H View | Poke

H View
Posted 1 week ago

প্রিয় তুমি,

প্রিয় তুমি! হাহা! হাস্যকর, তাই না? যেনো কোনো নাম নেই তোমার! আসলে ব্যাপারটা কি তাই? কি মনে হয় তোমার? হয়তো তোমার নাম লেখার ক্ষমতা নেই আমার। অথবা নেই নাম দেবার অধিকার। অথবা হয়তো তোমায় কোনো নামে আবদ্ধ করতে চাইনা, অথবা করা যায় না। কি সব কনফিউজিং কথাবার্তা শুরু করলাম বলো তো! আমিও না! একেবারে যাচ্ছেতাই, বিরক্তিকর। বাদ দিই, কি বলো?

কেমন আছো তুমি?
কি সুন্দর প্রশ্নটা এড়িয়ে গেলে! উত্তর নেই! কি অদ্ভুত, তাই না। না চাইতেই কত সহজে কতকিছু এড়িয়ে যাও, অথচ কতকিছু এড়িয়ে যেতে চাইলেও পারো না! সেসব কেমন আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকে তোমাতে অথবা তুমি তা তে। জীবন কত অদ্ভুত, তাই না? তোমার জীবন! আমার জীবন! তার জীবন! তাদের জীবন! ওর জীবন! ওদের জীবন! জীবনই তো। অথচ কত অমিল! মরিচ কেমন? ঝাল। ঝাল স্বাদ ছাড়া কি মরিচ নাম হয়? দেয়া যায়? যায় না। কেবল জীবনই অদ্ভুত! একের সাথে আরেক মেলে না। অথচ নাম একই! জীবন! জীবনকে যদি অদ্ভুত মনে না হয়, তবে আমার এসব কথাবার্তা পাগলাটে লাগাটাই স্বাভাবিক। আমাকে পাগল ভাবলেও অবাক হবো না। এসব শুনে অভ্যেস আছে। তাই যা খুশি ভাবতেই পারো, একদম নির্দ্বিধায়। ভাবতেই পারো জীবনের সাথে মরিচ? হাহা!

তোমার ওই ক্লান্ত চোখে আমি দেখেছি সব! দেখেছি ব্যর্থতা, হেরে যাওয়া। দেখেছি প্রয়োজন শেষে ছুড়ে ফেলা। দেখেছি কতোটা অগোছালো তুমি! দুমড়েমুচড়ে সমস্ত ভেঙে যাওয়া। অথচ সবকিছুর আড়ালে চাপা পড়ে যাওয়া কি গভীর নিরেট মায়াভরা ভালোবাসা তুমি আজও পুষে রাখো! কতটা যত্নে, সন্তর্পণে, সবার আড়ালে! যে ভালোবাসায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া তুমি আজও বেঁচে থাকো! যেনো পুরো সাহারার উত্তপ্ত বালিতে জীবনের মায়া ছেড়ে প্রতিকূলতার বিদ্রোহ ঘোষনা করে মাথাচাড়া দিয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছে এক বটগাছ। যার জীবনের মায়া নেই, তাকে হারায় কে বলো? তোমার ওই নিরেট ভালোবাসা দাড়িয়ে গেছে শত প্রতিকূলতায়। কেবল তুমি হেরে গেলেই হেরে যাবে! তোমাকে হারতে না দেবার যেই তুমূল বিদ্রোহ ওরা করে যায়, তুমি দেখো না? আমি তো দেখি! সবার অগোচরেই আমি দেখে যাই নীরব প্রেম, নিস্তব্ধ কান্না, বিষণ্ণ হাসি, নির্বাক হাহাকারের চিৎকার! কত কী!

10 - 2

H View
Posted 2 weeks ago

সালাত শেষে দুই হাত তুইলা দোয়া করি তুমি সুখী হও। তামাম দুন্নায় বেবাক সুখ তোমার হোক। শুধু মাত্র একটা দুঃখ, একটা মানুষের অভাব তোমাকে আঁকড়ে ধরুক। শুধু আমার অভাব তোমারে এমন কইরা জড়ায় ধরুক, যেমন কইরা জড়াইয়া ধরে মাটির বুকে শিখর গেড়ে দূর্বাঘাস।

জগতে যত ভালা আছে, সব ভালা তোমার হোক। শুধু আমি নামক মন্দ স্বভাব তোমার বুকে আষ্টেপৃষ্টে লাইগা যাক, যেমন কইরা আষ্টেপৃষ্টে লাইগা যায় জন্মের সময় জন্মদাগ।

তোমারে জড়ায় ধরুক ডুবাইয়ের প্রিন্সের জীবন চক্র। চলার লাইগা এসিওয়ালা গাড়ি, আরাম আয়েশে থাকার লাইগা বিলাসবহুল বাড়ি, রান্নার লাইগা রাধুনি, বাড়িতে কাজের ভিন্ন-ভিন্ন কাজের মানুষ। হাতে নাগালে ম্যালা সময়। শুধু অভাব জমুক একটা মানুষ বুকে কাছে নেই, হিসেবে কষে তোমারে না বুঝতে পাড়ায়।

রিক্সার পাশে বসে ঝাকুনিতেও যে শান্তি পেতে, এসি ওয়ালা গাড়িতে সেই শান্তি না মিলুক! একটা মানুষ পাশে না থাকায়৷ খাবারের তালিকায় ভালো খাবার থাকলেও তোমার অরুচি ধরবে, পুরনো দিনের খিচুড়ি আর ডিম যখন প্লেটের তুলবে, গলায় আটকে যাবে একটা মানুষ ভীষণ মনে পড়ায়।

সব ভালো তোমার হবে, শুধু কেউ কবিতায় ডেকে বলবে না, বুকের কাছে তুমি এলে শান্তি লাগে, খুশি লাগে। এই যে বুকের কাছে সুখের কাছে একটা মানুষ, এই মানুষটা তোমার না হোক। সব ভালো তোমার হোক, শুধু একটা মানুষ তোমার না হোক! বুকের কাছে সুখের কাছে।

যার কাছে তুমি আছো! তার কাছে তুমি যতই সুখে থাকো আমারে তোমার মনে পড়বেই।

1 - 4

H View
Posted 1 month ago

নারী পুরুষের ভেতর কী খোঁজে
প্রশ্নটা পুরোনো। তবে আজও প্রাসঙ্গিক। নারী একজন পুরুষের ভেতর কী চান? এই প্রশ্নের উত্তরে কেউ মজা করেন, কেউবা আবার দাবি করেন মেয়েরা আসলে কী চান, তাঁরা নিজেরাই জানেন না। কিন্তু সত্যিটা হলো, এর কোনো একক উত্তর নেই। একেক নারীর ক্ষেত্রে একেক উত্তর প্রযোজ্য। তবে হ্যাঁ, পুরুষের মধ্যে এমন কিছু বিশেষ গুণ আছে, যেগুলো সাধারণত নারীরা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। কী সেই গুণ? চলুন জেনে আসি।

১. সততা, বিশ্বস্ততা

এটা কেবল নারী-পুরুষ হিসেবে নয়, যেকোনো মানুষের সবচেয়ে বড় গুণ নিঃসন্দেহে সততা। আর কেউ-ই ভালোবাসার নামে প্রতারিত হতে চান না। কাজেই নারীর মনে ঠাঁই পেতে হলে আপনাকে প্রতিটি ব্যাপারে সৎ হতে হবে। বিশ্বাস অর্জন করতে হবে।

২. একটুখানি সেন্স অব হিউমার

জানি, কথাটা আপনি আগেও শুনেছেন। নারীকে যে পুরুষ হাসাতে পারেন, তাঁর সিঙ্গেল থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ, এই গুণকে মেয়েরা সত্যিকার অর্থেই অনেক বেশি পছন্দ করেন। না, এর মানে আপনাকে গোপাল ভাঁড় হতে হবে না। তবে যেকোনো পরিস্থিতিতে মজা করা, হাসানোর দক্ষতা একটা বড় গুণ।

৩. আত্মবিশ্বাস

সামাজিক, মানসিক—সব ধরনের আত্মবিশ্বাসই নারীর পছন্দের তালিকার শীর্ষে। আপনি স্পষ্টভাবে নিজের অবস্থান জানান দিতে পারেন, সুন্দর করে কথা বলতে পারেন বা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নিতে পারেন, অনেক নারীর কাছে এর চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় আর কিছু নেই!

৪. বুদ্ধিমত্তা

না, না। ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নারীর মন পেতে হলে আপনার আইনস্টাইন হতে হবে না। শুধু পরিস্থিতি, ঘটনা বুঝে সেই অনুযায়ী আচরণ করতে পারলেই চলবে। শুধু নারীকে আকর্ষণের জন্য নয়, এই বুদ্ধিমত্তা আপনার নিজের জন্যও খুবই জরুরি।

৫. জীবনের লক্ষ্য থাকা

নারীরা ‘ক্যারিয়ার ওরিয়েন্টেড’ পুরুষকে পছন্দ করে। ছোটবেলায় লেখা ‘এইম ইন লাইফ’ রচনার মতো মিথ্যা লক্ষ্য হলে হবে না। বরং আপনি সত্যি সত্যিই একটা কিছু হতে চান এবং সেই অনুসারে পরিশ্রম করতে পারেন, বিষয়টা অনেকের কাছেই অনেক প্রিয়। কাজেই, আজকেই খাতা–কলম নিয়ে ভাবতে বসে যান, আর ১০ বছর পর নিজেকে আপনি কোথায় দেখতে চান?

৬. অর্থনৈতিক নিরাপত্তা

অনেকেই মনে করেন, পুরুষের ভালো চাকরি, টাকাপয়সা—এগুলো নারীকে টানে। এগুলো কাকে টানে না বলেন? প্রত্যেক মানুষই জীবনে নিরাপত্তা চান। আর সেই নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ অর্থনৈতিক নিরাপত্তা। ধনী হতে কে না চান? এই পৃথিবীতে কেউ দরিদ্র থাকতে চান? ধনী হওয়ার অন্যতম সহজ উপায় ধনী কাউকে বিয়ে করে ফেলা। তবে বিশেষ করে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের অনেক নারী–ই সংসারের প্রধান উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আর সব শ্রেণির ভেতরেই নারীর অর্থনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়ার হার বাড়ছে। অস্কারজয়ী হলিউড তারকা অ্যান হ্যাথওয়ের মতে, ধনী পুরুষ কেবল অলস নারীদের আকর্ষণ করে! পরিশ্রমী নারীর জন্য পুরুষ যদি ধনী হন, সেটা একটা ‘বোনাস’। পুরুষকে ধনী হতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই! তবে পুরুষকে অর্থনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

৭. সম্মান, দয়া, মায়া, সহানুভূতি, পোষা প্রাণীর প্রতি আবেগ

ছোট্ট পরিসরে চালানো একটা গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব ছেলের পোষা প্রাণী থাকে, মেয়েরা তাঁদের প্রতি আকৃষ্ট হন বেশি। দয়া, মায়া, সহানুভূতিসম্পন্ন পুরুষেরাই নারীকে বেশি আকর্ষণ করেন। অন্য নারীদের সম্মান করা, স্বেচ্ছাসেবামূলক যেকোনো কাজ—এই দুই বিষয় নারীদের অনেক পছন্দ। কাজেই আপনি যদি নারীদের সম্মান করেন, তাঁদের জন্য সহমর্মী হন আর মানবসেবায় নিজেকে কিছুটা হলেও উৎসর্গ করেন, তাহলে সম্ভাবনা আছে, নারীদের ভেতরেও আপনি অনেক জনপ্রিয়তা পাবেন। বলিউড তারকা শাহরুখ খান এর আদর্শ উদাহরণ।

এসবের বাইরেও মানুষের ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ থাকে। তবে ওপরের গুণগুলো শুধু মেয়েদের কাছেই পছন্দের, তা–ই নয়। বরং এসব গুণ মানুষ হিসেবে আপনাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে সাহায্য করে। আর সঙ্গী হিসেবে একজন নারী তো একজন ভালো মানুষকেই সবার আগে চাইবেন, তাই না।

15 - 0

H View
Posted 3 months ago

জানেন তো?
ভালোবাসার সাথে ভালো রাখার ব্যাপারটা না, ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ভালোবাসাবোধ থেকেই মানুষ ভালো থাকার কথা চিন্তা করে। আর যার কাছে ভালোই থাকা যায় না, সে ভালোবাসার মানুষ হয় কী করে?

ভালোবাসার মানুষ তো সেই, যে ভালো রাখতে জানে। মন খারাপে পাশে আঠার মতো লেগে থাকে, যে কখনোই একা লাগতে দেয় না।

আমরা যারা মানুষগুলো আছি না, তারা সবাই ভালো থাকার চাইতে ভালোবাসাকে প্রাধান্য দেই। অথচ আমরা কিন্তু ভালো থাকতেই কাউকে না কাউকে ভালোবাসি, ভরসা করি। যার কাছে ভালো থাকা যায় না, মানসিক যন্ত্রণা পেতে হয়, হতাশা এবং একাকিত্বে ভুগতে হয়, তার কাছে অন্তত ভালোবাসা সেই সাথে ভালো থাকাটা আশা করা যায় না।

ভালোবাসার ক্ষেত্রে একটু স্বার্থপর না হলে জীবনে দুঃখ-কষ্টের সীমা থাকে না। যাকে ভালোবাসি, তাকে ভালো রাখতেই হবে। এমনকি যে আমাকে ভালোবাসে, তাকেও ভালো রাখতে হবে। তবেই তো ভালোবাসা স্বার্থক।

কেউ থাকার পরেও নিজেকে নিঃসঙ্গ, একা লাগার ব্যাপারটা মারাত্মক যন্ত্রণার! পাশে থাকতে হলে এমন ভাবেই থাকতে হয়, যাতে সে বুঝতে পারে, অনুভব করতে পারে; তার পাশে কেউ একজন আছে। ধরেও যেন না ধরা, ছেড়েও যেন না ছাড়ার মতো করে আর যাই হোক, ভালোবাসা হয় না।

যে আপনাকে ভালো রাখে, ভালো রাখার ক্ষমতা রাখে, তাকেই ভালোবাসুন। দেখবেন, জীবন কত সুন্দর। কিন্তু যার কাছে ভালো থাকা যায় না, ভালো থাকার প্রশ্নই আসে না, তাকে এড়িয়ে চলতে না পারলে সারাজীবন কেবল দুঃখ-কষ্ট, একাকিত্ব আর হতাশার গ্লানি টানতে হবে! সম্পর্ক কিংবা ভালোবাসা, যারা আপনাকে কষ্ট দেয় তাদের সংস্পর্শে না গিয়ে বরং তাদের সংস্পর্শে থাকুন, যারা আপনাকে হাসায়–আনন্দ দেয়, ভালো রাখে।

13 - 4

H View
Posted 4 months ago

এভাবে ভালোবাসা হয় না।
ভালোবাসলে নিজেকে উজাড় করে দিতে হয়, মিশে যেতে হয় মস্তিষ্কে। চিন্তা–চেতনায়, মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষে জড়িয়ে থাকতে হয় নিবিড় ভাবে।

এভাবে ছেড়েও যেন না ছাড়ার ভান করে ভালোবাসা যায় না। ভালোবাসতে হয় পাগল–উন্মাদের মতো। যে ভালোবাসা মন ছুঁয়ে যায়, শরীর তৃপ্ত করে।

তুমি বাসার পরেও যে ভালোবাসা আমায় নিঃসঙ্গ করে দেয়, একাকিত্বের যন্ত্রণায় কাতরাতে হয়, মান-অভিমানের রোষানলে পড়তে হয় অবিরত, সে ভালোবাসার মূল্য কই?

এভাবে ভালোবাসা হয় না।
ভালোবাসা অধিকার চায়, গুরুত্ব চায়, পূর্ণতা না পেলেও পাশে থাকার ভরসা চায়। এমন ব্যস্ততার অজুহাতে দূরে ঠেলে দেয়া ভালোবাসা নয়।

ভালোবাসা মানে হৃদয় আর শরীরে তীব্র তৃষ্ণা নিয়ে পায়ে পড়ে থাকা নয়। যে ভালোবাসা আকুতি বোঝে না, অসহায়ত্ব বোঝে না, সে যে ভালোবাসা নয়, ভনিতা।

ভালোবাসলে মানুষটার দেহে আর মনের সাথে মিশে যেতে হয়। নিজেকে ঠিক তার মতো করে তৈরি করে নিতে হয়। মানুষটার ঠিক দ্বিতীয় সত্তা হতে না পারলে, ভালোবাসার সার্থকতা কোথায়?

এভাবে ভালোবাসা হয় না অন্তত।
উদাসীনতা, অবহেলায় ফেলে না রেখে বুকে টেনে নিতে হয়। বুকের কাছে গভীর ভাবে যত্নে রাখতে হয়, আলতো করে চুলে হাত ভুলিয়ে দিতে হয়।

ভালোবাসলে তেমন করেই বাসো, যেমন করে ভালোবাসলে শরীর আর মন তৃষ্ণায় ধুঁকে ধুঁকে না ম রে। যাকে ভালোবাসি, সে কষ্ট পেলে যে ভালোবাসার তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়!

6 - 0

H View
Posted 4 months ago

অতীত ভুলতে কিংবা অবসরে বিনোদন নিতে যারা সম্পর্কে জড়ায়, তারা বিপদজনক! এরা নিজের সুবিধা আর স্বার্থ ছাড়া দ্বিতীয় কিছু ভাবে না। নিজে ভালো থাকতে দিনের পর দিন অন্য কারো সময় এবং অনুভূতি ব্যয় করিয়ে তাকে প্রচন্ড নিঃসঙ্গ করে দেয়াই এদের কাজ। ওরা ভালোবাসে না, ভালোবাসার ভান করে মাত্র। অবসরে নিজের নিঃসঙ্গতা দূর করতে এরা মানুষের আবেগ এবং বিশ্বাস নিয়ে খেলা করে। খেয়াল করে দেখবেন, এরা নিজের সুবিধা অনুযায়ী সময় দেয়। আপনার মন খারাপ, একাকিত্ব কিংবা প্রয়োজনে এদের নাগাল পাবেন না কখনোই। আপনার অনুভূতি, সময়কে ব্যবহার করে যখন এরা আপনার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, তখন আপনাকে এভোয়েড করা শুরু করবে। প্রচন্ড লেভেলের মাইন্ড গেইম খেলে এরা। নিজের কোনো প্রকার দোষ না রেখে, সম্পর্ক থেকে অনায়াসে বের হতে এরা ব্যস্ততা আর পরিস্থিতির অজুহাতের নাম করে এড়িয়ে চলে, যাতে আপনি নিজেই সম্পর্ক থেকে সরে যান। অতীত ভুলতে কিংবা অবসরে সময় কাটাতে এসব মানুষ ঠিক এমন মানুষদের বেছে নেয়, যারা প্রতিশোধ নিবে না কখনোই। একটু ইমোশনাল, স্রেফ ভালোবাসা লোভী, সরল, এবং শান্ত স্বভাবের মানুষগুলোই তাদের পছন্দের কাতারে থাকে। এরা চালাক-চতুর মানুষ একদমই পছন্দ করে না। নিজের দিকটা ঠিকঠাক সামলে রেখে, এরা সম্পর্কে ভাসমান অবস্থায় থাকে। যেকোনো মূহুর্তে এরা সম্পর্ক থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে আসার ক্ষমতা রাখে। এসব ভণ্ড মানুষগুলো ঠিক যেমন চায়, তেমন না হলে এরা সম্পর্ক রাখে না। সম্পর্কে যদি সিরিয়াস হয়ে যান, যদি সত্যি ভালোবেসে ফেলেন, তবে যেকোনো উপায়েই তারা সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়াবে। এরা চায়, ঠিক এদের মতোই জাস্ট টাইম পাস করে এমন মানুষ। সিরিয়াস হয়ে গেলে বাস্তবতা, পরিস্থিতি, আর পরিবারের অজুহাত দিয়ে এরা সম্পর্ক থেকে মূহুর্তেই সরে দাঁড়ায়। আপনার প্রয়োজন ফুরিয়ে গেলে এরা ছুটে নতুন কোনো টার্গেটে, নতুন কারো কাছে। এরা কারো জীবনে স্থায়ী হয়ে আসে না। একজনের কাছে যতটুকু ভালো থাকে, ঠিক অন্য আরেকজনের সাথে আরও বেশি ভালো থাকার জন্য এরা মূহুর্তেই সম্পর্কের ইতি টানে। এরা ভাসমান, এদের বিশ্বাস করে নিজের ধ্বংস নিজে ডেকে আনার কোনো মানে নেই।

8 - 2

H View
Posted 4 months ago

প্রচন্ড ভালোবাসার পরেও আপনি যাকে পেলেন না,তার জন্য মন খারাপ করা কিংবা আফসোস করা নিছক বোকামি বৈকি!

আফসোস তো সে করবে,যে আপনার কাছ থেকে এত ভালোবাসা,যত্ন,আদর পাওয়ার পরেও আরেকটু ভালো থাকার জন্য অন্য কাউকে বেছে নিয়েছে!

ভালোবাসার মানুষটাকে মুক্ত করে দিতে হয়।যাতে মানুষটা অন্তত দেখতে পারে;পৃথিবীর আর কেউ তাকে ঠিক আপনার মতো করে ভালোবাসতে পারে কিনা,বুঝতে পারে কিনা।

আর যখন সেই মানুষটা পুরো পৃথিবী ঘুরেও আপনার মতো কাউকে পাবে না,ঠিক তখন চরম আফসোস করবে!নিজেকে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলবে।

আপনাকে কষ্ট দিয়ে অন্য কোথাও সুখ সে কোনোদিনও পাবে না এটা নিশ্চিত থাকুন।হয়তোবা আপনার সামনে নিজেকে সুখী উপস্থাপন করার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করবে ঠিকই কিন্তু ভেতরে ভেতরে সে প্রচন্ড আফসোস করবে আপনার জন্য।

পৃথিবীতে আজকাল প্রকৃত ভালোবাসা যে বড্ড দুর্লভ!যে মানুষ সামান্য একটু সুখের লোভে কারো ভালোবাসাকে অবজ্ঞা করে,সে মানুষ আর কোনোদিনও ভালোবাসা পায় না! কেননা ভালোবাসার মাঝেই যে প্রকৃত সুখ,তা অনেক মানুষেরই অজানা।

যাকে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসতেন,যত্ন নিতেন,আগলে রাখতেন;তাকে না পাওয়াটাই বেশ ভালো!
নিজের ভালো যে না বুঝে আপনাকে তীব্র আঘাত দিয়ে নিজের সুখের লোভে অন্য কাউকে বেছে নেয়,তার কাছে আপনি অন্তত কখনোই ভালো থাকার আশা রাখতে পারেন না,ভালো থাকতে পারেন না,ভালো থাকার কথাও না!

মনে রাখবেনঃ
যাকে প্রচন্ড ভালোবাসা যায়,তার থেকে–যে প্রচন্ড ভালোবাসে;তাকে হারানোর বেদনা অধিক কষ্টের এবং যন্ত্রণাদায়কও বটে!

আজ ভালোবাসার মানুষটাকে না পেয়ে আপনি যে আঘাত পাচ্ছেন,নিজেকে তীলে তীলে শেষ করে দিচ্ছেন;সেই মানুষটাও একটা সময় ঠিক আপনার থেকে দ্বিগুণ কষ্ট পাবে কেবল আপনার থেকে পাওয়া প্রচন্ড ভালোবাসা,যত্ন এবং আদরের কথা মনে করে।
বিশ্বাস করুন,অবশ্যই পাবে!

ভালোবাসা আর সময়;কখনোই কারো কাছে তার দেনা-পাওনা বাকি রাখে না।সময় মতো সুদে-আসলে সব শোধ করে দেয়!

অতঃপর আপনি?
একটা সময় ঠিকই তার স্বার্থপরতার কথা ভেবে নিজেকে বদলে নিবেন,গুছিয়ে নিবেন।কষ্টকে জয় করে নিজে ভালো থাকা শিখে নিবেন!

আফসোস কিংবা আক্ষেপ আপনার জন্য নয়,বরং তার জন্য-যে আপনার অসীম ভালোবাসাকে মূল্যহীন মনে করে নিজেকে বিকিয়ে দিয়েছে অন্য কারো কাম-বাসনায় আর নয়তো চাহিদায়!

9 - 2

H View
Posted 4 months ago

কাউকে চেষ্টা করে ভালোবাসা যায় না। ভালোবাসা মানুষকে বাধ্য করে ভালোবাসতে। মন সায় না দিলে কিছুুতেই কাউকে ভালোবাসা যায় না। মনের বিরুদ্ধে গিয়ে কাউকে ভালোবাসা যায় না বলেই মানুষ প্রেমে পড়ে বারবার, তবে ভালোবাসতে পারে না।

ভালোবাসা এমন একটা জিনিস, যেটা পেলে শুধু জীবন নয়, মানুষও পরিবর্তন হতে পারে। যাকে ভালোবাসার চেষ্টা করতে হয়, ভালোবাসা আসে কিনা তার প্রতি, অপেক্ষা করতে হয়, সেটা ভালোবাসা নয়। ভালোবাসা সেটাই যেটা আপনাকে ভালো থাকতে দেয় না, মানুষটা ছাড়া।

এ যুগের সম্পর্কগুলো ঠুনকো হওয়ার কারণ হচ্ছে, সম্পর্কে ভালোবাসা থাকে না। মানুষ এখন কথার প্রেমে পড়ে, চেহারার প্রেমে পড়ে, ব্যক্তিত্বের প্রেমে পড়ে, তবে ভালোবাসতে পারে না। ভালোবাসা আর প্রেমের মাঝে গুলিয়ে ফেলে সব।

আপনি চাইলেই যার তার প্রেমে পড়তেই পারেন, তবে ইচ্ছে করলেই যাকে তাকে ভালোবাসতে পারবেন না। শত চেষ্টাও না। ভালোবাসা আসে আপনাআপনি, মন থেকেই। আর যখন কারো প্রতি সেই প্রকৃত ভালোবাসা হৃদয়ে বিরাজ করবে, তখন তাকে ছাড়া পৃথিবীর কোনোকিছুই ভালো লাগবে না।

ভালোবেসে মানুষ দুঃখ পায়, ভালোবাসার বিপরীতে মানুষ অবহেলা পায়, কত লাঞ্ছনা–বঞ্চনার শিকার হয়, অপূর্ণতার হাহাকার বুকে লালন করে, তবুও সেই ভালোবাসার মানুষটাকে ছাড়া সে কিচ্ছু বোঝে না।

চেষ্টা করলে মানুষ সবই পারে, তবে কাউকে কস্মিনকালেও ভালোবাসতে পারে না। কখন কার প্রতি ভালোবাসা আসে হৃদয়ে, তা কেউ বলতে পারে না৷ চেষ্টা করে নয়, কিংবা সম্পর্কে জড়ালেই ভালোবাসা আসে না কারো প্রতি। ভালোবাসা আসে নীরবে-নিভৃতে, হুট করে এবং কোনো সতর্ক সংকেত ছাড়াই।

10 - 0

H View
Posted 4 months ago

এমন নিঃসঙ্গতা, একাকিত্ব, কোনোকিছু ভালো না লাগা, মাথায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা মাইগ্রেন কীভাবে দূর করি? বলো তো....

এতকিছু তো চাইনি আমি তোমার কাছে।
এর থেকে একা থাকা ঢের ভালো। তোমায় সঙ্গ দিতে গিয়ে যে বদঅভ্যেস আমায় পেয়ে বসেছে, কিছুতেই এখন ঘাড় থেকে এরা নামছেই না।

তোমার সাথে কাটানো সময়গুলো আজ অবসর। ঘড়ির কাঁটা থমকে থাকে। চারদিকে শুধু মন খারাপের আয়োজন চলে। আমি যে ভালো নেই– একদমই ভালো নেই!

এভাবে নিঃস্ব হতে চাইনি কখনো।
তুমি ছাড়া আর কে আছে? বলো...

তোমার মাঝে ডুবে ছিলাম বলে এতটা তলিয়ে যাবো একাকিত্বে, বুঝিনি! তুমি তো দিব্যি ভালো আছো, সব ঠিকঠাক। এলোমেলো তো হয়ে গেছি আমি! নিজেকেই খুঁজে পাইনা আজকাল।

অপরাধবোধ তোমার হৃদয়ে নাড়া দেয় না?
এ কেমন ভালোবাসা তোমার? যেখানে সময় ব্যায় করিয়ে নিঃস্ব করে দেয়া। তারপর কোনো দায়ভার না নিয়ে সরে দাঁড়ানো সম্পর্ক থেকে।

আজকাল যে কোনোকিছুই ভালো লাগে না আমার!
তোমার সঙ্গ সুখে হারিয়ে গিয়ে এখন নিজেকেই খুঁজে পাইনা। ভালোবাসার অপর প্রান্তে যে মাইগ্রেন, একাকিত্ব, হতাশা, নিঃসঙ্গতাও থাকে! ওরা কী শুধু আমাকেই ভালোোবাসে? তোমায় ভালোবাসে না?

অথচ তুমিও তো বলতে, “ ভালোবাসি ”।
তবে ভালোবাসার এই ছোঁয়াচে রোগ কেন শুধু আমাকেই পেয়ে বসে? তুমিও তো নিঃসঙ্গ, একাকিত্ব, মাইগ্রেনে ভুগতে পারতে। বলো, পারতে না?

যদি একসঙ্গে নাই ভুগে, তবে মানুষ ভালোবাসে কেন? নাকি ভালোবাসার নামে মিথ্যা অজুহাতে শুধু মানুষের অনুভূতি, আবেগ আর বিশ্বাস নিয়ে খেলা করে?

5 - 0

H View
Posted 4 months ago

তুমি আড়াল হতে চাইলে। একটু আড়াল করতে চাইলে নিজেকে। এদিকে আড়াল হতে হতে তুমি যে আমার দুচোখ থেকেই সরে গেলে, জানলে না।

আমি তো চোখে চোখে রাখতে চেয়েছি তোমায়। সব দূরত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আমি তো তোমার খুব কাছেই থাকতে চেয়েছি সারাজীবন। তুমি চাওনি আমি তোমার মাঝে ডুবে যাই। এমন “ ধরেও যেন না ধরা, ছুঁয়েও যেন না ছোঁয়া ” হয়ে কে থাকতে চায়? বলো...

অবশেষে তুমি আড়াল হতে চাইলে। আমি মেনে নিলাম। তুমি আড়াল হতে হতে, তুমি কখন চোখ থেকেই আড়াল হলে, টেরই পেলে না।

আমি তো তোমায় স্পর্শ করার দুঃসাহস দেখাইনি। কখনো তোমার শরীর ছোঁয়ার বায়নায় অভিমান নিয়ে দূরত্ব বাড়াইনি। আমি তো শুধু চোখে রাখতে চেয়েছি তোমায়। দূরে থেকেও দুচোখ জুড়ে তোমায় রাখতে চেয়েছি।

তুমি শুধু বাইরে দেখলে, ভেতরটা তো দেখলে না। অভিমানে নীরব হয়ে থাকা মানুষটাকে দেখলে? অথচ অভিমানের আড়ালে যে তোমায় কাছে পাওয়ার তীব্র আকুতি, কত ভালোবাসা, কত যন্ত্রণা, সেটা তো দেখলে না!

শুনেছি তুমি না বললেও সবই দেখতে পারো। তবে তোমায় না দেখে আমি যে উতলা হয়ে যাই, তুমি দেখতে না? তুমি আড়াল চাইলে, অথচ আড়াল হতে হতে চোখ থেকেই সরে গেলে, মন থেকে তো সরতে পারো না?

দুচোখ থেকে সরে গিয়েও এ মনে তুমি আরও ঘাপটি মেরে বসে থাকো। আড়াল যখন চাইলেই, তবে শুধু দুচোখ থেকে কেন? মন থেকে কেন নয়?

4 - 0

Welcoem to posts!!

H View Posted 1 week ago

H View Posted 2 weeks ago

H View Posted 1 month ago

H View Posted 3 months ago

H View Posted 4 months ago

H View Posted 4 months ago

H View Posted 4 months ago

H View Posted 4 months ago

H View Posted 4 months ago

H View Posted 4 months ago

H View
Posted 1 week ago

H View
Posted 2 weeks ago

H View
Posted 1 month ago

H View
Posted 3 months ago

H View
Posted 4 months ago

H View
Posted 4 months ago

H View
Posted 4 months ago

H View
Posted 4 months ago

H View
Posted 4 months ago

H View
Posted 4 months ago