SANMOY BANERJEE

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

ববি হাকিমের প্রত্নতাত্ত্বিক বুদ্ধি । শুনুন বাংলার বার্তায় ।

184 - 12

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

৫ই এপ্রিল ২০১৯, লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আপনাদের সমীক্ষা বলেছিল তৃণমূল পাবে ৩৪ টি । বিজেপি পাবে ৭টি আসন । তারপর ফলাফল কি হয়েছিল সবাই জানেন । ফিরে দেখুন আপনাদের সেদিনের মহান কীর্তি বাংলার বার্তায় ।

247 - 17

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

একটা ছোট্ট উপহার, আয়তনে ছোট, কিন্তু প্রভাবে বেশ বড় । সিলভার প্লে বাটন । পেলাম কাল সকালে সুদূর California থেকে । ইউ টিউবে ১ লক্ষ সাবস্ক্রাইবার অতিক্রম করার জন্য । ঐ সংখ্যাটা অতিক্রম করেছিলাম বহুদিন আগে । এখন সাবস্ক্রাইবারদের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৬ হাজার । ৮৬ টি দেশের প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ দর্শক প্রতিদিন আমাদের বিভিন্ন নিবেদন শোনেন ও দেখেন। এই আকালে মন্দ নয় এই সংখ্যা, মাত্র এক বছরে । সকাল ৮টায় বাংলার বার্তা, সন্ধ্যে ৬টায় ‪@-banglarmon1185‬ চলছে । পুজোর পর আসতে চলেছে আরও একটি নতুন চ্যানেল । এভাবেই লড়াই জারি রাখব, সঙ্গে শুধু আপনাদের প্রাণ ভরা ভালবাসাটা থাক ।

10K - 1.1K

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

মমতা আজ হাঁটবেন বিড়লা তারামণ্ডল থেকে । হাথরস নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে । একজন নেত্রীর কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশিত । একটা বার্তা দেওয়ার জন্য যে নারী নির্যাতনে কোন আপোষ নয় । হাথরসে যে লজ্জাজনক কাহিনী হয়েছে তার অপরাধী এবং তাদের আড়াল করা পুলিশ এবং সেই পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া নেতাদের শাস্তি হওয়া এবং দ্রুত শাস্তি হওয়া অতীব জরুরী । অতএব মমতা একজন রাজনৈতিক নেত্রী হিসেবে নিজের কাজটি করছেন ।
এই হাঁটা তাই যতটা একজন নারীর নিগ্রহর জন্য না তার থেকে অনেক বেশী একজন দলিতের মৃত্যুর জন্য । লক্ষ্য ২০২১ এর দলিত ভোট ।
হাথরসের ঘটনা যখন জনসমক্ষে এল ঠিক একই সময়ে এই বাংলায় দুটি ঘটনা ঘটল । এক - ডেবরায় এক ১৭ বছরের যুবতীকে অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করে ধানক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে । দুই - ঘাটালের বাইতিচক গ্রামের চাষের জমি থেকে বছর ৩৫ এর এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয় । পুলিশের প্রাথমিক ধারণা মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হতে পারে ।
ঘটনা হল দুটি সংবাদই বেরিয়েছে গণশক্তি পত্রিকায় প্রথম পৃষ্ঠায় যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে । আনন্দবাজারের মূল সংস্করণে একটি লাইন এ নিয়ে বেরোয়নি । পরে বিভিন্ন পোর্টালে তার video দেখে নিশ্চিত হলাম সংবাদ দুটোই সত্য । এবং ভয়াবহ । এবং ডেবরায় পুলিশ দেহ উদ্ধার করতে করতেই এলাকার মানুষকে শাসাতে থাকে এই ছবি কেউ কোথাও যেন পোস্ট না করে ।
সংবাদ ততক্ষণে চাউর হয়ে গেছে । গণশক্তি ছবি সহ সংবাদটি বিশদে প্রকাশ করে । আনন্দবাজার বাধ্য ছাত্রর মত খবরটি মূল সংস্করণে চেপে যায় । এবং নিশ্চিত ভাবে উনি রুষ্ট হবেন বলে । আর উনি রুষ্ট হলে কি হতে পারে তা আনন্দবাজারের থেকে কেই বা বেশী জানে । হিসেব করে দেখছিলাম আজ, শুধু আজ ২রা অক্টোবর রাজ্য সরকার হাসিমুখের এবং নীল সাদা রঙের ৪৯টি বিজ্ঞাপন পেয়েছে । যে বাবদ আনন্দবাজারের বাজারি মুল্য অনুযায়ী পাওয়ার কথা ১ কোটি টাকার ওপর । এই প্যাণ্ডেমিক আকালে তাই সংবাদ পরিবেশন আগে না ১ কোটি টাকার প্রাপ্তিযোগ আগে ? গণশক্তির সে দায় নেই । ফলে তারা সাহসটা দেখিয়েছে । আনন্দবাজার সেই অবসরে আনুগত্য বেচে প্রাপ্তি যোগ বাড়িয়েছে ।
যেদিন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে দুই ১৪ এবং ১৬ বছরের নাবালিকা গণ ধর্ষিত হওয়ার পর একজন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করল তার পরের দিন ৯ই সেপ্টেম্বর প্রথম পাতায় ৯ লাইনের একটি ছোট্ট সংবাদে আনন্দবাজার ঘটনাটিকে লঘু করেছিল প্রাণপণ । সেটি হয়তো পছন্দ হয়নি এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর । ফলে এবার ঘাটাল এবং ডেবরার ঘটনা দুটিকে শেষপর্যন্ত চেপেই দিল আনন্দবাজার ।
এ বি পি আনন্দ, ২৪ ঘণ্টা এবং নিউজ 18ও ঠিক সেই পথেই হাঁটল । মুখ্যমন্ত্রীকে খুশী রাখার লক্ষে । এবং বিনিময়ে ইনাম বুঝে নেওয়ার target সামনে রেখে ।আদতে দেনা পাওনার হিসেব আর কি । মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে এই পাওনা গণ্ডার হিসেবটা ভালই বোঝেন । সংবাদ মাধ্যম কোথায় দুর্বল সেটা যে রাজনীতিবিদরা বোঝেন এবং তা ক্যাশ করতে পারেন তারা সফলও হন dividend আদায় করতে । মমতা তাতে সফল । দিনের শেষে শেষ পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যম পাঠকের কাছে credibility হারায় ।
লক্ষ্য করলাম এবার উত্তর বঙ্গ সফরে প্রশাসনিক বৈঠকে মাইক্রোফোন খারাপ হতেই ষ্টেজ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী নীচে বসা কাউকে বললেন – এই ‘বিশ্ব’ কি হয়েছে দ্যাখ তো । তুই তোকারি করা লোকটিকে প্রথমে ভেবেছিলাম electrician । পরে জানলাম ইনি news 18 এর বিশ্ব মজুমদার । চ্যানেলের সর্বোচ্চ ব্যক্তি । সংবাদ মাধ্যমের লোকজনকে এই পর্যায়ে নামিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি । চাকর বাকরের স্টেজে ।
ফলে বাংলায় ‘হাথরস’ হলেও হাতযশে তা কার্পেটের তলায় চলে যাবে । হাথরস থেকে রানিং commentary হলেও বাংলার ডেবরা, ঘাটাল, রাজগঞ্জ, চোপড়া থেকে সে আশা দূর আশা ।বাংলার যে নারী ইজ্জত হারাবেন, ক্ষত বিক্ষত হয়ে নিথর দেহে পড়ে থাকবেন ধান ক্ষেতে তার জন্য ঘণ্টা খানেক কেন মিনিট খানেকও বরাদ্দ থাকবেনা বাংলা সংবাদ মাধ্যমে ।
এই বাস্তবতার মধ্যেই কাল হাঁটবেন তিনি, মুখ্যমন্ত্রী । বিড়লা তারামণ্ডল থেকে । সঙ্গে লাইভ commentary করা তুই তোকারির সংবাদ মাধ্যম । নাল ঝরতে থাকা, হাঁপিয়ে হাঁপিয়ে দৌড়ানো চাকর-বাকররা । যাদের জন্য সদ্য announce করেছেন ২০০০ টাকার festival bonus । ফলে দৌড়টা হবে দেখার মত, একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার দৌড় !!
জয়, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের জয় ।।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ( ৯৮৩০৪২৬০৭৮ )

285 - 48

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

বিদ্যুতের বিলে বাংলা সেরা, কলকাতাও সেরা । পকেট ফাঁকা হচ্ছে আমার-আপনার । নবান্ন নীরবতায় মগ্ন কেন কেউ ভেবে দেখেছেন ? দিনের শেষে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন বাংলার আমজনতা । কিভাবে তিল তিল বাঙালি শেষ হচ্ছে এগুলো তার সব প্রামান্য দলিল । দেখুন এবং শুনুন বাংলার বার্তায় ।

147 - 5

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

শ্রদ্ধা
লিখেছেন দীপক সান্যাল

এক খর্বাকৃতি বঙ্গ সন্তানের ওপর চোখ বুঁজে ভরসা করতেন ভারতের "আয়রন লেডি" শ্রীমতী গান্ধী। যতদিন স্বক্রিয় রাজনীতি করেছেন ছিলেন কংগ্রেসের তথা সরকারের ক্রাইসিস ম্যানেজার।মাঝে রাজীব গান্ধীর আমলে কিছুটা গুরুত্ব হারালেও পরে ফিরে আসেন স্বমহিমায়। এককথায় কপি বুক সংসদীয় রাজনীতির আইডিয়াল ম্যান। ভীষণ ভাবে প্রোটোকল মেনে চলতেন।ছিলেন এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যিনি অসম্ভব ক্ষুরধার বুদ্ধি,রাজনৈতিক প্রজ্ঞা,প্রশাসনিক দক্ষতার অধিকারী। কিন্তু আক্ষরিক অর্থে "জননেতা" বলতে যা বোঝায় তা নন।জীবন সায়াহ্নে এসে রাজ্যসভা ছেড়ে লোকসভায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। ওনার সম্পর্কে প্রয়াত সীতারাম কেশরী একবার বলেছিলেন, "প্রণবের সবথেকে বড়ো গুণ হল উনি খুব ভালো ড্রাফট লেখেন।এবং চোখের পলক ফেলার আগেই নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির জন্যে এই ডাল থেকে অন্য ডালে চলে যাবেন"। মানে টাইমিং যেটা কিনা একটা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বড়ো গুণ সেটা ছিল প্রণব বাবুর। বাণিজ্য,বিদেশ,প্রতিরক্ষা,অর্থ এই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সামলেছেন অনায়াসেই। ছিলেন যোজন কমিশনের ডেপুটি। মজার কথা পদমর্যাদাতে সিনিয়র হলেও ওনাকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংজি " স্যার" বলতেন। বাংলার জন্যে কি করেছেন কি করেননি সেই বিতর্ক থাক।কিন্তু কংগ্রেসের বহু গোপন তথ্য নিজের ভেতর সযত্নে রেখেছেন।একবার বলেছিলেন, " কিছু কথা সবার না জানাই ভালো। আমার মৃত্যুর সাথেই সেগুলো বিলীন হয়ে যাক সেটাই আমি চাই"।এই আনুগত্য, নীতিবোধকে সম্মান জানাতেই হয়।

আজ আপনার প্রয়াণে ভারতীয় রাজনীতির একটা বর্ণময় অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটলো।আর কখনো পারিবারিক দুর্গা পুজায় আর সেই চেনা বেশে আপনাকে দেখা যাবে না।প্রধানমন্ত্রী হবার যাবতীয় গুণাবলি আপনার মধ্যে ছিলো। আপনি কংগ্রেস রাজনীতির প্রকৃত "চাণক্য"।

ঈশ্বর আপনার বিদেহী আত্মার শান্তি দিন।শুধু মিরিটি নয়,গোটা দেশ আজ শোকাহত। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন প্রণব বাবু।
ভারত আজ এক রত্নকে হারালো ।।

দীপক সান্যাল

96 - 0

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

বাংলায় এখন উঠপাখিতন্ত্র

দেবাশীষ গোস্বামী

ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইবুনাল বিশ্বভারতীকে নির্দেশ দিয়েছিলো সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট , সিওয়েজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট বানাতে। পেশাদারি অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এগুলো যে কোনো বড় ইউনিভার্সিটির ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক। খুব অবাক লাগে যখন প্রকাশ্যে শুনি বিশ্বভারতীর মতো সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে এই ব্যবস্থা নেই। এবং না থাকার জন্য অন্য রাজ্যে যা হয় তাই হয়েছে - স্টেট্ পলুশন বোর্ড দশ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে। তারপর পড়লাম ওই পৌষ মেলার সময়ে পলুশন বোর্ডের লোকেরা এসে অপর্যাপ্ত বাইও টয়লেট , সঠিক আগুন নির্বাপক ব্যবস্থা ছাড়া চতুর্দিকে বড় বড় কয়লার উনুনের ব্যবহার , যথেচ্ছ যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার তান্ডব উৎসব দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।এবং যথার্থ কারণেই। বিশ্বভারতীকে বলা হয়েছিল পরিবেশ রক্ষার্থে , বোলপুর মিউনিসিপালিটি এবং বীরভূম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে , একটা সমন্বয়মূলক প্রচেষ্টার মাধ্যমে , 'ইকো ফ্রেন্ডলি' পৌষ মেলার আয়োজন করতে।পরবর্তী পর্যায়ে ওই গ্রীন ট্রাইবুনাল থেকে কোনো পাঁচিল তোলার নির্দেশ এসেছিলো কিনা আমার জানা নেই। কোর্টের অর্ডারের কথা শুনেছি যদিও। তবু সার বক্তব্য হলো ,সম্পত্তি যখন ইউনিভার্সিটির তখন সেখানে পাঁচিল উঠবে না সুড়ঙ্গ তৈরী হবে সে দায়ভার মালিকের , কোনো মালোপাড়ার মা মালতির নয়।
কিন্তু এ রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ। হালফিল এখানে - প্রকৃতিকে বলা হয় পোকিতি , আন্দোলন অর্থে বাওয়াল , লুম্পেনবাজি , দর্শন মানে সত্যের দিনে - দুপুরে ধর্ষণ ; এখানে রবীন্দ্রনাথের সমস্ত কাঁটা চিবিয়ে খেয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে তাঁর সংগীত বাজানো হয় সঙ্গে চলে ছাতি ফাটিয়ে প্রচার - বিশ্যকবি রবীন্দনাথ আমাদের সংস্কিতির পোতিক । ওনার দস্সন আমাদের দস্সন। আর সেই মহান দস্সন কে যদি কেউ আঘাত করে আমরা শান্ত থাকবো না , সব ফুঁকে দোবো।
কয়েক দিন আগে শান্তিনিকেতনে কতৃপক্ষের পাঁচিল তোলা নিয়ে ঠিক এইটাই হয়েছে। 'বিশ্যকবির' ভক্তরা , সদলবলে পেলোডার , জেভিসি ইত্যাদি নিয়ে এসে , 'রবীন্দ সংস্কিতি' রক্ষার্থে তাঁর বৌয়ের গয়নার মূল্যে গড়া ব্রহ্মচর্যাশ্রমের তালা ভেঙে অকথ্য ভাংচুর , নৃশংস তান্ডব করেছেন। বুক ফুলিয়ে বলেছেন - কবিগুরু আমরা তোমায় ভেঙে খানখান করে দোবো তবু তোমার সংস্কিতিকে বেহাত হতে দেব না । আমরা তোমার পাঁকতনি।
বেচারা বিশ্বভারতী !!! রবি ঠাকুরের এই ষষ্ঠ সন্তান চিরকালই সেই ন্যাদা তালগাছ।যে পারে একবার করে লাথি মেরে চোট দিয়ে যায়। সত্তরের দশকে লাইব্রেরিতে আগুন , লাল আমলে সোনার মেডেল চোট , খোয়াই বেচে সোনার তরী , আর হালফিল উপাচার্যের তহবিল তছরুপ ,তারপর নিয়মিত যথেচ্ছ বাওয়াল। ভারতবর্ষের অন্য যে কোনো সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে এরকম হয় বলে আমার জানা নেই। ভক্তদের এই রবীন্দ্র বিভক্তির কাজ শুরু হয়েছিল তড়িঘড়ি করে কাদা ছিটিয়ে রথীন্দ্রনাথকে হটিয়ে সেই ১৯৫০'এর দশকে। আজও নাই শেষ। ট্রেডিশন চলিয়া আসিতেছে। কেননা বাঙালির সমস্ত বারুদ একমাত্র তো কাঠিবাজিতে। ওতেই ওর সুনাম , বিশ্বখ্যাতি।
আগে মাঝে মাঝে মনে হত , এখন প্রতিদিন ,প্রতিনিয়ত মনে হয় , রবীন্দ্রনাথ কেন তামিল , মালায়ালী কিংবা নিদেন পক্ষে রাজস্থানি কিংবা পাঞ্জাবি ঘরে জন্মালেন না। কেন , কেন বাঙালি হতে গেলেন ? এই জাতের কি কোনোদিন রবীন্দ্রনাথকে দরকার ছিল , আছে , কিংবা আগামী দিনে থাকবে ? আমার তো মনে হয় না। হতশ্রী , কোঁদলকাতর বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ - পঁচিশে বৈশাখ ভোরে রেল লাইনের ধারে বড় বড় সংস্কৃতির ন্যার , ঘেমো ব্লাউসের হুক ছেঁড়া আবেগ , বাইশে শ্রাবনে কয়েক চা চামচ চোখ কচলে অশ্রুজল ; চিটিংবাজি করে কোনো ইমারত বা উদ্যান বানিয়ে তার নামকরণ ,মঞ্চে দাঁড়িয়ে পঁচা মাছ ঢাকার পরম পবিত্র শাক ; এক কথায় - জারজ অগভীরতায় আটকে পড়া বাঙালির কাছে রবীন্দ্রনাথ এক বিশাল গগনভেদী চোঁয়া ঢেকুর ঢপবাজি , ইচ্ছে সুযোগ মতো ব্যবহার করে ছুঁড়ে ফেলে দেবার জন্য তৈরী নরম ধবধবে সাদা সংবেদনশীল ন্যাপকিন।
কথাগুলো শুনে আপনাদের ডাভ , সিনথল , মার্গো ঘষা গায়ে ছেঁকা লাগতেই পারে , পায়জামার দড়ি একটু হলেও আলগা হতেই পারে , রচনাবলীর গায়ে গেলাস চলকে হুইস্কি পড়তেই পারে। কিন্তু জানি ওইটুকুনি হবে। এর বেশি কিছু করার বা হবার জো নেই । সূর্য প্রসব ক্ষমতা অফলপ্রশুদের থাকেনা বলেই তাদের চলতি নাম বাঁজা।
অতি উৎসাহী কয়েকজন কিংবা অনেককে দেখছি ঝটপট সাধারণ সমীকরণের অঙ্ক করে শান্তিনিকেতনের এই ঘটনাকে মিলিয়ে দিচ্ছেন কিছু মাস আগে দিল্লিতে ঘটে যাওয়া জে এন ইউ' তে কিংবা জামিয়া মিলিয়া ইউনিভার্সিটিতে পুলিশি অত্যাচারের সঙ্গে। বেশ কথা। যদিও নিরিখ আলাদা , মানলাম , তিনটে ঘটনাই স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের নগ্ন প্রকাশ। কিন্তু বঙ্গবর , রাজধানীর ওই ভীষণ ভয়াল ঘটনা গুলির পর , দিনের পর দিন যে মাত্রায় জনরোষ আছড়ে পড়েছিল দিল্লির রাস্তায় , বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী , সাধারণ নাগরিক মহলে, তার সিকির সিকি ভাগ তো দেখলাম না একদা এই মিছিল নগরে। কলকাতা তুমি এতটাই ডায়ালিসিস বৃদ্ধ হয়ে গেছো , এতটাই বুদ্ধিগত কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছো ? তোমার ফুলেল পঁচা ফুচকারা তো দিব্য পিঠে ফ্রিজ বেঁধে ঘুরছে ফিরছে , চ্যানেলে চ্যানেলে বাকতাল্লা মেরে ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। আবার কোন কোন সুশীল বৃহন্নলা কোঁৎ পেরে খোকন সোনা মিহি গলায় বলছে - চেনা শয়তানের থেকে অচেনা শয়তান আরো ভয়ঙ্কর। তাই চেনা শয়তানের শয়তানি যদি দেয়াল ভাঙে , সহ্য করে যাও , অচেনা শয়তান এলে দেয়াল নয় পুরো বাড়িটাই গুঁড়িয়ে দেবে। অর্থাৎ , চোর চুরি করুক ক্ষতি নেই , প্রতিবাদ কোরো না , চোরের স্থানে ডাকাত আসতে পারে। সে আরো বড়ো জূজূ। ম্যাও করে কামড়ে দেবে।
অর্থাৎ সমাজের সুশীল,সুশিলারা এখন এতটাই দর্শনহীন , দিশেহারা , অপ্রবৃত্ত , সেয়ানা ফিচেল হয়ে উঠেছে , যে, কায়েমী স্বার্থ বজায় রাখতে , কিছু না বলে বলার চেষ্টা করছেন - হে , ধীবর নাও লইয়া আগায়েও না। যেখানে আছো সেখানে আল্লাহর নাম লইয়া লগা মাইরা বইয়া থাকো। দিনে দিনে আরো বেশি বেশি করে উটপাখি হও। নিউট্রাল থাকো। দেখছো তো ওই ' এক টাকার ডাক্তার ' নামে খ্যাত পদ্মশ্রী সুশোভন বাঁড়ুজ্জের হাল! প্রতিবাদ করেছিল ব্যাস আর কথা নাই ! সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ্যে মুখে চুন কালি।
এটা নিশ্চিত , আমরা যে সময়ের ভিতর দিয়ে যাচ্ছি , তার মধ্যে এক চিলতে কোন শ্রদ্ধেয় অংশ নেই। কিন্তু এইটুকু বলে চায়ের ভার ফেলে সুলভ শৌচালয়ে নিৎসে বগলে নিয়ে ঢুকে গেলে তো আগামী প্রজন্ম আমাদের প্যাঁক আর কাঁচা গালি ছাড়া কিছুই দেবে না। ইতিহাসের পাতায় দুর্গন্ধ পেচ্ছাপের বৃত্তে আমাদের নাম লেখা থাকবে । বন্ধু ,এটাই কি ইপ্সিত ? নাকি কেতাবী , হাঁচি মারা প্রতিবাদ ছেড়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে আঙ্গুল তুলে বলা - হারামজাদা ,তোদের রবীন্দ্রনাথের গায়ে হাত দেবার , তার হাড় - মাংস জেভিসির লৌহ নখ দিয়ে খুবলে নেবার অধিকার কে দিয়েছে বল ! কাপুরুষ ,নিজের বাড়ির দেয়াল ভেঙে দেখেছিস একবার , কেমন লাগে ?
এক দশক আগে , সিঙ্গুর , নন্দীগ্রাম , খেজুরি'তে যাঁরা গিয়েছিলাম , কবিতা গান বেঁধেছিলাম , মিছিল করে বলেছিলাম - বুক থেকে জগদ্দলকে নামানোর সময়ে এসেছে , আমরা আপনারা কি একসঙ্গে বলতে পারিনা আবার - এ চলতে পারেনা , এ চলতে দেয়া যায় না ! বাঙালির পাশ ফিরতে আজ এতটাই ভয় ! এতটাই আতঙ্ক যে বলবেন রবীন্দ্রনাথ কাঁদছে কাঁদুক আমরা এখন চুল ব্যাকব্রাশ করে ঘন্টাখানেক চ্যানেলে - রিয়া চক্রবর্তী নিয়ে বাইট দোবো। ওতে শিল্পীর শিল্প সচেতনা বাড়বে , পিঠও বাঁচবে। ছিঃ !

85 - 0

SANMOY BANERJEE
Posted 4 years ago

এরপরও এডভাইসারির গল্প শুনবে বাঙালি ? বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো কোথায় ? যারা ২০২১ এ পরিবর্তনের কথা বলছে । কেন দিসান হসপিটালের লাইসেন্স বাতিল হবেনা করোনা পর্ব মিটলে ।

68 - 1

SANMOY BANERJEE
Posted 4 years ago

২১-এর ভার্চুয়াল সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের কন্ঠে বিদায়ের আতঙ্ক ঝড়ে পড়ল। রাজ্যপাট হারানোর আশংকায় অসংখ্য মিথ্যে তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করলেন । বাংলার বার্তা ও বাংলার মন চ্যানেলে আমরা পর্বে পর্বে ব্যাখ্যা করব । কিভাবে তিনি মিথ্যে বলেছেন, কতটা মিথ্যে বলেছেন এবং কেন মিথ্যে বলেছেন । প্রতিদিন সকাল ৮টায় বাংলার বার্তায় ও সন্ধ্যে ৬টায় বাংলার মন-এ বিভিন্ন জগতের বিশিষ্টদের মন্তব্য শুনুন এবং দেখুন । কেন তিনি রাজ্যপাঠ হারাবেন তার বিশ্লেষণ এবং ব্যাখ্যা ।

59 - 1

SANMOY BANERJEE
Posted 4 years ago

হুগলী গ্রামিন-এর পুলিশ সুপার তথাগত বসুর একটা প্রেস ব্রিফিং শুনছিলাম আরামবাগ টি ভি নিয়ে । আগে কোন দিন ভদ্রলোককে দেখিনি । নামটা শুনেছি ।
প্রথমে ভেবেছিলাম মা মাটি মানুষের কারুর একটা প্রেস ব্রিফিং । পরে ভুল ভাঙল । পাশে উর্দি পরা দু এক জনকে বসে থাকতে দেখে ।
এমনিতে এস পি পদমর্যাদার প্রতি একটা সহজাত সম্ভ্রম ব্যক্তিগত ভাবে আমার আছে । আই পি এস…এঁরা তো এমনি এমনি হননি । দক্ষতা, যোগ্যতা না থাকলে কেউ ঐ পর্যায়ে যেতে পারে না ।এঁরাই সরকারটা চালান ।
কিন্তু আজ বিশ্বাস করুন ভদ্রলোককে দেখে খুব খারাপ লাগছিল । সম্ভবত খুব কষ্ট করে রিহার্সাল করে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক অসত্য কথা গুলো ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে কিরকম বেমালুম বলে গেলেন । সমানে বসা জেলার কিছু নিরীহ সাংবাদিকদের বোঝাচ্ছিলেন সংবাদ মাধ্যমের মানে কি ! সংবাদ মাধ্যম বলতে কি বোঝায় ! সংবাদ মাধ্যমের শুধুই information share করাটা কাজ হওয়া উচিৎ । sensation তৈরি করা একদমই উচিৎ নয় । ইনিয়ে বিনিয়ে যা যা বলে গেলেন তার সারাংশ দাঁড়ায় সরকারের সমালোচনা করা একদমই উচিৎ নয় ।
আরও যা বোঝাতে চাইলেন facebook বা utube চালাতে নাকি অনুমতি লাগে । সেই অনুমতি আরামবাগ টি ভি র সঞ্চালক নিয়েছিলেন কি না সেটা তাঁরা জানতে চাইবেন facebook বা utube authority কাছে ।
আরও জানলাম খবরের কাজগের RNI নম্বর না থাকলে পুলিশ না কি arrest করতে পারে । অর্থাৎ আপনি কোন ব্যবসা করছেন পুরসভার অনুমতি ব্যতিরেকে । পুলিশ জানতে পারলে arrest করবে পুরসভা আপনার কাছে কৈফিয়ত না চাইলেও। এর অন্য একটা দিক হল গ্রামে মফস্বলে অসংখ্য ছোট সংবাদ পত্রকে পাততাড়ি গোটাতে হবে RNI নম্বর যোগাড় করার সাধ্য যেহেতু তাঁদের নেই ।
এস পি সাহেব আরও যা যা বললেন না কিন্তু আমরা বুঝলাম পুলিশ রাজপথে দাঁড়িয়ে উর্দি পড়ে ঘুষ নিচ্ছে এ ছবি আপনি প্রচার করলে কপালে বিপদ আছে । আছেই । লক ডাউনের মধ্যে ভুয়ো ক্লাব সহ ৫৭ টা ক্লাবের চেক নেওয়ার ছবি প্রচার করলে আপনার অবস্থাও সফিকুল কিম্বা সুরাজ আলির মত হবে । সাংবাদিক হওয়ার একদম চেষ্টা করবেন না । বরঞ্চ অনুপ্রাণিত হন, অনুগত হন । আমার মত । হতে শিখুন । দেখে ও ঠেকে শিখুন ।
এস পি সাহেব, বয়সটা আপনার থেকে কম হলে একবার প্রণাম ঠুকে আসতাম ।
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় ( ৯৮৩০৪২৬০৭৮ )

33 - 1

Welcoem to posts!!

SANMOY BANERJEE Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 4 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 4 years ago

SANMOY BANERJEE Posted 4 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 3 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 4 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 4 years ago

SANMOY BANERJEE
Posted 4 years ago