Daily Dham Darshan

Daily Dham Darshan
Posted 8 months ago

শ্রীমতী রাধারানীর বাড়ি বর্ষণায় রাধাকৃষ্ণ যুগল দর্শন

5 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 9 months ago

নবদ্বীপ ধামের আজকের দর্শন

13 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 9 months ago

সকল গৌর ভক্ত চরণে দণ্ডবৎ প্রণাম। আপনাদের Daily Dham Darshan পেজের লোগোটি সংশোধন করা হয়েছে। এর আগে অনেক বার এই পেজটির লোগোটি সংশোধন করা হয়েছে বটে কিন্তু এখন থেকে এই লোগোটিই চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হল। আপনাদের পছন্দ মতামত অবশ্যই কমেন্ট করবেন, ধন্যবাদ সকলকে রাধে রাধে। #বৃন্দাবন #vrindavan #dailydhamdarshan

2 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Prem Mandir Vrindavan mathura Dham

17 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Kirti Mandir Barsana Dham

29 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

রাধাষ্টমীর মহতিদিনে বৃন্দাবনের মুকুটমণি রাধাকুন্ডের অপূর্ব সুন্দর দর্শন ও আরো ভালোভাবে ব্লগ দেখতে পারেন চ্যানেলে

15 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

গোবর্ধন পরিক্রমা মার্গের কিছু চিত্র

5 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

গোবর্ধন তটের বানর সেনার দল

6 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

মিথিলাধিপতি বলিলেন,— হে মহামতে! যিনি অনাদি আত্মা প্রকৃতির অতীত পুরুষ ভগবান্, তিনি কি নিমিত্ত দেহ ধারণ করেন, তাহা আমাকে বলুন । নারদ বলিলেন,–গো, সাধু, দেবতা, বিশ্র ও বেদের জন্য সাক্ষাৎ ভগবান্ হরি আত্মলীলায় তনু গ্রহণ করিয়া থাকেন। নট ফোন নিজ লীলা-বিলাসে বিমোহিত হয় না, পরন্তু অপবে হইয়া থাকে ; তদ্রূপ ভগবানের মায়াদর্শনে মানবগণ যে বিমোহিত হয়, তাহাতে আর সংশষ থাকিতে পারে না। মিথিলারাজ জিজ্ঞাসা করিলেন, হে প্রভো! সাধুগণের রক্ষণার্থ ভগবান বিষ্ণুর কত প্রকার অবতার হয়, কৃপাসুধ* 'আমার নিকট তাহা বিস্তৃতরূপে করুন। নারদ বলিলেন,– অংশাংশাবতার, আবেশাবতার, কলাবতার, পূর্ণা- বহার এবং পরিপূর্ণতমাবতার— ব্যাসাদি এই ছয় প্রকার অবতার নির্দ্দেশ করিয়াছেন । মরীচি প্রভৃতি ঋষিগণ অংশাংশাবতার, ব্রহ্মাদি শাবতার, কপিল কৰ্ম্মাদি কলাব- তার, প!ওমামাদি আবেশাবতার ; নৃসিংহ, রাম, শ্বেতদ্বীপাধিপতি, হরি, বৈকুণ্ঠ, যজ্ঞ, নরনারা- য়ণ ইহারা পূর্ণাবতার ; আর সাক্ষাৎ ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং পরিপূর্ণতমাবতার বলিয়া অভি- হিত। ব্রহ্মাণ্ড অসংখ্য, সেই সকল ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর গোলোকধামে বিরাজিত আছেন। সর্ব্বদা যাঁহারা কার্য্যের অধ্যক্ষতা করেন, তাঁহারা বিভু ভগবানের অংশাবতার ; যাঁহারা সেই ; কার্য্য নিষ্পন্ন করেন, তাঁহারা অংশাংশাবতার ; আর স্বয়ং বিষ্ণু যাঁহাদের হৃদয়' মধ্যে কার্য্যানু- ষ্ঠানের উপদেষ্টারূপে আবিষ্ট হইয়া পুনরায় বহির্গত হইয়া আইসেন, হে রাজন! তাঁহারা আবেশাবতার বলিয়া জানিবেন। হে মহামতে ! যিনি সম্যকরূপে ধৰ্ম্ম বিদিত হইয়া তাহার অনু- ট্রানপূর্বক তিরোহিত হন এবং যিনি যুগে যুগে বর্তমান থাকেন, তিনি ভগবান্ হরির কলাব ৷ বাঁহাতে বাসুদেবাদি চতুবহ ও নবৰিধ রস বিদ্যমান এবং যিনি প্রভূত পরা- ক্রম, তিনি পূর্ণাবতার নামে কথিত। যাঁহার নিজ তেজে সর্ব্বপ্রকার তেজ বিলীন হয়, সত্তম- গণ তাঁহাকে পরিপূর্ণতম অবতাররূপে কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন । এই অবতারে পূর্ণের লক্ষণ বিদ্যমান এবং জনগণ নিজ নিজ ভাবাবেশে ইহাকে পৃথক্ পৃথক্ রূপে পরিদর্শন করে ৷ তজ্জন্য ইহাকে পরিপূর্ণতম অবতার বলা হয় । স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণই এই পরিপূর্ণাবতার, অন্য কেহ নহেন। ভগবান্ শ্রীকৃষ্ণ একটী কার্য্যের জন্য অবতীর্ণ হইয়া কোটি কোটি কার্য্য করিয়া থাকেন। তিনি পূর্ণ পুরাণ পুরুষোত্তমোত্তম পরাৎপর পরম পুরুষ পরমেশ্বর ; আমি সেই স্বয়ং সানন্দময় কৃপাকর গুণাকর শ্রীকৃষ্ণের শরণাপন্ন হই। ১১—২৬। গর্গ বলিলেন,— মিথিলাপতি ইহা শ্রবণ করিয়া হৃষ্ট রোমাঞ্চিত- গাত্র ও প্রেমবিহ্বল হইয়া আনন্দাশ্রুপূর্ণ নেত্র দ্বর পরিমার্জ্জনপূর্বক দেবর্ষি নারদকে বলিতে লাগিলেন। বহুলাশ্ব বলিলেন, হে ব্রহ্ম ! পরিপূর্ণতম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ কি নিমিত্ত ভারতে আগমনপূর্ব্বক দ্বারকার বিরাজ করিতেছেন ? হে মুনিসত্তম! সেই গোলোক- নাথের সুন্দর গোলোকধাম ও তাঁহার অপরি মেঘ কৰ্ম্মাসমূহ কীৰ্ত্তন করুন। মানৰ যখন শত শত জন্ম তীর্থ-পর্যটন পূর্ব্বক পেঃপর ঘণ হইয়া সৎসঙ্গলাভে সমর্থ হয়, তখনই আশু শ্রীক্লঞ্চকে প্রাপ্ত হইয়া থাকে । আহা ! আমি কখন শ্রীকৃষ্ণদাসের দাসানুদাস হইব, কখন আমার মন কৃষ্ণপ্রেমে আর্দ্র হইবে, যিনি দেব- বরগলেও দুর্লভ, সেই পরমাত্মা আদিদেব কৃষ্ণ ৷ কখন আমার হৃদয়গোচর হইবেন ? নারদ : বলিলেন, হে নৃপশাদল! শ্রীকৃষ্ণ তোমাৰ । তুমি হরিপ্রিয়, অংএর ভূমি ধন্য ; তোমাকে দর্শন দিবার জন্য ভক্তপালক ভগ- বান এইস্থানে উপস্থিত হইবেন। অঙ্গে। ভূতলে সাংগণের কি সৌভাগ্য! হে নৃপ ! তোমাকে এবং নৃপতি শ্রুতদেরকে দ্বিজদের জনার্দন দ্বারকায় থাকিয়া বিশেষরূপে স্মরণ করিয়া থাকেন। নারদ বলিলেন, যে ব্যক্তি জিহ্বা লাভ করিয়াও কীৰ্ত্তনীয় কৃষ্ণগুণ কীৰ্ত্তন না করে, সে সোপান, প্রাপ্ত হইয়াও তাহাতে আরোহণ করিতে সমর্থ হয় না। হে প্রভো নৃপ ! এই বরাহকল্পে শ্রীকৃষ্ণের ভূতলে যেরূপে আগমন হইব।ছিল, অনন্তর তাহা তোমার নিকট সম।প্রকারে কীৰ্ত্তন করি- তেছি, শ্রবণ কর। পূৰ্ব্বকালে পৃথিবী হষ্ট দানব দৈত্য নন ও নরপতিগণকর্তৃক অত্যন্ত ! . ভারাক্রান্তা হইয়া গোরূপ ধারণপূর্ব্বক অনাথার ন্যায় রোদন করিতে করিতে কম্পিত কলেবরে ব্রহ্মার শরণাপন্ন। ইইয়া নিজ বেদনা নিবেদন করেন । অনন্তর ব্রহ্ম তাহাকে আশ্বস্ত। করিবা সমস্ত দেবতার সহিত শঙ্করকে সঙ্গে লইয়! তৎক্ষণাৎ ভগবান হরির বৈকুণ্ঠধামে আগমন করিলেন । অনন্তর চতুরানন চতুব্বাহু বিষ্ণুকে প্রণামপূর্ব্বক নিজ অভি- লাষ জ্ঞাপন করিলে দেবগণকে উদ্বিগ্ন দর্শন করিয়া তিনি ব্রহ্মাকে বলিতে লাগিলেন । ১৬। ভগবান্ বলিলেন,— শ্রীকৃষ্ণ স্বয়ং সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডের অধীশ্বর, পরেশ, অখণ্ড, সর্ব্বদেববর ও অখিল ীলাময়, তিনি ভিন্ন কোন কাৰ্য্যই সম্পন্ন হইবে না ; অতএব তুমি সত্ত্বর তাঁহার বিশদ অব্যয় ধামে গমন কর। ব্রহ্ম! বলি- লেন,—আমি ত আপনি ভিন্ন আর কালকে ও পরিপূর্ণতম বলিয়া বিদিত নহি, অতএব হে প্রভো! যদি অন্য কেহ পরিপূর্ণতন থাকেন, তবে তাঁহার নিবাস্তান আমাদিগকে প্ৰদ- শন করুন। নাবদ বলিলেন,– ভগবান বিষ্ণু এইরূপে প্রার্থিত হইযা সৰ্ব্বদেবগণসহ ব্রহ্মাকে ব্রহ্মাণ্ডের শিখরে পরিশু স্থান দেখাইতে লাগিলেন । তাঁহারা দেখিলেন, — ব্রহ্মাণ্ডের উপরে বামনদেবের বামপদাঙ্গুষ্ঠনথে নির্ভিন্ন এক বিবর বিদ্যমান, ঐ বিবর আদি- মন্দাকিনী জলে সমাকুল। সুরগণ সেই বিবর- পথে জলযানে ব্রহ্মাণ্ডের অপরদিকে আসিযা পড়িলেন এবং ব্রহ্মাণ্ডকে অধোদেশে কলিঙ্গ- বিম্ববৎ অর্থাৎ ক্ষুদ্র করঞ্জফলের ন্যায় দেখিতে পাইলেন। আরও দেখিলেন,—ইন্দ্ৰায়ণ অর্থাৎ গুঞ্জা ফলের ন্যায় কোটি কোটি অন্যান্য অনেক ব্রহ্মাণ্ড সেই জলে বিলুণ্ঠিত হইতেছে। তাঁহারা এই সকল অবলোকন করিয়া বিস্মিত ও যেন চকিত হইলেন । তাহার অর্দ্ধ কোটি যোজন স্থান ব্যাপিয়া আটটা দিব্য পূর বিদ্যমান, সেই সকল মনোহর পুর দিব্য প্রাকার পরিবেষ্টিত এবং রত্ন ও বৃক্ষশ্রেণীতে শোভিত । দেবগণ সেই পুরে প্রবেশ করিলেন এবং দেখিলেন——তাহার উর্দ্ধদেশে বিরজা নদী বিদ্যমান। বিরজার তীরভূমি পরমশোভন। তরঙ্গ রেখাসমন্বিত ও ক্ষৌম বসনের ন্যায় তত্রত্য সোপান সমুহ অত্যুজ্জ্বল । তদ্দ- র্শনে দেবগণ অগ্রসর হইয়া বিরজাতীরস্থ সেই ঊর্দ্ধতম পুরে প্রবেশ করিলেন । ঐ পুরী যেন অসংখ্য কোটি দিবাকর তুল্য এক মহা জ্যোতির্মগুল। সেই তেজোদর্শনে তাঁহাদের নেত্র প্রপীড়িত হইল, তাঁহারা সেই তেজে ধর্ষিত হইয়া অবস্থান করিতে লাগিলেন । অনন্তর বিষ্ণুর আদেশে ব্রহ্মা সেই তেজকে নমস্কার করিয়া তাহার ধ্যানে প্রবৃত্ত হইলে তিনি সেই জ্যোতির্মণ্ডলমধ্যে এক শান্তিময় সাকার তেজ দর্শন করিলেন। সেই তেজো- মধ্যে মহাদ্ভুত পরম রমণীয় মৃণাল ধবল সুদীর্ঘ সহস্রবদন শেষনাগ বিদ্যমান রহিয়াছেন, তাঁহাকে দেখিয়া দেবগণ প্রণাম করিলেন । . সেই শেষনাগের ক্রোড়ে লোকবন্দিত মহা- লোক গোলোক অবস্থিত, সেই গোলোকে তেজস্বী সংহারকদিগেরও সংহারক ঈশ্বর বিরা- জিত রহিয়াছেন। ৭—১৮। হে রাজন্ । সেস্থানে মন, চিত্ত, বুদ্ধি ও অহঙ্কারের প্রভাব নাই ; বিকার এবং মহত্তত্ত্বও তথায় প্রবেশকরিতে পারে না; গুণের আর কথা কি ? তাহার দ্বারদেশে কন্দর্পকান্তি শ্যামসুন্দর-বিগ্রহ কৃষ্ণপার্বণ বিদ্যমান, দেবগণ তথায় প্রবেশো- দ্যত হইলে তাঁহারা তাহাদিগকে নিষেধ করি- লেন। দেবগণ বলিলেন,—ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর প্রমুখ আমরা সকলেই লোকপাল, ইন্দ্রাদি দেবগণসহ আমরা শ্রীকৃষ্ণদর্শনার্থ এই স্থানে উপস্থিত হইয়াছি। নারদ বলিলেন,- কৃষ্ণপ্রিয় প্রতিহারিগণ তাঁহাদিগের প্রার্থনা শুনিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশপূর্ব্বক শ্রীকৃষ্ণকে তাঁহাদের অভিলাষ জ্ঞাপন করিলেন, তখন পুরমধ্য হইতে পীতাম্বর-পরিহিতা শত শশধরকান্তি বেত্রহস্তা এক সখী নির্গতা হইয়া সুরগণকে তাঁহাদের মনোরথ জিজ্ঞাসা করিলেন । চন্দ্রাননা বলিলেন, --- এখানে সমাগত আপনারা কোন্ ব্রহ্মাণ্ডের অধিপতি, তাহ! সত্ত্বর বলুন, আমি ভগবানের নিকট গিয়া নিবেদন করিব। দেবগণ বলিলেন, অহো! আমরা একই ব্রহ্মাণ্ড বিদিত আছি, হে শুভে! আমরা অন্য ব্রহ্মাণ্ড কখন দর্শনও করি নাই এবং অপর ব্রহ্মাণ্ড আছে বলিয়াও আমাদের বিদিত নহে ৷ চন্দ্রাননা বলিলেন, হে ব্ৰহ্মন্ ! এখানে - কোটি কোটি ব্রহ্মাগুরাশি বিলুণ্ঠিত হই- তেছে ; তোমর। যেরূপ তোমাদের ব্রহ্মাণ্ডের দেবতা, তদ্রূপ সেই সকল বিভিন্ন ব্রহ্মাণ্ডেও তোমাদের মত পৃথক পৃথক্ দেবতা সকল বিদ্যমান রহিয়াছেন। তোমরা কখনও এখানে কর নাই এবং সেই সকল ব্রহ্মাণ্ডের নামসমূহও অবগত নহ ৷ জড়বুদ্ধিতেই নিজ- গৃহে প্রসন্নভাবে অবস্থান কর, গৃহের বাহিরে কখন হও নাই । উডুম্বর ফলমধ্যস্থ কীটের যেমন তাহার বাসস্থানটীতে মাত্র জ্ঞান থাকে, সাধারণ জনগণ যেমন নিজ জন্মস্থান- একটামাত্র ব্রহ্মাণ্ডের বিষয়ই বিদিত; তোমরা ও তদ্রূপ তোমাদের সেই একই ব্রহ্মাণ্ডের বিষয় বিদিত আছ। নারদ বলিলেন,– দেবগণ এইরূপে উপহাস প্রাপ্ত হইয়া নীরবে অবস্থান করিয়া ভগবান্ বিষ্ণু, দেবগণকে চকিত ও আনতবদন দর্শন করিয়া পুনরায় বলিতে লাগিলেন । বিষ্ণু বলিলেন,– পৃশ্নিগর্ভ সনাতন ভগবান্ যে ব্রহ্মাণ্ডে বামনরূপে অব- তীর্ণ হইয়াছিলেন এবং তাঁহার পদাঙ্গুষ্ঠনখা- ঘাতে যে ব্রহ্মাণ্ড উদ্‌ভিন্ন হইয়াছিল, আমর সেই ব্রহ্মাণ্ডের অধিবাসী। নারদ বলিলেন,– বিষ্ণুবাক্য শ্রবণে সখী চন্দ্রাননা সেই বাক্য সাদরে গ্রহণ করিয়া সত্ত্বর অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন এবং তখনই পুনরায় আগমন করত দেবগণকে পুরপ্রবেশে আদেশ দিয়া পূর্ব্ববৎ পুরমধ্যে প্রস্থিত হইলেন । অনন্তর দেবগণ সকলেই সেই পরম রমণীয় গোলোক অবলোকন করিলেন। সেই গোলোকে গিরিরাজ গোবর্দ্ধন বিরাজিত, গোপগণ পরিবেষ্টিত বসন্ত সময়ো- চিত্র ব্যবহারনিপুণা গোপী 'ও গো-গণ তথা অধিষ্ঠিত ; কল্পপাদপের লতাজালে তাঁহাদের রাসমণ্ডল বিমণ্ডিত ; সেখানে শ্যামা যমুনা নদী অনন্ত লহরী তুলিয়া প্রবাহিত; তাহারা বৈদুর্য্যাদি রত্নজালে উজ্জ্বল এবং সেই যমুনা নদীর গতি স্বচ্ছন্দ । মনোহর যমুনাতীরে দিব্য বৃক্ষ ও লতাকীর্ণ বৃন্দাবন বিরাজিত। বিচিত্র বিহা, মধুকর ও বংশীবটে সেই বন অতীব শোভান্বিত ৷ সেই সুশীতল যমুনা পুলিনে সহস্রদল পদ্মের পরাগ ইতস্ততঃ প্রক্ষেপপূর্ব্বক মৃদু-মন্দ গামী গন্ধবহ পর্যাপ্তরূপে মুহুর্মুহুঃ প্রবাহিত। সেই বৃন্দাবন মধ্যে দ্বাত্রিংশৎ বনবিরাজিত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিজ নিকুঞ্জ অবস্থিত ; সেই নিকুঞ্জ প্রাকার ও পরিখাযুক্ত এবং তাহার প্রাঙ্গণে অরুণবর্ণ অক্ষয় বট বিদ্যমান; পদ্মরাগাদি সপ্তপ্রকার মণিদ্বারা তত্রত্য অঙ্গন ও ভিত্তিভূমি - বিভূষিত; কোটি কোটি চন্দ্রমণ্ডলের মত বিতান শ্রেণীদ্বারা সেই অঙ্গন পরিশোভিত দিব্যকান্তি পতাকা তথায় পতপত উড়িতেছে, সেই অঙ্গনপথে পুষ্পমন্দির বিদ্যমান, মধুকরগণ তথায় গুন্ গুন্ রবে গান করিতেছে ; মত্ত ময়ূররব ও কোকিলকূজনে সেই কুঞ্জ মুখরিত হইতেছে। বালার্কের আকার সদৃশ কুণ্ডল- ধারিণী শত শশধরশোভাশালিনী রমণীগণ স্বচ্ছন্দ গতিতে বিচরণ করত রত্নশোভা সম- ন্বিত সুন্দর বদন পরস্পর সন্দর্শন করিতে ছেন'। সেই চূড়ামণিশোভিতা হারকেয়ূরভূষিতা যখন অঙ্গন মধ্যে ধাবমানা, তখন তাঁহাদের নূপুর ও কিঙ্কিণী হইতে ক্বণ ক্বণ ধ্বনি উত্থিত হইতেছে। ১৯–৪১। শ্বেত শৈল- সদৃশী দিব্যভূষণ-ভূষিতা কোটি কোটি মনো- হরা গো দ্বারে দ্বারে বিচরণ করিতেছে; তাহারা তরুণী পয়স্বিনী শান্তস্বভাবা ও রূপ- মনোরমা ৷ শান্ত ভাবে ভ্রমণশীলা সেই সকল গো সবৎসা ও তাহাদের পুচ্ছ পীতবর্ণ; গলদেশে ঘণ্টা এবং পাদদেশে মঞ্জীর ও কিঙ্কিণী জাল হইতে সুমধুর রব উত্থিত হইতেছে ;

25 - 0

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

লক্ষ্মী নারায়ন

30 - 1

Welcoem to posts!!

Daily Dham Darshan Posted 8 months ago

Daily Dham Darshan Posted 9 months ago

Daily Dham Darshan Posted 9 months ago

Daily Dham Darshan Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan
Posted 8 months ago

Daily Dham Darshan
Posted 9 months ago

Daily Dham Darshan
Posted 9 months ago

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago

Daily Dham Darshan
Posted 1 year ago