Created by Zalil

Created by Zalil
Posted 6 months ago

"সানাম ভাই? চুমু দিন, আদর দিন? নয়তো বাপের বাড়ি চলে যাবো!"

শখ করে ফুপাতো বোনকে বিয়ে করছিলাম। বিয়ের পর থেকেই সারাক্ষণ চুলোচুলি হচ্ছে আমাদের মাঝে। আজও হয়েছে। বউয়ের সাথে ঝগড়ায় জিততে না পেরে রাগ করে বসে আছি ছাঁদে। এমন সময় বউয়ের এমন রোমান্টিক হুমকি। এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনো ঘাবলা আছে। বউয়ের কথা গলে গেলাম না। প্রতিবার ঝগড়ায় বউ ছলচাতুরী করে জিতে যায়। এবার একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত।তাই রাগ নিয়ে বউকে বললাম,

"সরো আমার সামনে থেকে। যেথায় মন চায় সেথায় চলে যাও তুমি।বাপের বাড়িতে না গিয়ে তুমি জাহান্নামে যাও।"

আমার কথাকে সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে বউ আমায় উল্টো জড়িয়ে ধরে মোহিত কণ্ঠে বললো,

"জাননন!"

আমি বললাম, "কোথায় যাবো? রুম ছেড়ে তো ছাঁদেই আসছি। এখন এখান থেকেও তুমি আমাকে যেতে বলছো? বাসা থেকে চলে গেলে তুমি খুশী?"

বউ আমাকে কয়েকটা দিয়ে বললো, "আনরোমান্টিক!"

এরপর হনহনিয়ে রুমে চলে গেলো। বউকে রাগাতে পেরে ভালোই লাগলো। রাগ কমেছে। কিছুক্ষণ পর রুমি গিয়ে দেখি বউ ব্যাগ ট্যাগ গুছিয়ে রেডি। জিজ্ঞেস করলাম,

"কোথায় যাচ্ছো?"

বউ ঝাঁজালো কণ্ঠে বললো,

"বাপের বাড়ি। আমাকে নিয়ে আপনার এতোই যখন সমস্যা, আমিই চলে গেলাম। আপনার বাড়িতে আপনিই শান্তি মতো থাকুন।"

কই বর রাগ করছে, বাধ্য বউয়ের মতো সারাদিন বউ পিছু পিছু ঘুরে বরের রাগ ভাঙাবে। তা না করে, উল্টো বউ রাগ করে বাপের বাড়ি যাচ্ছে। কি কপাল আমার! তখন কেন যে ভাব নিতে গেলাম। এখন আবার আরেক জ্বালা। আমিও রেগে আছি, বউ ও। বউয়ের কাছে ছোট হওয়া যাবে না। চলে যেতে চাইছে যখন যাক। আমি তাকে আটকালাম না। ভালোই হয়েছে কয়েকদিন শান্তিতে থাকতে পারবো। বউ সত্যিই বাপের বাড়ি চলে গেলো। আমি সারাদিন শুয়ে-বসে কাটালাম। রাত হয়েছে। রান্না হয়নি, ক্ষুধা লেগেছে। একা একা এখন ভালো লাগছে না। তাই বাইরে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ফিরলাম, সেখানেও ভালো লাগছে না। বাসায় এসে টিভি ছাড়লাম। হঠাৎ করে মন খারাপ হলো। এই সময় আমরা টিভির রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ি করতাম। বউ দেখবে সিরিয়াল, আমি দেখবো খবর। এ নিয়ে তুমুল ঝগড়া হতো। আজ একা একা লাগছে।বউকে মিস করছি আমি। পেটে ক্ষুধা ও বেশ। সারাদিন খায়নি। হোটেলের খাবার খেতে পারি না। কোনো মতে এক কাপ কফি বানালাম। খেয়ে শোয়ার রুমে গেলাম। বিছনায় শুতেই আরো ছটফট করছে মন। বিছানার বাঁ পাশটা ফাঁকা, কোলবালিশটা পড়ে আছে। প্রতিদিন কোলবালিশটা নিয়ে বউয়ের সাথে টানাটানি হতো। আজ সেসব কিচ্ছুই হচ্ছে না। বউ ছাড়া কি থাকা যায়? নিজের সব রাগ টাগ বিসর্জন দিয়ে সেই রাতেই চলে গেলাম শ্বশুর বাড়ি। এখানে পৌঁছাতেই রাত বারোটা বেজে গেছে। এতো রাতে কলিং বেল দিতেও দ্বিধা করছে। সবাই ঘুমাচ্ছে। তাই বউকে কল দিয়ে বললাম,

"দরজা খোলো?"

বউ সাথে-সাথে দরজা খুলে দিলো। আমাকে দেখে মোটেও সে অবাক হলো না। উল্টো বললো,

"এতো দেরী করলেন কেন আসতে? আমি কতক্ষণ ধরে জেগে জেগে আপনার জন্য অপেক্ষা করছি।"

"কেন অপেক্ষা করছো? তুমি তো রেগে আছো।"

"রেগে তো এখনো আছি, তবুও জানতাম আপনি আসবেন।"

ওর কথা শুনে মুচকি হাসলাম। আলগোছে বউকে জড়িয়ে ধরে বললাম,

"স্যরি জান!"

বউ বললো, "এতটুকু একটা স্যরিতে রাগ কমবে না।"

বউয়ের রাগ ভাঙতে পকেট থেকে একটা গোলাপ বের করে দিয়ে বললাম,

"ভালোবাসি। আসার সময় তোমার জন্য নিয়ে এসেছি।"

ব্যাস বউয়ের রাগ পানি। খুশীতে সে আটখানা। গোলাপ তার খুব পছন্দ। জিগ্যেস করলাম,

"রাগ কমেছে?"

"হ্যাঁ।"

উনি হ্যাঁ বলতেই আমি বললাম, "আমিও তো রেগে আছি। এবার আমার রাগ ভাঙাও।"

বউ হেসে বললো, "আপনার রাগ ভাঙাতেই তো আজ শাড়ী পড়েছি।"

নিজেদের সারাদিনে মান-অভিমান গুটিয়ে একসাথে দু'জন হেসে ফেললাম। ভিতরে এসে বউ বললো,

" হাত-মুখ ধুয়ে আসুন। আমি খাবার রান্না করে রেখেছি আপনার জন্য। সারাদিন তো মনে হয় কিছুই খাননি।"

আমিও বাধ্য ছেলের মতো ফ্রেশ হয়ে, বসে পড়লাম টেবিলে। অতঃপর গরম ভাত আর আমার পছন্দের চিংড়ী দিয়ে বউ নিজ হাতে খাইয়ে দিলো। এইতো এভাবেই চলছে আমাদের দু'জনের সংসার।

#পাগলী_বউয়ের_পাগল_জামাই।

লেখনীতে ঃ #সুমাইয়া_আফরিন_ঐশী

2 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

বোনকে পড়াতে আসা ছেলেটাকে মনে মনে ভালোবাসি।বোনকে পড়ানোর সময় অকারণেই সামনে দিয়ে হেঁটে যাই।হঠাৎ একদিন.....

ছোট বোনকে জিগ্যেস করলাম " তোর স্যার প্রেম করে নাকি রে? "

বোন হকচকিয়ে বললো " আমি কি করে জানবো।হঠাৎ প্রেমের কথা বলতেছো কেনো? "

প্রশ্নটা করে নিজেই খুব অবাক হয়ে গেলাম।সর্বনাশ! বোন কিছু আঁচ করতে পারলো মনে হয়! বললাম

" ইদানীং দেরি করে পড়াতে আসতেছে,তাই বললাম "

" ঠিক সময়েই তো আসে "

মুখ ভোতা করে নিজের ঘরে চলে আসলাম।ভিষণ লজ্জা পাচ্ছে।ঠিক করলাম চিরকুটে ভালোবাসি লিখে ওনাকে দিবো।

অনেক সাহস করেও দিতে পারলাম না।টিস্যুর মধ্যে ভালোবাসি লিখে চা বিস্কুটের পিরিচে টিস্যুটা রাখি।শেষ সময়ে বু"কের কাঁপুনি এতোটাই বেড়ে যায়,লজ্জায় ভয়ে টিস্যুটা হাতেই রেখে দেই।সেটা আর তার গন্তব্য অব্ধি যেতে পারেনা।

সপ্তাহখানেক পর এক বু"ক সাহস সঞ্চয় করলাম।আজ চিরকুটে নয়।চোখে চোখ রেখে বলবো।বাড়িতে মা ও আজ নেই।

উনি পড়াতে আসলেন।চা বিস্কুট নিয়ে দরজার কাছে আসতেই চরম হতভম্ব!যে দৃশ্য নজরে পরলো তা দেখে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গেলো।

স্পষ্ট দেখলাম ওনারা পাশাপাশি বসে আছেন।উনি ছোট বোনের পায়ের ওপর পা রেখে আছেন।দু'জনে একে অপরের নখে নখ ঘসছে।

গল্প #না_বলা

0 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

মাকে সাদা শাড়িতে দেখে কেঁপে উঠল সৃষ্টি। চোখের পাতাগুলো তিরতির করে কাঁপছে। জলে ভরে গেল আঁখিজোড়া। মা বলে এগিয়ে এলো মেয়েটা, ছুঁতে চাইল প্রাণপ্রিয় সেই মাকে। কিন্তু পিছিয়ে গেলেন মনোরমা দেবী। চোখ মুখ বিকৃত করে ঘৃণাভরা কন্ঠে চেঁচিয়ে বললেন,

" স্পর্শ করবি না আমাকে পা*পী মেয়ে। তোর ওই র*ক্তমাখা অপবিত্র হাতে আমাকে স্পর্শ করবি না৷ তোকে দেখেই আমার ব*মি পাচ্ছে।"

মায়ের কথা শুনে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারল না সৃষ্টি। শব্দ করে কান্না করে উঠল সে। মনোরমা দেবীর পায়ের কাছে বসে কাকুতি মিনতি করে বলল,

" ও মা, মাগো। একটু জড়িয়ে ধরো না মা। একটুখানি বুকে আগলে নাও। আমার যে খুব কষ্ট হচ্ছে মা। আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মা৷"

মেয়ের আহাজারি দেখে মনোরমা দেবীর মাতৃসত্তা নড়া দিয়ে উঠল। সেই মাতৃসত্তা বলছে মেয়েকে আগলে নিতে কিন্তু পরমুহূর্তেই স্ত্রী হিসেবে থাকা সত্তাটি তাকে ভীষণ রকম ভাবে শাসালো।

একপ্রকার পা ঝাড়া দিয়ে সৃষ্টিকে দূরে ঠেলে দিলেন তিনি৷

" সম্ভব হলে ওই ছু*রি দিয়েই তোর গলাটা আমি কে*টে দিতাম৷ তোকে ছাড়ানোর জন্য অনেকেই চেষ্টা করছে৷ তাদের মন নরম, তোর ওই ছলনাময়ী মায়ার কারণে তারা তোকে শাস্তি দিতে দ্বিধা করছে। কিন্তু আমার উপর এসব মোটেও কাজ করবে না। তোর কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি না দেখা পর্যন্ত আমি মরবো না৷ আমাকে স্বামী হারা করেছিস, আমার সিঁথির সিঁদুর সারাজীবনের জন্য মুছে গিয়ে তোর কারণে৷ তোর কারণে আমার গায়ে উঠেছে সাদা শাড়ি, আমার ছেলে হয়েছে পিতৃহারা৷ সবাই একজোট হয়েও তোকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও লাভ হবেনা। আমি ম*রে যাবো তবে তার আগে তোকে নরক যন্ত্রণা ভোগ করিয়েই ছাড়ব। যত সময় যাবে তোর কষ্ট বৃদ্ধি পাবে। তিলেতিলে কষ্ট পেতে থাকবি তুই, নিজের মৃ*ত্যু কামনা করবি৷ আমৃ*ত্যু তুই কষ্টের সাগরে নিমজ্জিত থাকবি। এটা একজন স্বামী হারা বিধবার অভি*শাপ।"

পুরোটা সময় মনোরমা দেবীর চোখ থেকে এক ফোঁটাও জল গড়িয়ে পড়েনি৷ নিজের দূর্বল দিকটা নিজের মধ্যে চেপে রেখে সম্পূর্ণ রাগ, ক্ষোভ, ঘৃ*ণামিশ্রিত কন্ঠে নিয়ে কথা বলেছে। আচমকা সৃষ্টি কান্না বন্ধ করে চুপ হয়ে গেল। একই ভঙ্গিতে বসে হুট করেই হাসতে লাগল সে যেন অনেক মজার কোন ঘটনা ঘটে গিয়েছে।
হাসতে হাসতেই বলল,

“ চিন্তা করোনা মা। তোমার অভিশাপ বিফলে যাইনি।”

3 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

ছাত্রীকে পড়ানোর পঞ্চম দিনে সে আমাকে বইয়ের লাষ্ট পেজ দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলো

"স্যার ৩৩৩/৯৯৯ নাম্বারে বিনা রিচার্জে কল করা যাবে"

আমি বুঝে গিয়েছিলাম সে আমাকেই ওয়ার্নিং দিয়ে দিয়েছে কৌশলে, যাতে তার সাথে ভুল কিছু করার চেষ্টা না করি।আমি যখন পড়াতাম তখন আন্টি আংকেল অফিসে থাকতো।খালি বাসা আমি আর ছাত্রী একা আশেপাশে লোকজন ও তেমন ছিলো না।আমি নিজের উপর বিশ্বাস করলে ও ছাত্রীর তো আর আমার উপরে বিশ্বাস নেই।

আমি আমি পড়াশোনা শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছি। অনেক জায়গা ইন্টারভিউ দিয়েছি সব লোক দেখানো কিন্তু আমাদের মতো লোকদের কি আর বিনা মূল্যে চাকরি দেওয়া হয়।হাল ছেড়ে দিয়ে প্রাইভেট পড়ানো শুরু করলাম সাথে নানা স্কুল কলেজে চাকরির চেষ্টা করলাম।

মামার সাথে জব করতো ছাত্রীর বাবা তিনি মেয়ের জন্য ভালো স্যার খুঁজছে মামা আমার কথা বললেন আমাকে ছাত্রীর ক্লাস সিক্সের ফটো আর ক্লাস ফাইবের বৃত্তির পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে আমি রাজি হয়ে গেলাম স্টুডেন্ট ভালো পড়াতে তেমন কষ্ট হবে না তা ভেবে।সব ঠিকঠাক করার জন্য তাদের বাসায় গেলাম।দেখি মেয়ে যতেষ্ট বড় ক্লাস নাইনে পড়ে আমি ভেবেছিলাম ছোট হবে।

সেদিন থেকে পড়ানো শুরু করলাম।পড়া বুঝানোর সময় আমি তার দিকে তাকিয়ে কথা বললে ও সে কখনো আমার দিকে তাকাতে না, বইয়ের দিকে তাকিয়ে বুঝতো কথা ও তেমন বলতো না জিজ্ঞেস করলে মাথা নাড়তো।অন্য সব স্টুডেন্টকে অংক বুঝাতে গিয়ে আমিই ভুলে যেতাম কি বলছি কিন্তু সে একবারই বুঝে যেত আমার প্রথমে মনে হতো মিথ্যা বলছে কিছু বুঝেনি।আমরা এক সময় স্যাররা বুঝেছ বললেই বলতাম জ্বি স্যার, যখন স্যার বলতো কি বুঝেছ আমাকে বুঝাও তখন সবার অবস্থা বারোটা। তাই আমিও ওকে জিজ্ঞেস করতাম বলো সে আমাকে বুঝিয়ে দিতো।

মাঝে মাঝে what's app এ কথা হতো তাও ওকে গ্রামারসের রুলস পাঠানোর কথা মনে করিয়ে দিতো আমি পাঠিয়ে দিতাম এইটুকু।আমি নিজ থেকে কি করছো? নাস্তা করেছ?ইত্যাদি জিজ্ঞেস করলে পড়ছি,হ্যা এর বাহিরে আমি কি করছি এটা জিজ্ঞেস করতো না হয়তো ভয়ে স্যার কি মনে করবে এসব ভেবে।এভাবে কথা বলতে বলতে এক একদিন আমাদের ফ্রেন্ডশীপ হয়ে যায় আমি ওকে আমার লাভ স্টোরি বলবো বলেছিলাম।পরের দিন পড়াতে গিয়ে দেখি এমন ভাব করছে যেন আমি শুধু ওর স্যার এর বাহিরে কিছু নেই।পড়া শেষ করে আমি চলে যাওয়ার জন্য উঠলাম সে বলল

"আপনার লাভ স্টোরি বলার কথা ছিলো চলে যাচ্ছেন কেন?আমার না লাভ স্টোরি শুনতে ভালো লাগে বলেন প্লিজ "

আমি পুরো হতভম্ব ভেবেছি সব ভুলে গেছে কিন্তু এটা কি ছিলো সত্যি মেয়েরা বড় অদ্ভুত। তারপর বলতে শুরু করলাম সে খুব মন দিয়ে শুনলো আমার জন্য আপসোস করলো।এরপর থেকে আমরা পুরোপুরি বন্ধুর মতো হয়ে গেলাম সে ও তার সব কথা আমাকে বলা শুরু করলো।আমি যে মেয়েকে সাদাসিধে মনে করতাম সে রিলেশন করে আর আমার দিকে না তাকানোর কারণ তার বফ এর বারণ ছিলো,আর আমাকে নিজ থেকে কিছু জিজ্ঞেস না করার কারণ এতে নাকি মেয়েদের নিজেকে ছোট মনে হয়।এসব জানার পর আমি হাসবো না কান্না করবো বুঝতেই পারছি না এই বয়সে এতটা পজেসিভ কিভাবে হয়। আমি তাকে বলতাম প্রেম করছো ভালো কিন্তু এসব নিয়ে কোনদিন বেশি সিরিয়াস হবে না কোন ফায়দা নেই।জানি না আমার কথা কানে নিয়েছিলো কি না।

স্টুডেন্টের সাথে শিক্ষকের প্রেম বিয়ে এসব অনেক শুনেছি সব সময় এর বিরুদ্ধে ও ছিলাম।অন্য সব স্টুডেন্টের সাথে আমার সম্পর্ক ছিলো পড়া নিয়ে কিন্তু কিভাবে ওর সাথে এতটা ফ্রি হয়ে গেলাম জানি না।ওকে পছন্দ করার কারণ ওর ব্রিলিয়েন্ট মাথা ছিলো নাকি অন্যকিছু তাও জানি না। পড়া সময় মতো দেওয়ার জন্য মাঝে মধ্যে তার প্রিয় আইসক্রিম খাওয়াতাম,চেলেন্জ করে নুডলস, ডিম বাজি করিয়ে আমাকে খাওয়াতে বলতাম।সেসব ছবি তুলে রাখতাম লাভ সেফ দিয়ে তাকে পাঠিয়ে দিতাম।কিন্তু সে বুঝেও না বুঝার ভান করতো।

আমাকে জানিয়েছে তার আগের ২টা বফ আর বর্তমান সহ ৩টা রিলেশন, কথায় কথায় আমি বলে ছিলাম আমিসহ চারটা হবে।কিছু সময় আমার দিকে ভ্রু বাঁকিয়ে তাকিয়ে ছিলো আবার স্বাভাবিকভাবে কথা বলা শুরু করলো।এতে বুঝে গেলাম আমি যাই করি না কেন পাত্তা দিবে না এর চেয়ে ফ্রেন্ড হয়ে থাকা ভালো।মাঝে মধ্যে ওকে পড়ানোর সময় আংকেল বাসায় থাকতো তখন ও মজার কিছু দেখলে বা এমন কিছু যা ওনার সামনে বলা যাবে না সে সব লিখে জিজ্ঞেস করতো। আমিও লিখে বলে দিতাম বিষয়টা প্রেমিক প্রেমিকার লুকোচুরির মতো মনে হতো।

ওর এক্সামের সময় পড়া বাদ দিয়ে দেই এরপর আর যোগাযোগ হয়নি। এখন একটা পাবলিক কলেজে জব করি। যখনই বই হাতে নেই লাষ্ট পেজের সেই নাম্বার গুলো দেখলেই ওর কথা মনে পড়ে হটাৎ একদিন

Md Alam

1 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

মাসের শুরু।বেতন পেয়ে সন্ধায় বসে হিসেব করছি।বউ একটু পর পর ঘুরঘুর করছে।একসময় বললাম

" একটু চা করো তো "

" আনতেছি।তোমার হিসেব শেষ হবে কখন? "

" এইতো।চা আনতে আনতে হয়ে যাবে "

বউ গেলো চা বানিয়ে আনতে।একটু পর চা নিয়ে এসে বললো

" হিসেব শেষ হলে একটা কথা বলবো "

" তুমি আমার একমাত্র রুপবতী বৌ,আমার অর্ধাঙ্গিনী, জীবনসঙ্গিনী,আমার সহধর্মিণী।আমার জান,প্রাণ,জ্ঞান সব।আমার ভালো থাকা সব তুমি "

বৌ চোখমুখ কুঁচকে রেগে বললো " মিষ্টি কথা বলে কিছু হবে না।শাড়িটা আজই কিনবো "

ওর জেদের কাছে আমি নিরুপায়।তবে উপায় থাকলেও নীরব থাকতাম।মাঝেমধ্যে ওকে দেখে খুব অবাক হই।এই মেয়েটা সংসার,ছেলেমেয়ে,আমার জন্য নিজের ক্যারিয়ার ছেড়েছিলো।

এখনো মনে পরে।বিয়ের আগে ওকে বলেছিলাম " দু'জনে চাকরি করলে সংসার সচ্ছল ভাবে চলবে "

ও মলিন স্বরে বললো " তোমার ইনকামে বেশ চলবে।আমি সংসার করবো "

কারণ আর জিগ্যেস করলাম না।কারণটা আমার জানা।শ্বাশুড়ি মা চাকরি করতেন।সংসারে তার সময় দেওয়া হয়নি।বউ ছোট থেকে বড় হয়েছে একা একা।চাকরি করতো জন্য শ্বাশুড়ি শ্বশুর মশাইকেও মূল্যয়ন করতেন না।

বেতনের সব টাকা ওর হাতেই তুলে দেই।তবুও আমার সাথেই জেদ করবে এটা কিনবো ওটা কিনবো।অথচ টাকা ওর কাছেই থাকে,চাইলেই খরচ করতে পারে।তা করবে না।

এইযে শাড়ি কেনার কথা বললো,আমি জানি ও শাড়ি কিনবে না।টাকাটা সঞ্চয় করবে।দুঃসময়ে বলবে

" এই শুনো,চা বানিয়ে খাওয়াও তো।তোমার সমস্যার সমাধান আমি করে দিবো "

ওর স্বভাবই আমাকে স্পেশাল ফিল করানো।এই মেয়েটা প্রথম দিন থেকেই আমায় নানা ভাবে অবিভূত করে রেখেছে।

সামাজিক রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।

1 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

বাবা-মা বদলানোর কোনো অপশন যদি থাকতো তাইলে,অনেক সন্তান'ই তাদের বাবা-মা বদলাইতে চাইতো। কথা'টা কঠীন কিন্তু নির্মম সত্য।

করোনা পরবর্তী সময়ে একভাই একটা জব ম্যানেজ করে দেয়ার খুব আকুতি জানিয়ে ইনবক্স করছিলেন।ভদ্রলোক ৫ ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয়।৭ বছর ইংল্যান্ডে ছিলেন।সেই সময়ের সমস্ত ইনকাম তার বাবা'র একাউন্টে পাঠিয়েছেন।তারা বাবা-মা সেই টাকায় তাদের অন্য সন্তান'দের ভবিষ্যৎ গড়ে দিয়েছেন ঠীকই কিন্তু যেই ছেলের টাকা,তার কোনো ব্যাবস্থা করেন নাই।

দেশে আসার পর বুঝতে পারলেন তাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে তার'ই বাবা-মা।তার টাকায় স্ট্যাবলিশড হয়ে অন্য ভাইবোন'রাই এখন তাকে করুনার চোখে দেখে।বউ-বাচ্চা নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কেটেছে করোনার পুরোটা সময়।বাবা-মা কিংবা ভাই-বোন কেউ ফিরেও তাকায়নি একবারের জন্য।অথচ;আমরাতো জানি বাবা-মায়ের চোখে সব সন্তান'ই সমান।

আমার কাছে মনে হয় এই কথা'টা পৃথিবীর সুন্দর মিথ্যাগুলির মধ্যে অন্যতম একটা মিথ্যাকথা।এই দেশে বাবা-মা'য়ের কাছে সব সন্তান কখনোই সমান নয়।

কিছুদিন আগে সিঙাপুর প্রবাসীদের নিয়ে পরিচালিত একটা গ্রুপে এক বোন তার ভাইয়ের খোজ জানতে চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন।

বোন লিখেছেন,তার ভাই ১১ বছর আগে সিঙাপুর যায় এবং গত ৭ বছর ধরে তার সাথে পরিবারের কেউ যোগাযোগ করতে পারছেনা।তার ভাই তাদের গ্রামের এক মেয়েকে পছন্দ করতো।মেয়েটার অন্যত্র বিয়ে ঠীক হয়ে গেলে, তার ভাই নিজের বাবা-মা'কে জানায় তার ভালোবাসার কথা এবং মেয়েকে বিয়ে করার কথা।

বাবা-মা সব শোনার পরে ছেলেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকায় পাঠায় বিয়ের কেনাকাটা করার জন্য আর ওদিকে মেয়ের বাড়ী গিয়ে মেয়ের বাবা-মা'কে বলে আসে যেনো দ্রুত তাদের মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় ছেলে ঢাকা থেকে ফেরার আগেই।

ছেলেটা বিয়ের শপিং করে এসে জানতে পারে তার পছন্দের মেয়েটার বিয়ে হয়ে গেছে অন্যত্র। তার নিজের বাবা-মা'ই মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার কথা বলে এসেছেন।এই বিষয়'টা ছেলে'টা মানতে না পারলেও মুখে কিছুই বলেনি।

সে বাসায় জানায় দেশে থাকলে মেয়েকে ভুলা কঠীন,তাকে যেনো বিদেশ পাঠীয়ে দেয়া হয়।ছেলের বাবা-মা খুশিতে বাকবাকুম হয়ে ছেলেকে সিঙাপুর পাঠায়।বিদেশ যাওয়া বাবদ যেই টাকাটা খরচ হইছিলো,সেটা পাঠানোর পর ছেলে'টা সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার পরিবারের সাথে।
এখন ছেলের বাবা-মা ছেলের জন্য কাঁদে।তার বোন আকুতি জানিয়েছে যেনো তার ভাইকে খুজে দেয়া হয়।

এখানে দোষ'টা কার?কতটা অভিমান জমলে একটা মানুষ এরকম বদলে যেতে পারে,সেই ক্ষমতা কি এদেশের ম্যাক্সিমাম বাবা-মা'য়ের আছে?

আমাদের দেশে ছেলে'কে বিয়ে করানোর পর ভাবা হয় ছেলে পর হয়ে গেছে।সে এখন আর বাবা-মা'য়ের নাই।সে এখন বউ কিংবা শ্বশুর বাড়ির।আর,মেয়ে বিয়ে দেয়ার পর ভাবে মেয়েই সবচাইতে আপন,সবচাইতে কাছের।

আমি বলছিনা সব বাবা-মা'ই এরকম।কিন্তু,ট্রাস্ট মি আমি আমার চারপাশে এমন অনেক বাবা-মায়েদের দেখেছি যাদের জন্য নিজের ছেলের জীবন জাহান্নাম হয়ে গেছে, মেয়ের সাজানো গোছানো সংসার ধ্বংস হয়ে গেছে।নিজেদের আলগা ফুটানী মারতে গিয়ে ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গেছে।

মসজিদে-ওয়াজ মাহফিলে শুধু মা'য়ের অধিকার আর দাবি নিয়ে বয়ান করা হয়, ইসলামে কি সন্তানের প্রতি পিতামাতার কর্তব্যের কথা বলা হয় নাই? সেই বিষয় নিয়ে কয়জন আলাপ করেন? কয়জন মুফতি মাওলানা তাদের ওয়াজে আনেন এই কথা?

আমি এমন একজন মানুষ'কে চিনি যার বাবা-মা তার সাথে এক্সট্রিম লেভেলের শয়তানী করার পরেও ভদ্রলোক যথেষ্ট যত্নশীল তাদের প্রতি।তার যত্ন যত বাড়ে,তাদের শয়তানী'র মাত্রা'ও তত বাড়ে।

সব সন্তান খারাপ হয়না আর বৃদ্ধাশ্রমে যারা থাকে তাদের সবার সন্তান'ই অমানুষ হয়না।
কর্মফল বলেও একটা কথা আছে,এটা আমরা অনেকেই ভুলে যাই।

আপনার সন্তান'ও একজন মানুষ।
তার'ও ভালো লাগা খারাপ আছে।তাকেও একটু বুঝার চেষ্টা করুন।স্বৈরাচারী মনোভাব পোষন করা বন্ধ করুন প্লিজ।

Rony zaman

নোটঃ সব বাবা-মা কখনোই একরকম হয়না।বাবা-মা আল্লাহ'র শ্রেষ্ট নেয়ামত।উপড়ে যাদের কথা বলা হয়েছে তারা আসলেই স্বার্থপর।

@followers

0 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

বাড়ি ছেড়েছি, ২০০৯ সালে! বাড়ি ছাড়ার পর আর বাড়িতে টানা এক সপ্তাহ থাকা হয় নি! যাই আর আসি! খুব জরুরী না হলে বাড়িতে যাওয়া হয় না।
গ্রামে থেকেছি আর কত বছর? ১৬ বা ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত! তারপর থেকেই এই শহরে থাকি! কত জায়গায় কতভাবেই এই শহরে থাকা হয় বা হয়েছে! হলে-হোস্টেলে-মেসে-বাসা বাড়িতে- অফিসে-ফ্যাক্টরীতে, গোপনে-আত্মগোপনে- কত রকমভাবেই থেকেছি!
তারুন্য ভরা জীবন নিয়ে এসেছিলাম এখন চুল সাদা হতে শুরু করেছে!
এতটা বছর এতটা সময় এ শহরে চোখের পলকে চলে গেলো, জীবন নিয়ে ভাবতেই পারি নি, অবসর নেই, অবকাশ নেই! জ্ঞান-বুদ্ধি-শিক্ষা-শ্রম- সময় সব আমি এ শহরকেই দিয়ে গেছি অকাতরে!
তবু এ শহর আমার আপন হয়ে উঠে নি। আমি এ শহরের কোন কিছুর প্রতিই কোন টান অনুভব করি না!
আমার টান আছে, আমার মাটির ভিটার টিনের চালের গ্রামের ঘরটার প্রতি! আমি অনুভব করি
যে নদীতে সাঁতার শিখেছিলাম তার বয়ে চলা স্রোত! যে মেঠো পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ইস্কুলে যেতাম সেই পথ আমাকে টানে!
পাল তোলা নৌকা, কলা গাছের ভেলা, জাম্বুরার বল, কচু পাতার ছাতা আমাকে টানে!
মাঝে মাঝে ভাবনা হয়, যে বন্ধুগুলো গ্রামে থেকে গেল, ওরাই ভাল আছে! এ শহরে আসার খুব একটা প্রয়োজন ছিল না!
শহরের বিষন্নতা, হতাশা, একাকিত্ব, মানসিক যন্ত্রনা, মেকী বন্ধুত্ব, অকারণ ব্যস্ততা, অপ্রয়োজনীয় বস্তুর অবাধ ব্যবহার আমাকে পীড়া দেয়!
এ শহরকে যা দিয়েছি, তা আমার জন্মস্থান গ্রামের পাওনা ছিল!
এ শহর নিতান্ত স্বার্থপর শহর. পাষান শহর, অভিনয়ের শহর! অর্থ-বিত্তের জৌলুসে ভরপুর জটিল সমীকরণের এই শহর! মানুষের জীবন যেন পোকামাকডের জীবনের মতো!
১৬ বছর পর্যন্ত যারা আপন হয়ে উঠেছিল তাঁরাই জীবন শেষে আপন, পাখির কিচির মিচির, সন্ধ্যায় ঝিঁঝি পোকার আওয়াজ, ডাহুক পাখির ডাক, রাতেভর শিয়ালের হুক্কাহুয়া!
পূর্নীমা রাতে শুকনো বাঁশঝাড়ের মরনর শব্দ!
১৫ বছরে আমি এই শহরকে আপন করে নিতে পারি নি! এ শহরও আমাকে আপন ভাবে না! প্রয়োজন ভাবে!

পোষ্ট ভালো লাগলে পেজটির সাথেই থাকুন।

2 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

অবশেষে জো'র করে বিয়েটা করতেই হলো আমার। বাবা পাঁচ-ছয় না ভেবেই শুধু টাকাটা দেখেই, তুলে দিলো অন্যের হাতে। তবে বাবা মা'র জন্য যে নিজের জীবনটাও উ'ৎসর্গ করে দিতে রাজি আছি,তা ভালো করেই জানেন আমার বাপ! আজ বিকেলেই চার্চে বিয়ে পরানো হলো লিওনের সাথে! শুনে আশ্চর্য হবেন, বিয়েতে শুধুমাত্র গোনায় ১২ থেকে ১৫ জন মানুষ এসেছে।এতবড় একটা ফ্যামিলির মাত্র কয়েকজন মানুষ আসায়, তারা বললো- তাদের নাকি যারা আত্বীয়রা আছেন তারা সবাই নর্থ আমেরিকাতে থাকেন আর বিয়েটা সেরে ফেললেই আমায় নিয়েও সেখানে পাড়ি জমাবেন! হ্যা আর এজন্যই বাবা দেরী না করে, ইনফ্যাক্ট আমাকে না জানিয়েই জোর পুর্বক বিয়েটা দিয়েই দিলেন!
আমি এলিনা গোম্বস্! অনার্স শেষ করে এখন একটি মাল্টি ইন্টার-ন্যাশনাল কম্পানিতে গত ৭ মাস যাবৎ কাজ করছি! বাবা ছোট খাটো ব্যবসা করেন, মা সাড়ে ৩ বছর আগেই মা*রা গিয়েছেন, আমি পরিবারের বড় মেয়ে আর আমার ছোট ভাই স্যামস্ ,এবার ইন্টারে পড়ে। মধ্যবিত্ত হওয়ায় আর বাড়ির বড় সন্তান হওয়ায় ,পরিবারের সমস্ত কিছু আমাকেই দেখতে হয়। যাক এখন মেইন কথায় আসি!

বিগত ৯ মাস পুর্বে, রেজাল্ট আউটের পর কাজ খুঁজতে শুরু করে দেই এবং অনেক চেষ্টার ফলে এই কম্পানিতে জয়েন করি, জয়েন করার পুর্বে শুনেছি এটা বেশ বড় একটা কম্পানি,এখানে ভালো অঙ্কের বেতনও দেওয়া হয় কিন্তু কাজে মনোযগী হতে হবে। আর হ্যা টাকাটা আমার জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল কারন, আমি চায়নি আমার ভাইটাও অভাবে বড় হোক তাই, যত সেক্রিফাইস সবটুকু ওর জন্যে! জয়েনের পর জানতে পারলাম এখানের যিনি প্রাক্তন এমডি তিনি বেশির ভাগ সময়ই বাহিরে থাকেন তাই উনার উত্তরাধিকারী হিসেবে উনার বড় ছেলে কম্পানি পরিচালনা করেন। দেখতে নাকি বেশ হ্যান্ডসাম, কম্পানির সমস্ত মেয়েদের ক্রাস উনি, কিন্তু উনি নাকি বেশ রাগি, কারো সাথে কাজ ছাড়া কোনো বাড়তি কথাই বলেন না, ইভেন উনার এতো সুন্দর পি এ জেরিন,যে কিনা এখানের সব ছেলেদের ক্রাশ-ওর সাথেও কাজ ছাড়া কোনো কথাই বলেন না, যদিও জেরিন পটানোর বেশ চেষ্টা করেছিল কিন্তু বেচারি অলওয়েজ ব্যর্থ হয়! আরও শুনেছি উনি বেশ ড্যামকেয়ার টাইপের প্যারসন, কারো কাজ যদি পছন্দ না হয়, সাথে সাথে বের করে দেন! এসব কথা আমার কলিগ সুমি আমায় বলেছিল! হ্যা মাস-খানিকের মধ্যেই ওর কথায় বেশ মিল পেলাম ! মি. লিওন ম্যাথইউড বেশ অদ্ভুত একটা মানুষ, প্যান্ট সার্ট পরে,চোখে গ্লাস লাগিয়ে,চুলে ইস্টালিস্ ব্রাস করে, হুর হুর করে হেটে নিজের চেম্বারে যান আবার,কাজ শেষ করেই বেড় হয়ে পরেন, উইথ আউট কোনো হাই হ্যালো ছাড়াই! আর উনাকে পটানোর জন্য জেরিন সবসময় অনর-বরত চেষ্টা করেই যাচ্ছে।আর নিজের কাজগুলো সব আমাকে দিয়ে করিয়ে নিচ্ছে! যদিও আমার তেমন সমস্যা হয় না কারন, মাস শেষে টাকাটা যে বেশ প্রয়োজন তাই হয়তো করতে না ইচ্ছে করলেও মুখ বুঝে সব সহ্য করি!
প্রতিদিনের মতোই সেদিনও কাজের বেশ চাপ ছিলো, সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে, বাবা ফোন করে বললো আসার সময় তার জন্য ঔষুধ নিয়ে আসতে আমিও ভাবলাম কাল যেহেতু ওফ তাই কালই এসে বাকিটুক করবো, লিফটে উঠে গেলাম।ফোনের দিকে তাকিয়ে, কানে হেডফোন দিয়ে ইউটিউবে নাটক দেখছিলাম, প্রথম সাত তালা পার হবার পর বুঝতে পারলাম কেউ একজন মাত্র লিফটে উঠেছে, আমি আর সেদিকে ধ্যান না দিয়েই নাটক দেখচ্ছিলাম। চার তালা পার হবার পর হঠাৎ লিফ্ট ওফ হয়ে গেলো, ভয় পেয়ে গেলাম, সামনে তাকিয়ে দেখি চারদিক অন্ধকার, শুধু ঘনকালো অন্ধকারে পাশে থাকা মানুষটার অবয়ব বুঝা যাচ্ছিলো, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি করবো! আস্তে আস্তে ফোনের চার্জটাও শেষ হয়ে গেলো। আমার সামনে যিনি ছিলেন বুঝতে পারলাম উনি এক পা দু পা করে আমার দিকে আসছে। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে, বারবার বলতে লাগলাম “আমার কাছে আসবেন না বলে দিচ্ছি” সে আস্তে আস্তে করে আমার সামনে এসে পরলো! তার নিশ্বাসের উত্তাপ পরছে আমার নাকের উপর, হাত পা ঠান্ডা হয়ে পরলো আমার কিছুই বুঝতে পারছি না কি হতে যাচ্ছে আমার সাথে! সে তার এক হাত আমার কোমরে রাখলো, আর একহাত দিয়ে আমার ঘাড়ে ধরলো, বরফের মতো তীব্র শীতল হাতগুলো খুব শক্ত করে আমাকে তার কাছে টেনে নিলো, আমি বার বার ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগলাম কিন্তু, তার অশরীরী শক্তির কাছে হেড়ে গেলাম! ধীরে ধীরে নিশ্বাসের উত্তাপ বারতে লাগলো, চোখের এক কোণা জুড়ে পানি বেরিয়ে আসলো আমার হঠাৎ, একজোড়া শীতল ঠোঁ'টের ছোয়া পরলো আমার ঠোঁ'টের উপর, সাথে সাথেই চোখদুটো বন্ধ করে ফেল্লাম! কতক্ষণ যাবৎ সেভাবে ছিলাম কিছুই মনে পরলো না, চোখ খুলে নিজেকে হা'সপাতালের বে'ডে আবিষ্কার করি।পাশে তাকিয়ে দেখি বাবা আর স্যামস্ দারিয়ে আছে! বাবা বললো, আমি নাকি অ'জ্ঞান অবস্থায় লি'ফ্টে পরে ছিলাম, তারপর তারা আমার একাউন্ট থেকে বাবার নাম্বার নিয়ে বাবাকে কল দিয়ে এখানে আসতে বলে।

এলিনা- আর উনি কোথায়?
বাবা- কে? কে কোথায়???
এলিনা- আমার সাথে যিনি লিফ্টে ছিলো? সে কই?
বাবা- আমাকে তো সিকিউরিটি গার্ড বললো তুই ওখানে একাই পরে ছিলি! আর কেউ ছিলো না সেখানে!
এলিনা- কিহ!!! এটা কিভাবে সম্ভব?
বাবা- কি হয়েছে বলতো? তুই কার কথা বলছিস!
এলিনা- না ... না কিছু না!
আমি আর কিছু বললাম না, মনে মনে ভাবতে লাগলাম “তবে এটা কি আমার হ্যা'লুসিনেশন!” , “না হতেই পারে না আমি স্পষ্ট তার স্পর্ষ ফিল করেছি, কিভাবে সম্ভব!”
পরের দিন সকালে রিলিস পেলাম, বাসায় গিয়ে বিছানায় বসতেই না বসতেই পাশের ড্রেসিং টেবিলের আয়নায় চোখ পরলো, খেয়াল করলাম আমার নিচের ঠোঁটের মাঝবরাবর রক্ত জমাঠ বেঁধেছ আছে! ঘাড়ের মধ্যে তিন আঙ্গুলের হাল্কা ছাপ দেখা যাচ্ছে, বুঝতে আর বাকি রইলো না! এটা আমার হ্যালুসিনেশন নয় বরং, বাস্তবে আমার সাথে ঘটে যাওয়া এক অদ্ভুত ঘটনা! সারাটা রাত ঘুমাতে পারিনি, বারবার গতরাতের ঘটনা মনে পরতেই শ'রীরের পশম্ দাড়িয়ে যাচ্ছে! “কে সে? কেনো এমনটা করলো আমার সাথে? না এই অজনা তথ্যের রহস্য খুঁজে বের করতেই হবে আমাকে?!
পরেরদিন সকালে অফিসে গেলাম, সিকিউরিটি গার্ডকে সেদিন রাতের ঘটনা জিজ্ঞাস করতেই, সে বাবাকে বলা কথা আমাকেও বললো, কয়েকবার জিজ্ঞাস করায় উনি একি কথা বললো “না ম্যাম! আপনি ওখানে একাই ছিলেন, আপনার সাথে কেউই ছিল না!” হতাশ হয়ে নিজের কেবিনে যেতে যেতেই দেখি সবাই বেশ হা করে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। সুমি দৌড়ে এসে আমার পাশে বসলো-
সুমি- কিরে কি অবস্থা তোর এখন? শুনেছি পরশু রাতে অ'জ্ঞান হয়ে পরেছিলি?
এলিনা- হুম! এখন ঠিক আছি!
সুমি- কি হয়েছিল বল আমাকে?
এলিনা- কি করে বলি! তুই কি বিলিভ করবি আমার কথা!
সুমি- অবশ্যই বল!
সেদিনের পুরো ঘটনাটা সুমিকে বললাম!
সুমি- ওহ্ মাই গড! হাউ ইটস্ পসিবল!
এলিনা- কিছুই বুঝতে পারছিনা, কি হল আমার সাথে!
সুমি- থাক তুই কেয়ারফুল থাকিস! এগুলো নিয়ে আর বেশি চিন্তা করলে অসুস্থ হয়ে পরবি! কফি খাবি?
এলিনা- হুম!!!
সুমি- ওয়েট নিয়ে আসছি!
সুমি চলে গেলো আর এর মধ্যেই জেরিন এসে হাজির হলো!
জেরিন- কেমন আছ?
এলিনা- ভালো!
জেরিন- গুড! এনিওয়েস্! বস ইস কলিং ইউ!
এলিনা- ওকে! আম কামিং!
হঠাৎ, বসের কথা শুনে আমি বেশ অবাক হয়ে যাই, বেশ টেনশন হচ্ছিল কেনো হঠাৎ বস আমাকে ডাকবে!

গল্পঃ #হাসবেন্ড
Ritu Hasan
পর্ব-১
(গল্পের সকল পর্ব নিয়মিত পোস্ট করা হবে আপনি কোনো পর্ব মিস করলে আইডি থেকে পড়ে নিবেন। পরবতী পর্ব পেতে আমায় ফলো দিয়ে রাখুন ভালো রেসপন্স পেলে পরের পর্ব তাড়াতাড়ি দিবো।ধন্যবাদ💐)

3 - 0

Created by Zalil
Posted 6 months ago

জান্নাত বিয়ে দুইদিন পর বুঝতে পারলো এই বাসায় মেয়েদের খুব একটা মূল্যায়ন করা হয় না।
তার শাশুড়ী শাহেলা বেগম কে যত্ন করে মাছের মাথাটা তুলে দিতেই দেখলো উনি খুব খুশি হলেন। কিন্তু পরক্ষনে শ্বশুর জামিল সাহেব সে মাথা তুলে নিয়ে বলল-

- তোমার শাশুড়ী মাথা খেতে জানে নাকি?

জান্নাতের ব্যাপার টা জঘন্য খারাপ লাগলো। কারো পাত থেকে খাবার তুলে নেওয়ার চেয়ে নিম্ম মানের কাজ আর কিছু হতে পারে না।

জান্নাত ওর বাপের বাড়ি থেকে একটা শাড়ি এনেছে তার শাশুড়ীর জন্য তখন জান্নাতের স্বামী আরিফ বলে উঠলো,

- আম্মার জন্য শাড়ির কি দরকার? আব্বার জন্য কিছু নিয়ে আসতে।

- কেন?
- আম্মার কিছু লাগে না।
-কখনো কি জানতে চেয়েছো কিছু লাগে কিনা?

আরিফ কিছু বলল না। জান্নাত আবার জিজ্ঞেস করল,
- দেখি বল তো তোমার আম্মার প্রিয় রং কি?

আরিফ মাথা নেড়ে বলল সে জানে না।

- দেখি বল তো তোমার আম্মা কোন খাবার খেতে খুব ভালোবাসে?

- বাসি তরকারি ছাড়া আর কি?

- তোমার প্রিয় না?

আরিফ ব্যঙ্গ সুরে হেসে বলল,
- ওসব খাওয়া যায় নাকি? মানুষে খায়?

- তাহলে কি তোমার আম্মা মানুষ না?উনি খায় কেন?তোমরা ভাগ করে খেয়ে নাও না তাই। ভালো পিস নিয়ে নাও তাই। যদি মায়ের পাতেও ভালো টা তুলে দিয়ে বাসি তরকারি টা নিতে তাহলে বুঝতে মায়ের কি পছন্দ।

আরিফ আর কিছু বলতে পারলো না। এই ২৯ বছর বয়সে সে জানে না মায়ের প্রিয় খাবার কি?

জান্নাত ওর শাশুড়ী কে শাড়িটা দিয়ে এলো। জান্নাতের শাশুড়ীর শাড়িটা পছন্দ হলে , উনি বললনে।
- অনেক দিন ধরেই একটা সবুজ রঙের শাড়ি পরার শখ ছিলো৷ ভাল হল তুমি আনলে।

ওর শ্বশুর ধমক দিয়ে বলল,

-এইটা একটা কালার হলো? সবুজ রঙের শাড়ি পরবা এই বয়েসে? লোকে বলবে কি?

জান্নাতের শাশুড়ী কাচুমাচু হয়ে শাড়িটা আবার ফেরত দিলে, জান্নাত বলে উঠল,

- আব্বা আপনি কি মায়ের চেয়ে বয়সে ছোট?

- কি আবোল তাবোল বকছো?আমি কেন তোমার শাশুড়ীর থেকে ছোট হতে যাবো? আমি তোমার শাশুড়ীর থেকে পনেরো বছরের বড়৷

- তাহলে আব্বা আপনি যদি সেদিন সবুজ রং এর পাঞ্জাবি পরতে পরলেন। খয়েরী রং এর শার্ট পরতে পারেন প্রায় অলরেডি পরে আছে হলুদ রং এর ফতুয়া তাহলে আম্মা কেন পরতে পারবে না সবুজ রং এর শাড়ি? এতে কি বলা যায় আম্মা আপনার চেয়ে বয়সে বড়?

জান্নাতের শ্বশুর কিছু বলছে না দেখে। জান্নাত আবার জিজ্ঞেস করলো,

-তাহলে কি আব্বা আম্মার শাড়ি সাথে আপনার পাঞ্জবী গুলো নিয়ে যাবো?

-না না। এত যত্ন করে এনেছো তোমার শাশুড়ীর জন্য শাড়ি। পরুক না। সবাই তো পরে।

জান্নাত হেসে বেড়িয়ে যেতে দেখল ওর শাশুড়ী পরম৷ যত্নে সবুজ শাড়িটাতে হাত বুলাচ্ছে।

কিছুদিন পর আরিফ দের বাসায় রং করা হবে বলে ঠিক হয়েছে। আরিফ আর ওর বাবা কোন রং দেওয়া হবে তা নিয়ে আলোচনা করছে।
দুজনে মিলে ঠিক করলো ঘরে নীল রং করা হবে। জান্নাত কে বলল আরিফ।

- আম্মাকে জিজ্ঞেস করেছো আম্মার কি রং চায়?

- তোমার শাশুড়ীর কি সে জ্ঞান আছে।?

আরিফ বলল,
- মা এইসবের কি বুঝবে?
জান্নাত বলল,
- কেন বুঝবে না? উনার পছন্দ টা তোমার জিজ্ঞেস করবে না?

- আহ,বৌমা বাদ দাও, তোমাদের যেটা ভালো লাগে দাও।

- আম্মা ঘর টা তো ঘরে তুলেছে আপনি আপনার পুরো একটা জীবন দিয়ে। সে ঘর সাজাতে কেন আপনার মতামত নেওয়া হবে না?

আরিফ বলল,
-আম্মার পছন্দ থাকলে নিশ্চয়ই বলতো। শুনলে না বলল আমরা যা পছন্দ করি।

- আম্মা যদি অন্য কিছু পছন্দ করে তাহলে সেটা কি তোমরা মনবে? যে মানুষ টা এত গুলো বছর এই ঘর সাজাতে কাটিয়ে দিলো তার পছন্দের রং কি রং করা হবে? তোমাদের কি সে কৃতজ্ঞতা বোধ আছে?

জান্নাতের কথার জান্নাতের স্বামী আর শ্বশুরের আত্মসম্মানে লাগলো।

দুজনেই একসাথে বলে উঠলো। অবশ্যই।

তখন জান্নাত রং এর কাগজ গুলো নিয়ে তার শাশুড়ী কে দিয়ে বলল,

- আম্মা আপনার কি রং পছন্দ?

-কি দরকার আবার আমার মতামতের?

- দরকার আছে। বলুন। আপনি যা বলবেন তা হবে।

উনি বেশ কিছুক্ষন ইস্তহস্ত করে বললেন,

- আমার খুব শখ ছিলো আমার রুমের দেওয়ারের রং হবে গাঢ় গোলাপি রং এর। যেন সব দিকে গোলাপ আছে।

আরিফ আর আর বাবার এইটা অপছন্দ হলেও জান্নাতের কারণে ঘরে গোলাপি রং করা হলো।

আরিফ এই প্রথম খেয়াল করলো। নিজের মতামতে নিজের পছন্দে মন মতো কিছু পাওয়াতে তার মা কত খুশি হয়েছে।

যে মানুষ টা তার পুরোটা জীবন কাটিয়ে দেয় আমাদের খুশি দেখার জন্য। আমাদের হাসি মুখ দেখার জন্য তাদের হাসি মুখের কথা আমরা কয় জন চিন্তা করি৷
নিজের পছন্দ মতো তরকারি না হলেও যেখানে আমরা খেতে চায় না। সেখানে অন্যের পছন্দে জীবন কাটিয়ে দেওয়া মায়েদের পছন্দের আর মতামতের খেয়াল আমরা কয় রাখি।

যারা আমাদের সব আবদার পূরণ করে আসে মাঝেমধ্যে তাদের আবদার পূরণ করে দেখুন দেখবেন আপনার চেয়ে সুখি বোধহয় আর কেউ নেই। 🙂

🖊দোলনা বড়ুয়া তৃষা

0 - 0

Created by Zalil
Posted 7 months ago

ফুফুর বাসায় এসে শুনি ফুপাতো ভাই বিয়ে করবে তার জন্য মেয়ে খুজঁতেছে ভাইয়ার বয়স অনেক ৩৪+ বিয়ে করার জন্য মেয়ে খুঁজতেছে একটা মেয়েকেও নাকি ভালো লাগে না

সে নাকি বিয়ে করলে কম বয়সের মেয়েকে বিয়ে করবে। তো সে রকম মেয়ে খুঁজতেছে।

একটা মেয়ের খুজ পাওয়া যায় মেয়ের নাম তহা দেখতে মাশাল্লাহ..!

মেয়ে কেবল SSC পরিক্ষা দিলো রেজাল্ট ও এখনও বের হয় নাই। ভাইয়ার পছন্দ মতোই মেয়ে পাওয়া গেছে কম বয়সী চুল লম্বা চোখ দুটোও বড় বড় মায়াবী মুখ। মেয়েকে দেখে সবার এ পছন্দ হলো ভাইয়ার ও পছন্দ হয়।

তো বিয়ে হলো ৩দিন পর শুক্রবার। কারণ ভাইয়ার বয়স বেশি তাই দেরি না করে তারাতারি বিয়ে দিলো ভালোই চলছিলো দিন।

২ মাস পর খবর পাওয়া গেলো ভাবি নাকি প্রেগন্যান্ট শুনে সাবাই খুশি হলেও আমি খুশি হতে পারলাম না কারণ ভাবির বেশি বয়স এ হয় নাই।

বাচ্চা আসার ৭ মাস হয়ে কয়দিন গেছে তাতেই ভাবির পেটে ব্যাথা শুরু হয়। ব্যাথা নিয়ে ৩দিন থাকার পর মেডিকেল এ ভর্তি করা হয় বাচ্চা হওয়ার ডে*ড হয় নাই তবুও বাচ্চা হওয়ার মতোই ব্যাথা শুরু হয়। ডাক্তার চিকিৎসা করার পরও যখন ভাবি বেশি অসুস্থ হওয়া শুরু করলো এটা দেখে ডাক্তার ডেলিভারি করতে বলে আর ভাবির অবস্থা এতোই খারাপ যে তা দেখে ডাক্তার বলে মা-বাচ্চার মধ্যে যেকোনো একজন বাচবে।

ডেলিভারি করার জন্য ভাবিকে নিয়ে যাওয়া হলো, কিছুক্ষণ পর ডাক্তার বের হয়ে বললো মেয়ে বাচ্চা হয়েছে। মা ও বাচ্চা দুইজন এ আছে কিন্তু দুই জন এ খুব অসুস্থ। ভাবি একটু বেশি এ অসুস্থ।

এক সপ্তাহ পর বাচ্চা সুস্থ হলেও ভাবির অবস্থা খুব খারাপ ডা*ইরি*য়া হইছে ভাবির সবাই তো চিন্তায় আছে ডাক্তার বলে গেছে এ রোগী সুস্থ হতেও পারে হা হতেও পারে এই নিয়ে সবাই চিন্তিত। আর ভাইয়া তো দৌড়া দৌড়ি করতেছে। কতো বাচাই টাচাই করে বিয়ে করলো আর তার বউ নাকি মৃ*ত্যু যাত্রি.....

সেদিন রাত ১২:৪০ মি. এ ভাবি এই নি*ষ্ঠুর পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। দিনটি শুক্রবার ছিলো কোনো এক শুক্রবার এ সে বউ সেজে বসে ছিলো আর সেই শুক্রবার এ এই পৃথিবী থেকে চলে গেলে। সেকি জানতো যে বিয়ের ৭ মাস পর এ সে পৃথিবী থেকে চলে যাবে। বয়স কত হবে ১৬-১৭। নিয়তি কে কখন চলে যাবে কউ বলতে পারবে না....

আসলে আমাদের সমাজের মা বাবারা মেয়েদের বিয়ে দিলেই বেচে যায় এমন একটা অবস্থা। তারা বুঝে না যে এতো কম বয়সে বিয়ে দিচ্ছি তার মেয়ে কি পারবে সব মেনে চলতে। কেমন বাবা মা এরা। কোন বয়সে বিয়ে দিতে হবে সেটাই জানে না।

নিয়তি

0 - 0

Welcoem to posts!!

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 6 months ago

Created by Zalil Posted 7 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 6 months ago

Created by Zalil
Posted 7 months ago