ইসলামি আইনে ধর্ষণ
#sheikhahmedullah #waz এই চ্যানেলের সমূর্ণ ক্রেডিট @sheikhahmadullahofficial
দ্বীন প্রচারে সহযোগী হতে @aibanglawaz ❤❤
please subscribe @aibanglawaz
#sheikh_ahmadullah #ahmadullah #waz2024 #waz #islamic #sheikh #new #ahmadullahwaz #namaz #ওয়াজ #mahafil #quran যাদের আমল ইবাদত কবুল হয় না। আহমাদুল্লাহ ওয়াজ
• কারা সেই হতভাগা ? যাদের আমল-ইবাদত কবুল হয় ... ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি কঠোর
ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি কঠোর
ইসলাম ডেস্ক
আপডেট: ০০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৯
facebook sharing buttonsharethis sharing button
ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি কঠোর ছবি : প্রতীকী
ইসলাম ধর্ষণকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করেনি। বরং বিবাহবহির্ভূত যেকোনো যৌন সম্পর্কই ইসলামে অপরাধ হিসেবে গণ্য। ফলে ব্যভিচারী ও ধর্ষক উভয়ের জন্যই কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করেছে ইসলাম।
ইসলামী আইনশাস্ত্র মোতাবেক ধর্ষকের শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ। তবে অনেক ইসলামী স্কলার ধর্ষণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কিছু শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন।
শিরক ও হত্যার পর ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম বড় ধরনের অপরাধ। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না।
নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ। ’ (সুরা আল ইসরা, আয়াত : ৩২)
প্রখ্যাত তাফসিরবিশারদ ইমাম কুরতুবি (রহ.) বলেন, “উলামায়ে কেরাম বলেছেন, ‘ব্যভিচার করো না’-এর চেয়ে ‘ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না’ এটি অনেক বেশি কঠোর বাক্য।
” এর সহজ অর্থ হলো, যেসব বিষয় ব্যভিচারে উদ্বুদ্ধ করে ও ভূমিকা রাখে সেগুলোও হারাম।
ধর্ষণের শাস্তির ব্যাপারে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।
শাস্তি প্রয়োগের মাধ্যমে বিষয়টির স্পর্শকাতরতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
এক হাদিসে আছে, রাসুল (সা.)-এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) তাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষককে হদের শাস্তি দেন। ’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং: ২৫৯৮)
[উল্লেখ্য, যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত রয়েছে সেগুলোকে হদ বলে]
অন্য হাদিসে আছে, গণিমতের পঞ্চমাংশে পাওয়া এক দাসির সঙ্গে সরকারি মালিকানাধীন এক গোলাম জবরদস্তিপূর্বক ব্যভিচার (ধর্ষণ) করে। এতে তার কুমারিত্ব নষ্ট হয়ে যায়। হজরত উমর (রা.) ওই গোলামকে বেত্রাঘাত করেন এবং নির্বাসন দেন। কিন্তু দাসিটিকে (অপকর্মে) সে বাধ্য করেছিল বলে তাকে বেত্রাঘাত করেননি। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ৬৯৪৯)
ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি
ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। নিজের স্বামী/স্ত্রী থাকাবস্থায় যদি কেউ ব্যভিচারী হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া ইসলামের বিধান। আর যদি আর যদি ব্যভিচারী (নারী-পুরুষ) অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ’টি বেত্রাঘাত করা হবে।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ’ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। ’ (সুরা নুর, আয়াত : ২)
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি একশ’ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশ’ বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড)। ’ (মুসলিম)
এই হাদিসের আলোকে অন্য মাজহাবের ইসলামি স্কলাররা বলেন, ব্যভিচারী অবিবাহিত হলে তার শাস্তি দুইটি। এক. একশ’ বেত্রাঘাত। দুই. এক বছরের জন্য দেশান্তর।
হানাফি মাজহাবের (বাংলাদেশিরা সাধারণত যে মাজহাবের) বিশেষজ্ঞরা বলেন, এক্ষেত্রে হদ (শরিয়তকর্তৃক নির্ধারিত শাস্তি) হলো, একশ’ বেত্রাঘাত। আর দেশান্তরের বিষয়টি বিচারকের বিবেচনাধীন। তিনি ব্যক্তি বিশেষে চাইলে তা প্রয়োগ করতে পারেন।
@mdkhokanmiah596
3 months ago
আল্লাহ আমাদেরকে হেদায়েত নসিব করুন, আমিন
1 | 0