষ্কাঃ ভাই এখন তো তোদের ক্লাস টাইম তাহলে...তোরা কি ক্লাস না করেই চলে এসেছিস নাকি...?

ইয়াশঃ না দি...আজ কি সব ঝামেলার জন্য ক্লাসগুলো ক্যান্সেল হয়েছে তাই ভাবলাম...তুই তো বলেছিলি ওদেরকে একদিন নিয়ে আসতে...তাই আজই নিয়ে এলাম...

অনুষ্কাঃ কিন্তু ভাই আমাকে একবার ফোন করে জানাবি তো...আমি ওদের জন্য ভালো কিছু রান্না করে রাখতাম...এখন তো দুপুর টাইম...Lunch টা তো করে যাবে...

ইয়াশঃ দি..আমি আর অভি চেয়েছিলাম ফোন করতে কিন্তু ওরা দেয়নি....তাছাড়া দি... তুই কি কিছুই রান্না করিস নি..?? No Problem আমি বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে দিচ্ছি....

মধুমিতাঃ তোমাকে কিছু ওডার করতে হবে না...আর দিদি আপনিও এতটা ব্যস্ত হবেন না...আমরা তো এসেছি আপনার সাথে দেখা করতে,,, খাবার টা এতটাও গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপার না...আর আমরা খাবার খাই আমাদের ক্ষিদে মেটানোর জন্য...আর সেটা তো যেকোনো খাবার দিয়েই হতে পারে..খাবার কতটা ভালো সেটা কোনো ব্যাপার নয়,,সেটাকে তৃপ্তি নিয়ে খেলেই মজাটা খুজে পাওয়া যায়...

অনুষ্কাঃ খুব সুন্দর কথা বলো তো তুমি...আমি আজ ভাইয়ের জন্য মাটন কষা করেছিলাম...আর ফিশ কাটলেট বানিয়ে রেখেছি...শুধু ভেজে নিলেই হবে...

অভিষেকঃ অনুষ্কা দি'র হাতের মাটন কষার কোনো তুলনা হয় না বুঝলে....পোলাও, বিরিয়ানি এগুলোর চেয়েও আমার বেশি পছন্দ কষা মাংস আর ভাত😍

❝ অনু সকলকে খাবার বেড়ে দেয়,,,,সবাই মিলে হইহই করতে করতে খাওয়া শেষ করে,, ইয়াশ ওদেরকে নিজের ঘরে নিয়ে যায়,,, ইয়াশের ঘরটা খুব অগোছালো ছিলো,, ইয়াশ ওদেরকে রুমে নিয়ে নিজেই অপ্রস্তুত হয়ে যায় ❞

ইয়াশঃ প্লিজ,,, আমার রুমের অবস্থাটাকে তোমরা Avoid করো আমি একদম সবটা গুছিয়ে রাখতে পারি না....দি যতটুকু গুছিয়ে রাখে ওটাই....

মধুমিতাঃ কিন্তু আমার মনে হয় নিজের কাজ নিজে করাটাই ভালো....

❝ ইয়াশের রুমের পেছনে একটা পুল সাইড আছে,ইয়াশ ওদেরকে সেখানে নিয়ে যায় ❞

মধুমিতাঃ এই জায়গাটা বেশ সুন্দর....

ইয়াশঃ আমার সবচেয়ে পছন্দের জায়গা...আমার মন খারাপ ভালো যাই থাকুক আমি বাড়িতে থাকলে বেশির ভাগ সময়টা এখানেই কাটিয়ে দি....

মধুমিতাঃ হুম জায়গাটা বেশ ভালো....মনোরম....তারপর এই গাছগুলো.....আর এই পুল টা... একেবারে গ্রামের যে নদীর পাড়গুলো আছে না সেই জায়গার মতো...যদিও সেই গ্রামের সেই প্রকৃতির ফিল টা পাবে না তবে দুধের সাধ ঘোলে মেটানো যাবে এই আর কি😅

❝ মধুমিতার কথা শুনে সকলেই হেসে ফেলে,,,,অনু আসে ❞

অনুষ্কাঃ এই তোদের জন্য কিছু স্ন্যাকস আনি....খেতে খেতে গল্প কর...

মধুমিতাঃ না দিদি অনেকটা খেয়েছি....এখন আর কিছু খাবো না... তাছাড়া বাড়িতেও তো যেতে হবে...কিছু বলে আসিনি তো....

অনুষ্কাঃ তাই বলে কিছুই খাবে না...? চা কফি,জুস কিছু একটা....

মধুমিতাঃ এক কাপ কফি চলতে পারে....

অনুষ্কাঃ আচ্ছা তাহলে আমি সবার জন্য কফি নিয়ে আসছি...

ইয়াশঃ দি....মধুমিতার জন্য Black Coffe Without Suger....

অভিষেকঃ বাঃ বাঃ তুই এটাও জানিস....?

অনুষ্কাঃ হুম তাই তো দেখছি...যার নিজের পছন্দের কথা খেয়াল থাকে না সে আরেকজনের টা খেয়ার রাখছে...

ইয়াশঃ দি....তুই ওর সাথে শুরু করে দিস না.।আমি ক্যান্টিনে দেখেছি ওকে সেটাই খেতে তাই বলেছি..... Simple...

অনুষ্কাঃ আচ্ছা তোরা গল্প কর...আমি যাচ্ছি....

দিশাঃ অভি...চলো তো আমরা একটু পুল সাইডের ওদিকটায় যাই....

❝ দিশা অভিকে নিয়ে একটা অন্য সাইডে চলে যায়, অনুষ্কাও ওদের জন্য কফি আনতে যায়,,,,ইয়াশ খেয়াল করে মধুমিতাও ওর দিকে তাকিয়ে আছে ❞

ইয়াশঃ কি হলো...? তুমি এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো...?

মধুমিতাঃ না মানে..আমিও জানতাম না কেউ আমার পছন্দের এতটা খেয়াল রেখেছে..৷

ইয়াশঃ তুমি যদি চাও তোমার সারাজীবনের পছন্দের খেয়াল আমি রাখতে পারি...

মধুমিতাঃ কি....?

ইয়াশঃ নাহ....কিছু না....চলো ওদিকে যাই....

❝ চা কফি খাওয়া শেষ করে,,,বিকেল বেলা,,,,মধুমিতা এবার বাড়িতে ফিরে যাবে...নিচে নেমে আসে,,,অনুষ্কার কাছে যায় ❞

মধুমিতাঃ আসছি.... আমার খুব ভালো লেগেছে আপনার সাথে দেখা হয়ে...আপনি সত্যি অন্যরকম একজন মানুষ... এবার কিন্তু আপনাকেও একদিন আসতে হবে আমাদের বাড়িতে...দিদি,দাদাভাই,,বৌমনি ওরা খুব খুশি হবে আপনাকে দেখলে....

অনুষ্কাঃ নিশ্চয়ই যাবো....তোমারা এসেছো আমারও খুব ভালো লেগেছে... এভাবে মাঝে মাঝে চলে আসবে....ভাই কে না বলতে ইচ্ছা হলে এমনি চলে আসবে.। আমি তো বাড়িতেই আছি....আমারও ভালো সময় কাটবে তোমাদেরও ভালো সময় কাটবে...

❝ বিদায় দিয়ে মধুমিতা আর দিশা বেরিয়ে পরে,,ইয়াশ আর অভি ওদেরকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসে....দিশা মধুমিতার সাথে ওদের বাড়িতেই যায় ❞

~~~~~ 🄼🄰🄳🄷🅄🄼🄸🅃🄰'🅂 🄷🄾🅄🅂🄴 ~~~~~

দিয়াঃ কি রে এসে গেছিস তোরা...?

মধুমিতাঃ হ্যা বৌমনি.....দাদাভাই আসেনি...আর দিদি...?

দিয়াঃ না ওরা কেউই তো এখনো আসেনি...আর তানিয়ার কলেজ থেকে একটা ট্রিপ এ গেছে...ও আজ ফিরবে ট্রিপ শেষ করে পরশু ফিরবে....

মধুমিতাঃ কি বলছো...দিদি তো আমাকে কিছু বলেনি....

দিয়াঃ তুই তো বাড়িতেই ছিলি না...তাই তোকে জানাতে পারেনি....আর শোন মধু..দিশার মামনি তো বাড়িতে নেই.৷দিশা আমাদের বাড়িতেই থেকে যাক..

দিশাঃ না বউমনি আমি ম্যানেজ করে নিতে পারবো..৷

দিয়াঃ না এখানেই থেকে যা...তানিয়াও তো নেই....মধুর সাথে থাকবি...শুধু শুধু একা একা বাসায় কি করবি....রান্নার ঝামেলা, খাওয়ার ঝামেলা এগুলো করে কাজ নেই....

❝ দিশা আর কোনো কথা বাড়ায় না,, মধুমিতার বাড়িতেই থাকার সিদ্ধান্ত নেয় ❞

❝ সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়,সবাই মিলে ডিনার সেরে নিয়ে যে যার যার মতো ঘরে চলে যায়,,,মধুমিতা আর দিশাও ঘরে চলে যায় ❞

মধুমিতাঃ দেখ কি সুন্দর হাওয়া বইছে....বারান্দার দিকটায় যাবি নাকি....?

দিশাঃ না রে... অভি ফোন করবে এখনি....

মধুমিতাঃ উফ তুইও না...তুই এখানে বসে বসে প্রেম কর...আমি বারান্দার দিকটায় যাই.৷আর দরজাটা চাপিয়ে রেখে আয়....

❝ মধুমিতা বারান্দার দিকটায় যায়,,,সেখানে গিয়ে বসে,,আকাশের দিকে তাকিয়ে বসে আছে ❞

মধুমিতাঃ মা বাবা...কেমন আছো তোমরা...? ঠিক আছো তো...? আজ ইচ্ছা করছে খুব তোমাদেরকে দেখতে...কিন্তু কি করা যাবে...তোমরা তো আর আমার কাছে আসবে না...ওইযে ওখানে তারা হয়েই থাকবে...তাই আমিই তোমাদের কাছে এলাম কথা বলতে...অনেকদিন তোমাদের সাথে কথা বলি না....

❝ মধুমিতার যখনই বাবা মায়ের কথা মনে পড়ে এভাবে এসে আকাশের তারাগুলোর সাথে কথা বলেই নিজের মনকে হালকা করে,বেশ ভালোই লাগে ওর,,,আজও আকাশের তারাগুলোর সাথে কথা বলা শেষ করে বসেছিলো বারান্দাতেই,,হঠাৎ একটা মৃদু বাতাস এসে লাগে মধুমিতার মুখে, মধুমিতা চোখটা বন্ধ করে ফেলে,,চোখটা বন্ধ করতেই যেনো চোখের সামনে ভেসে উঠে ইয়াশের চেহারা,ইয়াশের হাসি মুখ,মধুমিতা সাথে সাথে চোখটা খুলে ফেলে ❞

মধুমিতাঃ (মনে মনে) ওর মুখটাই কেনো আমার চোখের সামনে ভেসে উঠলো....ওর কথা কেনো ভাবছি আমি....,আমার সাথে তো কখনো এরকম হয়নি...কোনো ছেলের সাথে তো আমি কখনো কথাই বলিনি..কিন্তু ওর সাথে আমি এতটা ক্লোজ কি করে হয়ে যাচ্ছি....কিন্তু যাই বলি ছেলেটা বেশ ভালো....এখনকার ছেলেদের মতো একদম নয়,,মেয়েদের কতটা সম্মান করে,,,মেয়েদের প্রতি এতটা সম্মান আছে বলেই তো নিজের দিদিকে মাথায় তুলে রাখে...আর আমার অনেকটা খেয়ালও রাখে...ওর ব্যবহার দেখে মনেই হয়না যে ওর সাথে কিছুদিনের আলাপ মাত্র,, মনে হয় যেনো কতদিনের চেনা...

❝ মধুমিতা বসে বসে ইয়াশের কথাই ভাবছিলো...ইয়াশের কথা ভাবতে ভাবতেই নিজের অজান্তেই মুখের কোনে একটা হাসি ফুটে উঠে মধুমিতার ❞

218 - 9

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

#আজও_ভুলিনি_তোমায়
~|| এপিসোড-১০ ||~

~~~~~|| 🆈🅰🆂🅷'🆂 🅷🅾🆄🆂🅴 ||~~~~~

❝ মধুমিতা দিশাকে দিশাদের বাড়িতে পৌছে দিয়ে এই মাত্রই বাড়িতে ঢুকলো ইয়াশ, বরাবরের মতো অনুষ্কা আজও অপেক্ষা করে আছে ইয়াশের জন্য ❞

ইয়াশঃ দি তুই কি বল তো এখনো জেগে আছিস..আমি তো তোকে বললাম আজ আমার ফিরতে দেরি হবে...

অনুষ্কাঃ ভাই তুই ও তো জানিস আমি তুই বাড়ি না ফেরা অব্দি ঘুমাতে যাই না.. আর আমার ঘুম পায়নি....(অরণ্যর ব্লেজার টা খুলে দিতে দিতে) তার আগে তুই আমাকে বল প্রোগ্রাম কেমন ছিলো....?

ইয়াশঃ হুম ভালোই ছিলো...আচ্ছা আমি ফ্রেশ হয়ে নি...তারপর শুয়ে পরবো...তুই ও যা ঘুমিয়ে নে....

❝ ইয়াশ নিজের ঘরে চলে যায়,ফ্রেশ হয়ে রুমে আসে,বিছানায় ঠেস দিয়ে শুয়ে কি সব ভাবতে থাকে,কানে শুধু ভেসে যাচ্ছে মধুমিতার বলা কথাগুলো ❞

ইয়াশঃ মধুমিতা কেনো আমাকে ওইরকম একটা প্রশ্ন করলো..আমার ব্যাবহার বা কোনো কথায় ও কি কিছু বুঝতে পেরেছে,,আর আমিই বা এগুলো নিয়ে এতটা ভাবছি কেনো....ওর কথার উত্তরটাও আমি দিতে পারলাম না তাহলে কি সত্যি আমি ওকে......না না এটা কি করে হতে পারে..Ya i like her,, ও খুব ভালো মেয়ে,সবার থেকে আলাদা কিন্তু ভালোবাসা....জানিনা,,আমি সত্যি বুঝতে পারছি না... যাই হোক... দিশা তো ফোন করলো না মধুমিতা ঠিকাছে কিনা...আমি একবার ফোন করবো...না থাক...সকালে দেখা যাবে...

❝ সব কথা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে ইয়াশ গিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে ❞

~~~~~|| 🅳🅸🆂🅷🅰'🆂 🅷🅾🆄🆂🅴 ||~~~~~

❝ প্রায় সকাল হয়ে এসেছে,মধুমিতার ঘুম ভেঙে গেছে, মধুমিতা ঘুম ঘুম চোখে উঠে বসে,হাতে মোবাইলটা নেয়,মোবাইলটা হাতে নিতেই দেখে বাড়ি থেকে বউমনির বেশ কয়েকটা মিসডকল,মধুমিতা এদিক ওদিক তাকায় বুঝতে পারে না ও এখানে কি করছে,পাশেই দিশা কে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে ❞

মধুমিতাঃ আমি তো কাল প্রোগ্রামে ছিলাম,এখানে কি করে এলাম...দিশার বাড়িতে,,, আমার তো বাড়িতে যাওয়ার কথা...কিছুই কেনো মনে পরছে না....কি হয়েছিলো কাল রাতে....হুম দিশাকে জিজ্ঞাসা করি...একমাত্র দিশাই বলতে পারবে...(দিশার দিকে হাত বাড়িয়ে) দিশা...দিশা...আরে উঠ না....

❝ দিশা প্রথমে একটু এদিক ওদিক করছিলো ঘুম থেকে উঠছিলো না কিন্তু মধুমিতার গলা পেতেই তাড়াহুড়ো করে ঘুম থেকে উঠে বসে ❞

দিশাঃ কি রে তুই ঠিকাছিস...?

মধুমিতাঃ ঠিক কেনো থাকবো না কি হয়েছে আমার...? আর আমার তো বাড়িতে ফেরার কথা..আমি এখানে কি করছি..? কি হয়েছিলো কাল...?

দিশাঃ আরে আমি নিজেও তো জানি না কাল কি হয়েছিলো...সবাই যখন চলে যাচ্ছিলো হঠাৎ দেখি তুই কোথাও নেই...আমাদের দাড় করিয়ে রেখে ইয়াশ গেলো তোকে খুজতে, কিছুক্ষন পর আমরা গিয়ে দেখি তুই অজ্ঞান হয়ে গেছিস.... তুই Somehow Drinks করে ফেলেছিস...আর এই অবস্থায় তোকে কি করে বাড়িতে দিয়ে আসি...তাই আমার বাড়িতেই নিয়ে এলাম...মামনিও বাড়িতে নেই কোনো সমস্যাও হবে না...ইয়াশই দিলো বুদ্ধিটা....

মধুমিতাঃ কি বলছিস..বাড়িতে কি বলেছিস...বউমনি কয়েকবার ফোন করেছিলো...কিন্তু ধরি নি...কি বলতাম বল...যদি তোর সাথে কথা বলতে চাইতো...

❝ দিশা মধুমিতাকে পুরো ঘটনাটা খুলে বলে,বাড়িতে কাকে কি বলেছে সবটা খুলে বলে ❞

দিশাঃ শোন না তুই একবার বাড়িতে ফোন করে নে কারণ বউমনি হয়তো টেনশন করছে... তুই ফোন করে কিছু একটা বলে ম্যানেজ কর....

মধুমিতাঃ হুম দেখছি...

❝ মধুমিতা একটু ভয় নিয়েই বাড়িতে ফোন করে,,,বাড়ির কাউকে কখনো মিথ্যা বলেনি কিন্তু এবার না বলে উপায় নেই,,বাড়িতে ফোন করতেই দিয়া ফোন ধরে ❞

দিয়াঃ কি রে মধু...এতখনে ফোন করলি..আমি রাতে কতবার ফোন করেছি দেখেছিস...এরকম করলে টেনশন হয় না...

মধুমিতাঃ বউমনি....রাতে অনেক্ষন কাজ করেছি তারপর কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বুঝতেই পারিনি,উঠে দেখি তোমার এতগুলো মিসডকল তাই তোমাকে কল দিলাম...

দিয়াঃ ঠিকাছে....বাড়ি ফিরছিস কখন...?

মধুমিতাঃ এই একটু বাদেই ফিরবো....তুমি ব্রেকফাস্ট বানিয়ে রেখো...এসে খাবো...আমি আর দিশা দুজনেই...দিশার মামনি বাড়িতে নেই...

দিয়াঃ ঠিকাছে আয় তোরা....আমি সব ব্যবস্থা করে রাখছি....

❝ মধুমিতা দিশাকে বলে রেডি হয়ে নিতে, এখান থেকে ওদের বাড়িতে যাবে তারপর সেখান থেকে একেবারে কলেজে যাবে ❞

❝ বাড়িতে ফিরে তাড়াহুড়ো করে ব্রেকফাস্ট করে নেয় দিশা আর মধুমিতা, তারপর মধুমিতা রেডি হয়ে নেয়,দুজনে মিলে কলেজের জন্য বেরিয়ে পরে ❞

~~~|| 🅲🅾🅻🅻🅴🅶🅴 🅲🅰🅼🅿🆄🆂 ||~~~

❝ কলেজে পৌছে যায় মধুমিতা,প্রতিদিন ইয়াশ আর অভি আগে পৌছে গেলেও আজ দিশা আর মধুমিতা আগে পৌছে গেছে ❞

মধুমিতাঃ শোন না...একবার অভিকে ফোন করে দেখ না ওরা এখনো আসছে না কেনো.....

দিশাঃ তুই এত ব্যস্ত হচ্ছিস কেনো...ওরা ঘুম থেকে উঠতে দেরু করে ফেলেছে তাই হয়তো....তুই তো ওদের আসা যাওয়া নিতে এত মাথা ঘামাস না তাহলে আজ কি হলো ব্যাপার কি বল তো...?

মধুমিতাঃ তোর শুধু বাজে কথা....তোর কাউকে ফোন করতে হবে না আমি নিজেই ফোন করে নিচ্ছি....

❝ মধুমিতা আর কিছু না ভেবেই ইয়াশকে ফোন করে,ইয়াশ তখন কেবল বাড়ি থেকে বেরিয়েছে,মধুমিতার ফোন পেয়ে খুব অবাক হয়ে যায়,,মধুমিতা তো কখনো ওকে নিজে থেকে ফোন করে না,,সব ভাবনা ঝেরে ফেলে ফোনটা তোলে ❞

ইয়াশঃ হ্যালো.....হুম... তুমি ঠিকাছো...

মধুমিতাঃ হুম...আমরা কলেজ পৌছে গেছি...তোমাদের এতটা দেরি হচ্ছে তাই ফোন করলাম...কোথায় আছো...?

ইয়াশঃ আজ ঘুম থেকে উঠতে দেরি হিয়ে গেছিলো...দি' ও ডেকে দেয়নি....এইতো বেরিয়েছি...গাড়ি নিয়ে চলে আসবো বেশি সময় লাগবে না...

মধুমিতাঃ ঠিকাছে এসো...তারপর তোমার সাথে আমার কিছু কথা আছে...

❝ ইয়াশ অভি কলেজে এসে পৌছায় কিন্তু ততখনে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে তাই ক্লাস শুরু করার আগে আর কথা হয় না ওদের,ক্লাস ব্রেকে,মধুমিতা ক্যান্টিনে বসে কফি খাচ্ছে, ইয়াশ আসে ❞

ইয়াশঃ সবসময় কি এই কফিই খেতে থাকো...? আর কিছু খেতে ইচ্ছা করে না...?

মধুমিতাঃ (একটু চমকে গিয়ে) ওহ তুমি....না আমি তো বাড়ি থেকে ব্রেকফাস্ট করেই আসি তাই আর ক্ষিদে পায় না... Just Mind Refresh করার জন্য কফিটা আমার লাগবেই...তুমিও বসো না.।খেয়ে তো নিশ্চয়ই আসোনি...খাবারটা ওডার করেই বসো....

ইয়াশঃ না আমার আবার ওত সকাল সকাল খেতে ইচ্ছা করে না...দি প্রতিদিনই জোর করে অনেক কষ্ট করে দি'কে ম্যানেজ করতে হয়....আচ্ছা তুমি বসো আমি কিছু একটা ওডার করেই আসি....

❝ ইয়াশ খাবারটা ওডার করে দিয়ে এসে বসে ❞

ইয়াশঃ হুম এবার বলো তুমি কি একটা যেনো চলতে চাইছিলে....

মধুমিতাঃ আসলে আমি...কালকের কথাই আমি বলে চাইছিলাম...দিশা বললো আমি নাকি তোমার সাথে ছিলাম...আমার কি হয়েছিলো...আমি উলটা পালটা কিছু করিনি তো...?

ইয়াশঃ উমমম....কি মনে হয় তোমার....?

মধুমিতাঃ না আমি শুনেছি ড্রিংকস করলে মানুষ অনেক ভুলভাল কথা বলে ফেলে....তাই আমিও কিছু বলেছি কিনা...আসলে আমার কিছু মনে পরছে না তাই তোমাকে জিজ্ঞাসা করছি...

ইয়াশঃ মধুমিতা....তুমি এমন এমন কথা বলেছো না... আমি চাইলেও এখন মুখ ফুটে বলতে পারবো না....

মধুমিতাঃ মানে...কি বলেছি আমি....?

ইয়াশঃ বললাম না...তুমি কিছু কিছু কথা বলেছো....আমি চাইলেও মুখে আনতে পারবো না... তুমি বলেছো তুমি....আমাকে.....

মধুমিতাঃ আমি....তোমাকে......কি বলেছি আমি...?

ইয়াশঃ না থাক....তুমি কথাটা মানতেই পারবে না... শুনতেও পারবে না...তাই না বলাই ভালো....

মধুমিতাঃ আমি....কি এমন বললাম....আচ্ছা শোনো না..আমি যাই বলেছি একটাও নিজে জ্ঞানে থেকে বলিনি আমার অবস্থা তো তুমি দেখেছোই তাইনা....আমি যাই বলিনা কেনো কোনো কথাই সিরিয়াস নিও না...তখন কি বলেছি না বলেছি আমি নিজেও জানি না.....

ইয়াশঃ কিন্তু আমি শুনেছি নেশার ঘোরে নাকি মানুষের মুখ থেকে সব সত্যি কথা বেরিয়ে আসে....আর তুমি যেটা বলেছো সেটা তো তোমার মনের কথা...তাই অবিশ্বাস করার প্রশ্নই আসে না...

মধুমিতাঃ আচ্ছা আমায় বলো না কি বলেছি আমি...আমার তো খুব টেনশন হচ্ছে....

❝ মধুমিতার টেনশনে মুখটা ছোট হয়ে আসে,কিছুতেই মনে করতে পারে না কি হয়েছিলো গতকাল রাতে....মধুমিতার মুখের অবস্থা দেখে হেসে ফেলে ইয়াশ ❞

ইয়াশঃ Relax..... এত চিন্তার কিছু হয়নি...তুমি এমন উলটা পালটা কিছু বলোনি.....আমি মজা করছিলাম....

মধুমিতাঃ তুমিও না... আমাকে পুরো ভয় পাইয়ে দিচ্ছিলে...সবসময় আমাকে এইভাবে ভয় পাইয়ে দাও....

ইয়াশঃ আর এভাবেই তোমাকে সবসময় ভয় দেখিয়েই যাবো...

মধুমিতাঃ হে ভগবান....(হাত জোর করে) আমাকে তুমি রক্ষা করো...তুমিই ভরসা....

❝ দুজনেই হেসে ফেলে ❞

228 - 7

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Sorry For Being Unactive Guys😔
ইনশাহআল্লাহ আগামীকাল থেকে আবার রেগুলার হবো❤️
সবার ভালোবাসা এবং সহযোগিতা আশা করছি💕

222 - 2

Welcoem to posts!!

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago

Yashmita Fans World
Posted 2 years ago