Satsang with me

Satsang with me
Posted 1 day ago

#একদিন নারদমুনি ভগবান'কে জিজ্ঞাসা করলেন- "আচ্ছা প্রভু! 'সাধু-সঙ্গ' করলে কি হয়?

ভগবান হাসলেন এবং বললেন এখান থেকে ১কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রথম যাকে দেখতে পারবে তাকেই জিজ্ঞাসা করবে। ঠিক ১কিলোমিটার দূরে গিয়ে নারদ গোবরে একটি পোকা দেখতে পেল। নারদ জিজ্ঞাসা করলো, এই গোবরে পোকা! বল তো সাধু সঙ্গ করলে কি হয়? সঙ্গে-সঙ্গে পোকাটি মারা গেল। নারদ ফিরে এসে বলছে, প্রভু পোকাটিতো মারা গেল। ভগবান বললেন, এবার তাহলে ২কিলোমিটার দূরে গিয়ে প্রথম যাকে দেখবে তাকেই জিজ্ঞাসা করবে।

২কিলোমিটার দূরে গিয়ে নারদ একটি পাখিকে জিজ্ঞাসা করলো এই পাখি, সাধু সঙ্গ করলে কি হয় রে? সঙ্গে সঙ্গে পাখিটিও মারা গেল। নারদ এবার ফিরে এসে বলছে প্রভু, এই তোমার সাধু সঙ্গ! যাকে জিজ্ঞাসা করছি সেই মারা যাচ্ছে! না না আমি আর যাবো না। ভগবান বললেন এবার তুমি ৪কিলোমিটার দূরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবে? এবার নারদ দূরে এসে একটি গাভীর বাছুরকে দেখে জিজ্ঞাসা করলো, এই বাছুর সাধু সঙ্গ করলে কি হয় রে? সঙ্গে সঙ্গে বাছুরটিও মারা গেল।

এবার নারদ ফিরে এসে বলছে, মাথা খারাপ আমি আর যাবই না! ভগবান বলছেন, এই শেষবারের জন্য যেতে হবে তোমায়। তবে এবার তোমায় ৫কিলোমিটার দূরে যেতে হবে এবং সেখানে এক রাজার একটি সুন্দর ছেলে হয়েছে, তাকে তুমি জিজ্ঞাসা করবে? নারদ বলছে বেঁচে ফিরব তো প্রভু! প্রভু বললেন "রাখে হরি মারে কে" আমার এই কথায় বিশ্বাস নেই তোমার। নারদ বলছে, আপনার কথায় বিশ্বাস আছে কিন্তু আপনাকে বিশ্বাস নেই।

অবশেষে নারদ গেল সেই রাজামশাইয়ের বাড়িতে, রাজা বললেন প্রণাম দেবর্ষি। আজ আমি খুব খুশি।

কেননা আজ ১৫বছর পরে আমার একটি ছেলে হয়েছে। নারদ বলছে বিষয়টা হচ্ছে আপনার ছেলেকে আমি একটি প্রশ্ন করতাম? রাজা বললেন একটি কেন, ১০টি প্রশ্ন করুন। আচ্ছা রাজামশাই আপনার গৃহের পেছন দিকে কি দরজা আছে? রাজা বললেন হ্যাঁ। এবার নারদ সেই ছেলেটির ঘরে একটি পা দিলেন এবং বাহিরে একটি পা রেখে, ভয়ে ভয়ে বলছেন এই ছেলে সাধু-সঙ্গ করলে কি হয় রে?

নারদ ভয়ে ভয়ে দেখছে যে ছেলেটি তো এখনও মরেনি, যাক বাবা বোধহয় এবার বাঁচা গেল। মনে হয় এবার সব ঠিকই আছে কোন গণ্ডগোল নেই। এবার সেই ছেলেটি নারদ'কে বলছে, হে প্রভু নারদ শোন আমি প্রথমে ছিলাম একটা গোবরে পোকা আপনার মতো সাধকের সঙ্গ পেয়ে হলাম একটি পাখির বাচ্চা, আবার আপনার সঙ্গ পেয়ে হলাম গাভীর বাচ্চা, পুনরায় আবার আপনার সঙ্গ পেয়ে হলাম রাজার পুত্র। আর এই জন্মে আপনার মতো সাধকের সঙ্গ করে আমি যেন ভগবানের সুযোগ্য সন্তান হয়ে থাকতে পারি।

~~*#পরমপূজ্যপাদ_শ্রীশ্রী_আচার্য্যদেব*।

736 - 40

Satsang with me
Posted 3 days ago

শ্রী শ্রী ঠাকুরের দৃষ্টিতে পঞ্চম মহাযজ্ঞ।

236 - 11

Satsang with me
Posted 3 days ago

পরম পিতার দয়ায় সব অসম্ভব সম্ভব হয়❤️❤️❤️

এই সেই ছোট্ট বোন পৌলমী। হঠাৎই একটি সৎসঙ্গে দেখা সেই পরিবারের সাথে। বোনটির মায়ের কাছ থেকে শুনলাম ওর বয়স ১৪ বছর। জন্ম থেকেই হার্ট জনিত সমস্যায় ভুগছে। ওইটুকু বয়সের মধ্যেই তার বেশ কয়েকবার অপারেশন হয়েছে কখনো চেন্নাই, কখনো কেরালা, আবার কোনো হায়দ্রাবাদ। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। সমস্যাটি দিন দিন বেড়েছে। শেষ পর্যন্ত কলকাতার পিজিতে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হলে অপারেশনের পর তার পরিণতি খারাপ হতে পারে বলে জানিয়ে দিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেয়। অসহায় বাবা - মা কি করবে ভেবে পায় না। ধীরে ধীরে তার শরীর শুকিয়ে যেতে এবং নীল হয়ে যেতে শুরু করে। এমত অবস্থায় সেই পরিবারের সাথে দেখা হয়। সবটা শুনে আমি বোনটির মাকে বলি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঠাকুরবাড়ি গিয়ে শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের কাছে নিবেদন করতে। কারণ এটকু বিশ্বাস করেছি নিজের জীবন দিয়ে যে - চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাবনা যেখানে শেষ, শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের সমাধানের পথ সেখান থেকে শুরু। অতঃপর প্রতিবেশী গুরুবোনেদের সহযোগিতায় তারা ঠাকুরবাড়ি গিয়ে শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবকে নিবেদন করায় তিনি বলেন - দুর্গাপুরের মিশন হাসপাতালের ডাক্তার হেমন্ত নায়েকদা অপারেশন করবে। আর বলেন - যাহ্, হেমন্ত নায়েককে দেখা, ভালো হয়ে যাবি।
তার কয়েকদিনের মধ্যেই চিকিৎসা শুরু হয়। দুর্গাপুরে যখন তার বাবা - মা মেয়েটিকে নিয়ে যাচ্ছে তখন তার পরিবার এবং কিছু প্রতিবেশী বলে - তোমরা এই মরা মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে আর কি করবে? তোমাদের ঠাকুর কি এই মেয়েটিকে কি সুস্থ করে দেবে? এসব কথা শোনা সত্ত্বেও ঠাকুরের প্রতি অকাট্য বিশ্বাস, ভালোবাসা, আস্থা রেখে তারা মেয়েটিকে নিয়ে দুর্গাপুরে পৌঁছোয়। শুরু হয় তার চিকিৎসা। অপারেশনের দিন সকল গুরুভাই বোনদের কাছে মেসেজ পাঠানো হয় যাতে সকলে মিলে তারা ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করে। প্রায় ৮ঘন্টা অপারেশন চলার পর মেয়েটির অপারেশন সফল হয়। মেয়েটি আজ পুরোপুরি সুস্থ। শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের আশীর্বাদে পুনর্জন্ম লাভ করে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
পরবর্তী সময়ে মেয়েটির বাবা মেয়ের ভালো হয়ে ওঠা নিজের চোখে দেখে মদ্য পান ত্যাগ করে, নিজ হাতে ইষ্টভৃতি শুরু করে, এবং বর্তমানে নিরামিষ আহারও গ্রহণ করছে। আর পরিবারের সেই সব মানুষ মেয়েটির সুস্থ হয়ে ফেরার ফলে নিজেদের ভুল বুঝতে পেরেছে এবং তারাও শেষ পর্যন্ত শ্রীশ্রীঠাকুরের দীক্ষা গ্রহণ করেছে।
আজ তাদের বাড়িতে সৎসঙ্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করলাম। তাদের বাবা মায়ের চোখে এখন শুধুই আনন্দ, হাসি, আর মেয়েটির নতুন করে জীবনকে এগিয়ে নিয়ে যাবার আকুতি দেখে মনটা আনন্দে ভরে উঠলো।
তাই এটা লিখতে গিয়ে বারবার একটা গানের লাইন মনে পড়ছে -

তুমি যখন আছো সাথে,
ঝঞ্ঝা এলে কি ভয় তাতে,
ডুববো নাতো মাঝ দরিয়ায়
রইবো সদাই ভেসে।

জয়গুরু

✍️ কৃষ্ণেন্দু শেঠ

343 - 25

Satsang with me
Posted 3 days ago

শ্রীশ্রীঠাকুর - ক্ষেতে যে পাখী বসে, তারা কি শুধু শস্যই খায় না শস্যে যে পোকা থাকে তাও খায়?

হরিনন্দনদা(প্রসাদ) -পোকা খায়। তবে ফসলও খায় শুনেছি।

শ্রীশ্রীঠাকুর-আমার মনে হয়, প্রধানত পোকাই খায়। পোকা না পেলে ফসল খায়। তোমার বাড়ীতে তুমি যে চাকর রাখ, তাকে তো খেতে দাও। কারণ, চাকর তোমাকে service (সেবা) দেয়। ক্ষেতে ঐ পাখীগুলি insect (পোকা) খেয়ে ফে'লে তোমাকে service(সেবা) দিচ্ছে। এটা crops-এর (শস্যের) পক্ষে ভাল, অথচ গল্প শুনেছি, পাখী শস্য খায় ব'লে নাকি মানুষ পাখি মারে। এটা ভাল না, কারণ পাখি মেরে ফেললে insect গুলি crops-এর (পোকাগুলি শস্যের) মধ্যে থেকে যায়। তাতে ঐ crop (শস্য) helth-এর (স্বাস্থ্যের) পক্ষে injurious (ক্ষতিকর) হয়ে ওঠে। তাহলে দেখ, ভগবান পাখীকে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সেবার জন্য। তারা তোমাদের চাকরের কাজ করছে। অথচ তুমি তার প্রতি কী ব্যবহার করছ।
[দীপরক্ষী ৮/ ২০/১০/১৯৬০]

975 - 30

Satsang with me
Posted 6 days ago

👉ঠাকুরের কাজ করায় কিভাবে সর্পদংশন থেকে বাঁচল গল্পটি পড়ুন...

👏কিছুদিন হল শ্রীশ্রীঠাকুর দেওঘরে পদার্পণ করেছেন। প্রয়োজনবশে আশ্রমের অভ্যন্তরে দু-একখানা করে ঘর, বাথরুম, পায়খানা ইত্যাদির নির্মাণকার্য্য সুরু হয়েছে। হালে একটা নতুন ঘর বানানো হয়েছে। এখন ঝাঁটপাট দিয়ে ধুয়ে চুনবালি পরিষ্কার করে নিলেই ঘরখানা ব্যবহারযোগ্য হবে। এ কাজের জন্য ঠাকুর আশ্রমকর্মী ভূষণ চক্রবর্তীদাকে ডাকতে বললেন। ভূষণদা এলে তাঁকে বললেন, 'ভূষণ। তুই ভাল করে জল ঢেলে ধুয়েমুছে ঐ ঘরটা বেশ পরিষ্কার ঝকঝকে করে দে। যা, এখনই সুরু কর। আর শোন, আমি তোকে থামতে না বলা পর্যন্ত তুই জল ঢেলে পরিষ্কার করতেই থাকবি।'

আদেশটা হল সন্ধ্যার মুখে। ভূষণদা তখনই টিন, বালতি ঝাঁটা জোগাড় করে কাজে লেগে গেলেন। এই সময়ে আশ্রমে জলের কল চালু হয়নি। বড় বড় ইঁদারা থেকে দড়ি বালতি দিয়ে জল তুলে সমস্ত কাজ সারতে হত। ভূষণদাও ঐভাবে জল তুলে টিনে করে এনে ঘরে ঢেলে ঝাঁটা দিয়ে চুনবালি পরিষ্কার করতে লাগলেন। সঙ্ঘসন্তানদের এ বিশ্বাস ছিল যে ঠাকুর যে কাজ করতে বলেন, তা যত শ্রমসাধ্যই হোক, তার বিশেষ উদ্দেশ্য অবশ্যই আছে। তাই, ভূষণদাও নির্দ্বিধায় ঐ কাজ করছেন। যখন থামতে হবে তখন তো ঠাকুরই বলে পাঠাবেন।

ধীরে ধীরে রাত বাড়তে থাকে। রাত সাড়ে দশটা যখন বেজে গেছে তখন ভূষণদা ভাবলেন, ঘরখানা তো বেশ পরিষ্কারই হয়ে গেছে। ঠাকুরকে যেয়ে এবার বলা যাক। এই মনে করে উনি শ্রীশ্রীঠাকুর-সন্নিধানে এলেন।

ভূষণদাকে দেখেই তাকে কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে ঠাকুর ধমক দিয়ে বললেন, 'তুই চলে এলি? আমি যে তোকে বলেছি যে আমি বারণ না করা পর্য্যন্ত জল ঢেলে ঘর সাফ করতে থাকবি। যা, যেয়ে জল ঢাল্ গে।'

ভূষণদা এসে আবার ঐ কাজ করতে লাগলেন। ক্রমশঃ রাত গভীর হল। সমগ্র আশ্রম সুষুপ্তির কোলে মগ্ন হয়ে পড়ল। ভূষণদা একাই ঐ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ধীরে ধীরে ঘড়ির কাঁটা রাত একটায় যেয়ে পৌঁছাল। ভূষণদা মনে মনে ভাবলেন, আর একবার যেয়ে ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করি যে কাজ আরো চালিয়ে যাবার প্রয়োজন আছে কিনা! এই ভেবে ঠাকুরবাড়ীতে এসে দেখেন, গোটা বাড়ীটা অন্ধকারে ডুবে আছে। প্রাঙ্গণে একটা ছাউনির তলে শ্রীশ্রীঠাকুর নিদ্রামগ্ন। অন্ধকারের মধ্যেই ভূষণদাকে বুঝতে পেরে এগিয়ে এলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের সেবানিরত বঙ্কিম রায়। কাছে এসে আস্তে আস্তে বললেন, 'ঠাকুর ঘুমাচ্ছেন। ঘুমাবার আগে বলেছেন যে ভূষণ এলে তাকে বাড়ী চলে যেতে বলিস্।'

একথা শুনে ভূষণদার মন হঠাৎ বিরক্তিতে ছেয়ে গেল। ঠাকুর যে চিরমঙ্গলময়, তাঁর প্রতিটি আদেশ ও ইচ্ছাই যে অশেষ মঙ্গলবাহী, এ চিন্তা তখনকার মতন ভূষণদার মাথা থেকে মুছে গেছে, ব্যক্তিগত কষ্টের চিন্তাই প্রধান হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঠাকুর সম্বন্ধে তাই তিনি ভাবলেন, নিজে বেশ খেয়েদেয়ে ঘুমাচ্ছেন। আমি যদি এসে, খোঁজ না নিতাম তাহলে হয়তো সারারাত আমাকে জল টেনে যেতেই হত। কেন? ঘুমাবার আগে তো খবর পাঠাতে পারতেন যে ভূষণ এবার বাড়ী চলে যাক। এইরকম ভাবতে ভাবতে বাসায় চলে গেলেন। বাসাটি তখন তাঁর ছিল রোহিণী রোডস্থিত গোলাপ বাগের সামনে।

ভূষণদার বাড়ীর সকলেই খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমিয়ে পড়েছে, তবে দরজা ভেজানো এবং ঘরে ভাত ঢাকা দেওয়া আছে। ভূষণদা ঘরে ঢুকে জামা ছেড়ে হাতমুখ ধুয়ে ভাত খেয়ে নিলেন। পাশেই খাটে বিছানা পাতা, মশারি টাঙ্গানো। খেয়ে উঠে মশারি তুলে ভেতরে শুতে যাবেন। কুপির ক্ষীণ আলোতে দেখলেন বিছানার উপরে মস্ত সাপ। চমকে উঠলেন। তারপর চেঁচামেচি করাতে আলো লাঠি নিয়ে লোকজন এলো। সাপটিও তাড়াতাড়ি খাট থেকে নেমে নরদমা দিয়ে পালিয়ে গেল। ভূষণদা সাহসী মানুষ। কিন্তু ঘটনা দেখে তাঁরও হহৃৎকম্প হচ্ছে। অল্পের জন্য তিনি ঐ সাপের ছোবল থেকে বেঁচে গেছেন।

কোনরকমে রাত কেটে গেল। পরদিন সকাল হতেই ভূষণদা ঠাকুরের কাছে এসে রাতের ঐ ঘটনার বিবরণ দিলেন। ঠাকুর সহজভাবে সব শুনলেন। শিশু ভোলানাথ। যেন কিছুই জানেন না। অথবা সর্ব্বজ্ঞানের উৎস যিনি, জানার গরিমা দেখাবার কোনও প্রয়োজনই তাঁর নেই। সব শোনার পরে শ্রীশ্রীঠাকুর ভূষণদাকে বললেন, 'তোর কোষ্ঠীটা একবার পণ্ডিত মশাইকে দেখা তো।'

ভূষণদা বাড়ী যেয়ে কোষ্ঠীটা হাতে নিয়ে পণ্ডিতমশাই (গিরিশচন্দ্র কাব্যতীর্থ)-এর কাছে গেলেন। যেয়ে বললেন, 'ঠাকুর আমার কোষ্ঠীটা দেখে দিতে বললেন।' পণ্ডিতমশাই ভাল জ্যোতিষী। কোষ্ঠীটা হাতে নিয়ে কিছুক্ষণ দেখার পর পণ্ডিতমশাই ভূষণদার মুখের দিকে বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে তাকালেন। তারপর আবার কোষ্ঠী দেখছেন, পরক্ষণেই ভূষণদার মুখের দিকে তাকাচ্ছেন। ওঁর এইরকম ভঙ্গী দেখে ভূষণদা আর থাকতে না পেরে জিজ্ঞাসা করলেন, 'কী হল পণ্ডিতমশাই?' পণ্ডিতমশাই বিস্মিত হয়ে বললেন, আপনি বেঁচে আছেন কি করে? কাল রাতে আপনার সর্পদংশনে নিশ্চিত মৃত্যুযোগ ছিল।

শোনার সঙ্গে সঙ্গেই ভূষণদার মনে বিদ্যুতের মত খেলে গেল কেন ঠাকুর তাকে অত রাত পর্যন্ত জল ঢেলে ঘর সাফ করতে বলেছিলেন। যথাসময়ে ঘরে যেয়ে খাওয়া-দাওয়া করে বিছানায় শুয়ে পড়লে অনিবার্য্যভাবে কোষ্ঠীর ফলই ফলত। কিন্তু ইষ্টের আদেশে অতোখানি হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের মধ্যে অত রাত পর্যন্ত কাটাবার ফলে নিয়তির নিশ্চিত ছোবল তাকে স্পর্শ করতে পারলো না।

সঙ্গে সঙ্গে ভূষণদা কোষ্ঠীটা নিয়ে ছুটলেন শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে। যেয়ে চোখের জলে ভাসতে ভাসতে সব বললেন। শুনে প্রশান্তভাবে শ্রীশ্রীঠাকুর উচ্চারণ করলেন দুটি কথা, সাবধানে চলিস্।

এখানে একটা কথা মনে রাখতে হবে। ইষ্ট আমাদের সব সময় ধরেই আছেন, আমরা যাতে বিপদ থেকে রক্ষা পাই তার জন্য দয়া তিনি করেই চলেছেন। কিন্তু প্রবৃত্তি আকর্ষণ ছাপিয়ে যদি তাঁর উপর টান আমাদের না গজায়, তাঁর ইচ্ছামতো চলতে যদি আমরা নিত্যসচেষ্ট না থাকি, তবে দয়া সাময়িকভাবে পেলেও জীবন আমাদের সুনিয়ন্ত্রিত হয় না, চরিত্র পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে না। ফলে, আবার কখন যে কোন্ গাড্ডায় পড়ে যাব তা নিজেরাও বুঝতে পারব না।

671 - 28

Satsang with me
Posted 2 weeks ago

#আমার ঠাকুরের ইষ্টভৃতি যদি ব্যবসা হয়, তাহলে তুমিও ব্যবসায় নামো। তুমি তেলেভাজা, মুড়ি-চপের দোকান খুলো? আমিও তেলেভাজা, মুড়ি-চপের দোকান খুলি ।তাতে তোমারও বিক্রি হবে,আমারও বিক্রি হবে।

#যদি ইষ্টভৃতি ব্যবসা হয়, তাহলে তোমার নামে ইষ্টভৃতির দোকান খুলো।দেখি?তোমার বউ,তোমার শ্বশুর -শ্বাশুড়ি,শালা-শালি তোমার নামে ইষ্টভৃতি করে কিনা? আমার ঠাকুরকে রোজ কোটি কোটি মানুষ ইষ্টভৃতি দেয়।দেখি, তোমার নামে কেউ ইষ্টভৃতি করে কিনা? যদি না' করে তাহলে আমার ঠাকুরের ইষ্টভৃতি মোটেও ব্যবসা নয়। ফাজলামো করার জাগা পাও না?

পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী আচার্য্যদেব।।
ত্রিপুরা পরিক্রমা।।

642 - 18

Satsang with me
Posted 2 weeks ago

*প্রসঙ্গ : শোষণ*

একটি দাদা কথাপ্রসঙ্গে বললেন—সমাজে শোষণ আছে তাই আজকাল অনেকেই সাম্যবাদ চায়।

শ্রীশ্রীঠাকুর—প্রকৃত বড় যারা তারা বড় হয়েছে service (সেবা) দিয়ে। শোষণ ক'রে বড় হ'লে তারাও শোষিত হয়, তার কারণ কেউই শোষিত হ'তে চায় না। যে শোষিত হয় সে শোষকের বিরোধী হ'য়ে দাঁড়ায়ই। দীর্ঘকাল মানুষ শোষণ বরদাস্ত করে না। সেবা দিয়ে মানুষকে বড় ক'রে তুলতে যোগ্যতা লাগে, আর যোগ্যতাই মানুষের পরম সম্বল। যে সেবা না দিয়ে শোষণ করতে চায় তার জীবনীয় যোগ্যতা দিন-দিন শীর্ণ হ'তে থাকে। তাছাড়া পরিবেশও তার প্রতিকূল হ'তে থাকে। তাই সে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে না। অপরের ক্ষতি ক'রে বাঁচতে চাইলে আমাদের বাঁচাটাও ধীরে-ধীরে ক্ষতবিক্ষত হওয়ার পথেই চলে। ধনিকও শ্রমিক ছাড়া আর কিছু নয়কো। শ্রমিকদের মধ্যে কৌশলী ও কৃতী যারা তারাই যোগ্যতা ও বুদ্ধির বলে ধীরে-ধীরে অল্পবিস্তর ধনী হ'য়ে ওঠে। যোগ্যতার তারতম্য আছেই। তাই, যোগ্যতার তারতম্য-অনুযায়ী অর্থসম্পদের তারতম্য হওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু তাই ব'লে কারও কিন্তু অপরকে শোষণ করার অধিকার নেই। আমি ভাবি, প্রত্যেকটি শ্রমিক যাতে ক্রমোন্নতিপরায়ণ হ'য়ে ওঠে তাই করাই ভাল, প্রত্যেককে বড় করার তালে থাকাই ভাল। বড়কে খাটো করার চেষ্টা ভাল না। বড় যে, তারও উচিত ছোটকে বড় ক'রে তোলার চেষ্টা করা। তা' যদি সে না করে, তার বড়ত্ব বেশী দিন অক্ষুণ্ণ থাকে না। আবার বলছি, বৈশিষ্ট্য ও যোগ্যতা-অনুযায়ী অবস্থার তারতম্য থাকা অসমীচীন নয়। যোগ্যতার স্বীকৃতি ও সমাদর না থাকলে মানুষের ভিতর যোগ্যতা লাভের জন্য effort (প্রযত্ন) থাকে না। কিন্তু প্রত্যেকের বাঁচা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, রাষ্ট্র ও সমাজের সেদিকে লক্ষ্য থাকা দরকার। আগে আমাদের দেশের বৈশ্যরা প্রচুর ধন-সম্পদ অর্জন করতো। কিন্তু ধর্মার্থে অর্থাৎ ইষ্ট, কৃষ্টি ও বাঁচাবাড়ার স্বার্থে বিহিত দান তাদের অবশ্য করণীয় ছিল। তা' না করলে রাজা কিংবা ব্রাহ্মণ (ব্রহ্মজ্ঞ পুরুষ) তাকে বাধ্য করতো তা' করতে। নইলে সমাজ তার প্রতিকার করতো। এমনকি, কৃপণ ও কর্তব্যপরাজুখ ধনীর কাছ থেকে ধন কেড়ে নিয়ে লোক-কল্যাণার্থে ব্যয় করার অধিকার ছিল ব্রাহ্মণের। সমাজই ব্রাহ্মণের পিছনে থেকে তাঁকে দিয়ে এই কাজ করাতো। এই ব্রাহ্মণরা ছিলেন প্রকৃত লোকস্বার্থী। লোকস্বার্থই ছিল তাঁদের আত্মস্বার্থের সামিল। ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থকে তাঁরা আমলই দিতেন না। তাই আজও ব্রাহ্মণদের এত সম্মান।

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সহিত কথপোকথন
সূত্র: আলোচনা প্রসঙ্গে, ১৬/১০.৪.১৯৪

#srisrithakuranukulachandra
#জয়গুরু

535 - 23

Satsang with me
Posted 2 weeks ago

★ #প্রশ্ন :- তাঁর ইচ্ছা হলেই তো সব হতে পারে? সবই ভগবানের ইচ্ছা!

*#শ্রী_শ্রী_ঠাকুর*:- ভগবান রামচন্দ্রকে কই আমরা নারায়ণের অবতার। তাঁর সীতা উদ্ধারের জন্য এত প্রয়াস কেন, এত কষ্ট কেন? আমরা মা দূর্গার পূজা করি। শুম্ভ-নিশুম্ভ বধের জন্য তাঁর এত প্রয়াস কেন? এত তোড়জোড় কেন? ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই বা এত প্রচেষ্টা, এত প্রস্তুতি কেন? কৌরবপক্ষ রাজি না হওয়ায় যুদ্ধই বা করা কেন? কৃতকার্য্য হওয়ার চলনে না চলে আমরা চাই কৃতকার্য্যতা, তা হয় না। আমরা যা পেতে চাই, যাতে তা পাওয়া যায়, তেমনতর কর্ম্ম যদি না করি, তবে বুঝতে হবে সেটা প্রকৃত চাওয়া নয়–চাওয়ার বিলাসিতা মাত্র। হযরত রসুল মক্কা থেকে অত্যাচারিত হয়ে মদিনায় গেলেন। কিন্তু দশ বছর ধরে তাঁকে সর্ব্বতোভাবে প্রস্তুত হয়ে তবে মক্কা দখল করা লাগল। না করে পাওয়া যায় এ-কথা তোমরা শিখলে কোথা থেকে। কোন ধর্ম্ম যদি এমনতর শিখিয়ে থাকে তবে জানবে তা ধর্ম্ম নয়, অধর্ম্ম। ঐ ধরনের কর্মহীন ধর্ম্মবোধ যত তাড়াতাড়ি বিদায় দিতে পার ততই তোমাদের পক্ষে ভাল। ধর্ম্মের নামে নিজেদের দুর্বলতার প্রশ্রয় দিও না। বেঘোরে পড়ে যাবে সাবধান।

#সকলকে জানাই_রাঃনন্দিত *জয়গুরু* 🙏🤍✨️

( #সংগ্রহীত _পোষ্ট)।

527 - 23

Satsang with me
Posted 4 weeks ago

শুভ জন্মদিন

829 - 27

Satsang with me
Posted 3 months ago

তুমি ভক্তের লাগিয়া যুগে যুগে আসো প্রভু
রাখিতে ভক্তের মান
তুমি ভক্তের অধীন ভগবান
দয়াল তুমি ভক্তের ভগবান।।
জয়গুরু🙏

550 - 18

Welcoem to posts!!

Satsang with me Posted 1 day ago

Satsang with me Posted 3 days ago

Satsang with me Posted 3 days ago

Satsang with me Posted 3 days ago

Satsang with me Posted 6 days ago

Satsang with me Posted 2 weeks ago

Satsang with me Posted 2 weeks ago

Satsang with me Posted 2 weeks ago

Satsang with me Posted 4 weeks ago

Satsang with me Posted 3 months ago

Satsang with me
Posted 1 day ago

Satsang with me
Posted 3 days ago

Satsang with me
Posted 3 days ago

Satsang with me
Posted 3 days ago

Satsang with me
Posted 6 days ago

Satsang with me
Posted 2 weeks ago

Satsang with me
Posted 2 weeks ago

Satsang with me
Posted 2 weeks ago

Satsang with me
Posted 4 weeks ago

Satsang with me
Posted 3 months ago